এর আগে প্রবাসীরা মাসভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাঠিয়েছিল গত জানুয়ারিতে। ওই মাসে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ১২১ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক এ এফ এম আসাদুজ্জামান বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতি বছরই ঈদের আগে রেমিটেন্স বেড়ে থাকে। এ সময়ে অতিরিক্ত খরচের বিবেচনায় প্রবাসীরা প্রিয়জনদের কাছে বেশি পরিমাণ অর্থ পাঠিয়ে থাকেন। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় ঈদকে সামনে রেখে প্রবাসীরা বেশি পরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন।’
বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া নানা পদক্ষেপের সুফল আসতে শুরু করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে অর্থাৎ ১-৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২০ কোটি ৩১ লাখ ডলার, দ্বিতীয় সপ্তাহে ৩৮ কোটি, তৃতীয় সপ্তাহে ৪২ কোটি ৪৪ লাখ এবং চতুর্থ সপ্তাহ ২০ থেকে ২৬ অক্টোবর ৩২ কোটি ৩২ লাখ এবং পরবর্তী ৩ কার্যদিবসে ১২ কোটি ১৮ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত সেপ্টেম্বর মাসে রেমিটেন্স প্রবাহের পরিমাণ ছিল ১১৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশে ৩৫৫ কোটি ১৭ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ১৯ শতাংশ বেশি। ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশে ২৯৭ কোটি ২৮ লাখ ডলারের প্রবাসী-আয় এসেছিল। সেটি আবার এর আগের অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।