এপিপি, ফেনী: মনোনয়নপত্র দাখিলের মধ্য দিয়ে ফেনী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আসন্ন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু হলেও নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে এখনও অজানা শঙ্কায় ভুগছেন ভোটার ও প্রার্থীরা। যেকোনো মুহূর্তে বর্তমান সভাপতি জামাল উদ্দিনকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ এবং ঘোষিত তফসিল বাতিল করে পুনঃতফসিল ঘোষণারও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলের মধ্যে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল রকিব কাজমীর নেতৃত্বাধীন প্যানেল জোরালো প্রচারণায় নেমে গেলেও সাবেক দুই সভাপতি শেখ নুরুল আলম ও হাজী আলাউদ্দিন সমর্থিত প্যানেল অনেকটা নীরব ভূমিকায় রয়েছে। এতে ভোটার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সন্দেহ আরো ঘনীভূত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুরু থেকেই বর্তমান তফসিলের নির্বাচনের বিপক্ষে রয়েছেন সভাপতি জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন চেম্বার অব কমার্সের একটি গ্রুপ। এ নিয়ে পরিচালকদের বিবদমান দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয়ায় ইতিমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে চেম্বার সভাপতিকে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়। ইতিমধ্যে সভাপতি যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হতে পারেনি বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। ওই সূত্র আরো জানায়, চেম্বার সভাপতিকে ফের শোকজ নোটিশ দেয়া হচ্ছে। ওই নোটিশের জবাবের ওপর নির্ভর করবে তার অপসারণ। সভাপতি অপসারিত হলে বর্তমান তফসিলে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হবে না বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্র নিশ্চিত করেন। এদিকে সভাপতি ও তার বড় ভাই হাজী আলাউদ্দিন ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা না দেয়াকে অনেকে রহস্য মনে করছেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে অনিশ্চয়তার আগাম সংবাদ পেয়ে তারা দুই ভাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। অবশ্য হাজী আলাউদ্দিন এ ব্যাপারে ভিন্নমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, সাবেক সভাপতি শেখ নুরুল আলমের হাত ধরে তিনি চেম্বার রাজনীতিতে এসেছেন। এছাড়া তিনি তাদের নিকট আত্মীয়। তাই তার অনুরোধের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তারা দুই ভাই মনোনয়নপত্র জমা দেননি। অন্যদিকে জামাল উদ্দিন জানান, শুরু থেকে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে অনাগ্রহী। তার অমতেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল। অপরদিকে সৌদি আরবে অবস্থানে থেকে চেম্বার নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে চমক দেখালেও প্রার্থিতা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন সাবেক সভাপতি শেখ নুরুল আলম। ইতিমধ্যে তার মনোনয়নপত্র চ্যালেঞ্জ করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল নির্বাচনী আপিল বোর্ডে আপত্তি দিয়েছেন। প্রার্থিতা নিয়ে অঘটন ঘটলে এ নিয়েও শেখ নুরুল আলম সমর্থকরা হার্ড লাইনে যেতে পারেন। শোনা যাচ্ছে ভোটার তালিকায় বাদ পড়েছে এমন সদস্যরা শিগগিরই আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন। এক্ষেত্রে নির্বাচন পিছাতে কোনো তৃতীয় পক্ষও কলকাঠি নাড়তে পারেন। তবে এসব শঙ্কা উড়িয়ে শেষতক সমঝোতার ভিত্তিতেও আগামী কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। সরকারি দলের একটি প্রভাবশালী অংশ এই উদ্যোগ নিতে পারে বলে আলাপ-আলোচনা চলছে। ফলে ফেনী ডায়াবেটিক সমিতি অথবা জেলা ক্রীড়া সংস্থার মত ভোটাভুটি ছাড়াই পদ ভাগাভাগি করে কমিটি গঠনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না পর্যবেক্ষক মহল। এ ব্যপারে চেম্বার সভাপতি জামাল উদ্দিন বার্তা২৪ ডটনেট-কে বলেন, “যেহেতু ফেনী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টিও লাইসেন্স প্রাপ্ত একটি সংগঠন। সেহেতু মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু করার এখতিয়ার আমার নেই।” তিনি ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়কে দেয়া ‘ব্যাখ্যা’র উল্লেখ করে বলেন, কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দেবেন, চেম্বারকে তা অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই
0 Comments
এপিপি রিপোর্ট: ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে শেয়ার কেনাবেচায় অনিয়মের অভিযোগে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রোববার সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পরিচালক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন। একটি মামলায় আবু সাদাত মো. সায়েম, তার ভাই মো. আবুল মমিন মোল্লা ও অপর মামলায় সৈয়দ সিরাজদ্দৌলা, তার স্ত্রী রাশেদা আক্তার মায়া ও মো. হাবিবুর রহমান মোড়লকে আসামি করা হয়েছে। মহানগর হাকিম এ জি এম আল মাসুদ বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির আদেশ দেন। বাদীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী রেজাউল করিম, তরিকুল ইসলাম ও কামরুল ইসলাম শিকদার। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সম্প্রতি পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক উত্থান-পতনের বিষয়ে খন্দকার ইব্রাহিম খালেদসহ তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ বিষয়ে ২৬ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়। ওই কমিটি ৩১ মার্চ সরকারের কাছে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দ্বিতীয় মামলার অভিযোগপত্রে বলা যায়, আসামিরা পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের শেয়ারের অভিহিত মূল্য কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে শেয়ার কেনাবেচা করেন, যা এসইসির ১৯৬৯ সনের অর্ডিন্যান্স ১৭ (ই)(ভি) ধারার স্পষ্ট লঙ্ঘন। আর ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের শেয়ার কেনাবেচায় কারসাজির অভিযোগ আনা হয় আবু সাদাত মো. সায়েম ও মমিন মোল্লার বিরুদ্ধে। এপিপি, রাজশাহী: শেয়ার বাজারে অব্যাহত দরপতনের কারণে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করার জন্য বিনিয়োগকারীরা অর্থমন্ত্রীর প্রতি দাবি জানালেও সে দাবি নাকচ করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। শুক্রবার দুপুরে রাজশাহীতে কর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সাফাই দেওয়ার কিছু নেই। যা বলার সংসদেই বলা হবে।’ রাজশাহীর কর কমিশনার রোকেয়া খাতুনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যার ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ। সভায় জানানো হয়, আয়কর দাতার সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে রাজশাহী অঞ্চলে নতুন করে আরও ১৫টি কর অফিস চালু করা হবে। এপিপি রিপোর্ট : গ্রামীণ ব্যাংকের নয়া ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ব্যাংকটির কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান। ইউনূসের পর ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী নূরজাহান বেগম অবসরে যাওয়ায় শাহজাহানকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয়। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে চেয়ারে বসে দায়িত্ব পালন শুরু করেন শাহজাহান। গত রোববার নূরজাহান বেগম ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকে শেষ কর্মদিবস কাটান। মঙ্গলবার সকালে তিনি দায়িত্ব বুঝে দেন, যদিও ১৫ তারিখকে দায়িত্ব হস্তান্তরের তারিখ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ ১৪ আগস্ট চাকরি থেকে অবসরে গেছেন নূরজাহান বেগম। শাহজাহান মঙ্গলবার দায়িত্ব নিলেও গত ২৬ জুলাই পরিচালনা পর্ষদের সভায় তাকে ভারপ্রাপ্ত এমডি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী তাকে জেনারেল ম্যানেজার থেকে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, শাহজাহানকে ভারপ্রাপ্ত এমডি নিয়োগের সিদ্ধান্তের পরও নূরজাহান বেগমের দায়িত্বের মেয়াদ বাড়াতে গ্রামীণব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের একটি অংশ দাবি করেন যদিও পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোজাম্মেল হক তা মানতে রাজি হননি। ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ওই অংশটি অবশ্য পরিচালনা পর্ষদের ৯ নারী সদস্যকে ম্যানেজ করে নূরজাহানের মেয়াদ বাড়াতে পর্ষদকে চাপ দিতে রাজি করে। তবে শেষ পর্যন্ত শাহজাহানই ভারপ্রাপ্ত এমডি হন। এদিকে গ্রামীণ ব্যাংকে ইউনূসের জামানায় নিয়োগ পাওয়া ৯ নারী সদস্য বর্তমান পরিচালনা বোর্ডের মেয়াদ বাড়ানো এবং ইউনূসকে ‘এমডি ইমেরিটাস’ নিয়োগ দিতে পরিচালনা পর্ষদকে চাপ দেয়। গ্রামীণব্যাংকে চূড়ান্তভাবে একজন ‘ব্যবস্থাপনা পরিচালক’ নিয়োগের জন্য ৫ সদস্যের একটি সিলেকশন কমিটি কাজ করছে। ‘সিলেকশন কমিটি’ নামে পর্ষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বের কমিটি নতুন একজন ব্যক্তিকে এমডি নিয়োগের সুপারিশ করবে। নয়া এমডি বাছাই কমিটিতে অন্যরা হলেন পর্ষদের একজন পরিচালক, একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং ব্যাংকের বাইরের দু’জন প্রতিনিধি। ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এম. শাহজাহান জ্যেষ্ঠ মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের অর্থ ও হিসাব এবং পরিকল্পনা, মনিটরিং ও মূল্যায়ন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৭৭ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন শাহজাহান। পরে ফিন্যান্সেও তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সিতেও ডিগ্রি নিয়েছেন। গ্রামীণ ব্যাংক ছাড়াও মো. শাহজাহান গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদের একজন পরিচালক। যদিও তিনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকেই মনোনীত পরিচালক। প্রসঙ্গত, নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ড. ইউনূসকে অপসারণ করে সরকার। গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশের বরখেলাপ করে এমডি পদে প্রায় দশ বছর বেশি থাকার পর গত ২ মার্চ সরকার ইউনূসকে সরিয়ে দেয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে আদালতে যান ইউনূস। তবে শেষ পর্যন্ত রায় সরকারের পক্ষেই যায় এবং ১২ মে ইউনূস ওই পদটি থেকে সরে দাঁড়ান। এপিপি রিপোর্ট: বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত পাঁচ ধরনের নতুন নোট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তিনি এ নোটগুলো অবমুক্ত করেন। এ সময় নতুন মুদ্রিত টাকার নমুনা প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। নোটগুলো হচ্ছে- দুই টাকা, পাঁচ টাকা, ১শ’ টাকা, ৫শ’ টাকা ও ১ হাজার টাকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে ১৫ আগস্টের হত্যাকা- না ঘটলে দেশ ১৫/২০ বছর আগেই বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে চলে যেত। কেননা উন্নয়নের যে মতাদর্শ ও কর্মকৌশল বঙ্গবন্ধু নিয়েছিলেন, তার ধারাবাহিকতাতেই দেশ অনেক দূর এগিয়ে যেত।’ এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। নতুন নোটের নকশায় বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এতে নতুন প্রজন্ম আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে একটা ধারণা পাবে। তাছাড়া নতুন নোটগুলো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরাও পরখ করে যেমন চিহ্নিত করতে পারবেন তেমনি নকল হওয়ারও কোনো সুযোগ থাকবে না।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার চল্লিশ বছর উপলক্ষে এ স্মারক মুদ্রা চালু করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক সব টাকার যোগানদাতা। তবে শুধু ব্যাংকে নয়, এ টাকা জনগণের হাতে হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ জনগণই দেশের সব টাকা ও সম্পদের মালিক।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ বছরের মধ্যেই বাঁকি তিনটি নোটেও বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ ছাপা হবে। নতুন এই নোটগুলো প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের কাউন্টার থেকে ইস্যু করা হবে, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য অফিস ও সব বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে একই প্রক্রিয়ায় ইস্যু করা হবে। এসব মূল্যমানের নতুন নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলিত কাগজের নোট এবং ধাতব মুদ্রাও যথারীতি চালু থাকবে। ২ টাকা মূল্যমানের নোটের বৈশিষ্ট্য অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক স্বাক্ষরিত এ নোটের সাইজ ১০০৬০ মিলিমিটার । সিনথেটিক ফাইবার মিশ্রিত অধিক টেকসই কাগজে মুদ্রিত। কাগজে জলছাপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। প্রতিকৃতির নিচে অতি উজ্বল ইলেক্ট্রোটাইপ জলছাপে ২ লেখা আছে। নোটে ২ মিলিমিটার চওড়া এমবেডেড্ নিরাপত্তা সুতা ব্যবহার করা হয়েছে। নোটের সামনের দিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং পটভূমি বা ব্যাকগ্রাউন্ডে জাতীয় স্মৃতি সৌধ হালকা রংয়ে মুদ্রিত রয়েছে। ৫ টাকা মূল্যমানের ব্যাংকনোটের বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আতিউর রহমান স্বাক্ষরিত এ নোটের সাইজ ১১৭৬০ মিলিমিটার । কাগজে জলছাপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। প্রতিকৃতির নিচে অতি উজ্বল ইলেক্ট্রোটাইপ জলছাপে ৫ লেখা আছে । নোটের সামনের দিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং পটভূমি বা ব্যাকগ্রাউন্ডে জাতীয় স্মৃতিসৌধ হালকা রংয়ে মুদ্রিত রয়েছে। ১০০ টাকা নোটের বৈশিষ্ট্য গভর্নর আতিউর রহমান স্বাক্ষরিত এ নোটের সাইজ ১৪০৬২ মিলিমিটার। কাগজে জলছাপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। নোটের ডানদিকে আড়াআড়িভাবে ইন্টাগি-ও কালিতে ৭টি লাইন আছে। হাতের স্পর্শে এগুলো সহজেই অনুভব করা যাবে। বাম পাশে ৪ মিলিমিটার চওড়া নিরাপত্তা সুতা। ৫০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংকনোটের বৈশিষ্ট্য আতিউর রহমান স্বাক্ষরিত এ নোটের সাইজ ১৫২৬৫ মিলিমিটার। সিনথেটিক ফাইবার মিশ্রিত অধিক টেকসই কাগজে জলছাপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। ইলেক্ট্রোটাইপ জলছাপে ৫০০ লেখা আছে। নোটের বাম পাশে আছে ৪ মিলিমিটার চওড়া নিরাপত্তা সুতা। যাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের লগো ও ৫০০ টাকা লেখা আছে। ১০০০ টাকা মূল্যমানের ব্যাংকনোটের বৈশিষ্ট্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান স্বাক্ষরিত এ নোটের সাইজ ১৬০৭০ মিলিমিটার। সিনথেটিক ফাইবার মিশ্রিত অধিক টেকসই কাগজে মুদ্রিত। কাগজে জলছাপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও তার নিচে অতি উজ্বল ইলেক্ট্রোটাইপ জলছাপে ১০০০ লেখা আছে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির জলছাপের বামপাশে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রামের উজ্বলতর ইলেক্ট্রোটাইপ জলছাপ রয়েছে। নোটের সামনের দিকে ইন্টাগি-ও কালিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুদ্রিত। নোটটির ডানদিকে আড়াআড়িভাবে ইন্টাগি-ও কালিতে ৭টি লাইন আছে; হাতের স্পর্শে এগুলো সহজেই অনুভব করা যাবে। নোটের পিছনের দিকে ইন্টাগি-ও কালিতে জাতীয় সংসদ ভবন মুদ্রিত। নোটের বাম পাশে আছে ৪ মিলিমিটার চওড়া নিরাপত্তা সুতা। যাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো ও ১০০০ টাকা লেখা আছে। সরাসরি তাকালে ‘লোগো ও ১০০০ লেখা সাদা দেখাবে। কিন্তু পাশ থেকে দেখলে বা ৯০ ডিগ্রীতে নোটটি ঘুরালে তা কালো দেখাবে। নোটের ডানদিকে অন্ধদের জন্য ৫টি ছোট বিন্দু রয়েছে যা হাতের স্পর্শে উচু-নিচু অনুভূত হবে। এপিপি রিপোর্ট : শেয়ারবাজারে ভয়াবহ বিপর্যয়ের ঘটনায় দায়ী সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতিমধ্যে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান মো. গোলাম রহমান। দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান জানান, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) থেকে একটি তালিকা দুদকে আসার পর দুদক সহকারী পরিচালক আকতার হামিদ ভূঁইয়াকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি তাদের তদন্ত রিপোর্ট কমিশনে জমা দিয়েছে। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে কবে মামলা করা হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের নিয়মিত (মাসিক) সংবাদ সম্মেলনে দুদক মহাপরিচালক ফররুখ আহমেদ বলেন, চলতি মাসেই শেয়ার বাজার বিপর্যয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।তিনি বলেন, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া এবং তার স্ত্রী রুকসানা আক্তার, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের সাবেক কর্মকর্তা (বর্তমানে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের জিএম) কফিল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার, তার আত্মীয় মনসুর বিল্লাহের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের ব্যাংক একাউন্ট ও লেনদেন অনুসন্ধান করে তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া দুদক তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের দুই নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়া এবং এটিএম তারিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজার তদন্ত কমিটি উত্থাপিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারি চাকরি প্রবিধানমালা, ১৯৯৫-এর ৪২, ৪৩ ও ৪৪ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এই তদন্ত করেছেন দুদক কর্মকর্তারা।দুই নির্বাহী পরিচালকের মধ্যে আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে কমিশনের নির্দেশনা অমান্য করে অনৈতিক পন্থায় শেয়ার লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বর্তমানে ওএসডি অবস্থায় রয়েছেন।আরেক নির্বাহী পরিচালক এটিএম তারিকুজ্জামানের নামে তদন্ত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও সদস্যের অনৈতিক কাজে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে গত বছরের ৬ ও ৭ ডিসেম্বর চেক ও নেটিং বিষয়ে দুটি নির্দেশনা জারির অভিযোগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এসইসির সাবেক সদস্য মনসুর আলমের বিরুদ্ধে টার্মস অব রেফারেন্স (কর্ম প্রক্রিয়া) প্রস্তুত করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এপিপি রিপোর্ট: পুঁজিবাজারে যারা বিক্ষোভ করছে, তারা প্রকৃত বিনিয়োগকারী নয় বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে যারা বিক্ষোভ করছে, তারা প্রকৃত বিনিয়োগকারী নয় ফটকাবাজ। এরা বাজার থেকে সরে গেলেই ভালো।’ রোববার বিকেলে অর্থমন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ চা সংসদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারি ও এসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ে মতবিনিময় করেন অর্থমন্ত্রী। বাজার সূচক এখনও ৬ হাজারের ওপরে রয়েছে উল্লেখ করে প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের তাদের শেয়ার ধরে রাখার পরামর্শ দেন অর্থমন্ত্রী। এসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তেমন বিশেষ কিছু নিয়ে আলোচনা হয়নি। ১০ দিন পর দেশে ফিরেছি, তাই তারা দেখা করতে এসেছেন। বৈঠকে বুকবিল্ডিং চূড়ান্তকরণ নিয়ে কথা হয়েছে।’ পুঁজিবাজারে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়ে হইচই করার কিছু নেই। আমরা স্টেপ নিচ্ছি। তবে এ ব্যাপারে এইসিরও কিছু দায়দায়িত্ব আছে।’ অন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারের দরপতনে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার প্রভাবিত হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জিতিক পুঁজিবাজারের সঙ্গে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের কোনো সম্পর্ক নেই।’ |
নিউজ সার্চ
All
নিউজ আর্কাইভ
April 2018
|