এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে বামেদের তরফে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ও সিপিআই নেতা ডি রাজা। দুর্নীতি দমনে কার্যকরী লোকপাল আইনের দাবিতে তাঁরা প্রথম থেকেই সরব। বৃহস্পতিবার বাম সহ ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী দলের জোট সারা ভারতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ধর্নার আয়োজন করে। রাজধানীতে সংসদ ভবনে বিভিন্ন বাম দলের সাংসদরা ধর্নায় বসেন। কেরল ও ত্রিপুরাতেও চলে ধর্না। ওড়িশা রাজভবনের সামনে ধর্না সমাবেশ আয়োজন হয়েছিল। রাজস্থানে বামদল লি জয়পুর সহ ১৭টি জেলায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে র্যালির আয়োজন করে। বুধবারও বামেদের প্রতিবাদের সেই ধারার কোনও পরিবর্তন হয়নি। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি এর আগে লোকপাল বিল নিয়ে আন্নার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়ে দেন যে, বামেরা দুর্নীতি দমনে কার্যকরী লোকপাল চায়। কিন্তু সংসদকে গুরুত্বহীন করে নয়। এই মন্তব্য দিয়ে দুর্নীতি নিয়ে বামেদের ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ নীতি কার্যত মেনে নিয়েছেন ইয়েচুরি। লোকপাল ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠকের মধ্যেই বুধবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাম নেতারা দিল্লি আসেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের ধর্না কর্মসূচি হয়। রাজ্যের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মধ্যেই বিরোধীদের উপর সন্ত্রাস নেমে এসেছে বলে বামেদের দাবি। তার প্রতিবাদেই গতকাল শুক্রবারে এই ধরনা।
এপিপি, কলকাতা: দুর্নীতি দমনে সরকারের পেশ করা লোকপাল বিলটিকে প্রত্যাহার করে আরও শক্তিশালী লোকপাল বিল আনার পক্ষেই সর্বদলীয় বৈঠকে বুধবার সন্ধ্যায় মত দিলেন বামেরা। তবে আন্না হাজারের দাবি মতো সংসদের অধিবেশন আরও দীর্ঘায়িত না করার পক্ষেই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সহমত ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের পরেও সংসদের বাদল অধিবেশন চালিয়ে এখনই লোকপাল বিলকে নিজেদের দাবি মতো পেশ করে অনুমোদন করাতে চান আন্না হাজারে। তবে কোনও রাজনৈতিক দলই এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে আন্নার প্রস্তাবে সমর্থন দেয়নি।
এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে বামেদের তরফে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি ও সিপিআই নেতা ডি রাজা। দুর্নীতি দমনে কার্যকরী লোকপাল আইনের দাবিতে তাঁরা প্রথম থেকেই সরব। বৃহস্পতিবার বাম সহ ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধী দলের জোট সারা ভারতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ধর্নার আয়োজন করে। রাজধানীতে সংসদ ভবনে বিভিন্ন বাম দলের সাংসদরা ধর্নায় বসেন। কেরল ও ত্রিপুরাতেও চলে ধর্না। ওড়িশা রাজভবনের সামনে ধর্না সমাবেশ আয়োজন হয়েছিল। রাজস্থানে বামদল লি জয়পুর সহ ১৭টি জেলায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে র্যালির আয়োজন করে। বুধবারও বামেদের প্রতিবাদের সেই ধারার কোনও পরিবর্তন হয়নি। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি এর আগে লোকপাল বিল নিয়ে আন্নার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়ে দেন যে, বামেরা দুর্নীতি দমনে কার্যকরী লোকপাল চায়। কিন্তু সংসদকে গুরুত্বহীন করে নয়। এই মন্তব্য দিয়ে দুর্নীতি নিয়ে বামেদের ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ নীতি কার্যত মেনে নিয়েছেন ইয়েচুরি। লোকপাল ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠকের মধ্যেই বুধবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাম নেতারা দিল্লি আসেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের ধর্না কর্মসূচি হয়। রাজ্যের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মধ্যেই বিরোধীদের উপর সন্ত্রাস নেমে এসেছে বলে বামেদের দাবি। তার প্রতিবাদেই গতকাল শুক্রবারে এই ধরনা।
0 Comments
উদয়ন পাল, কলকাতা: ভারত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর বাংলাদেশ সফরের আগেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। মীমাংসাসূত্র সন্ধানের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। ঢাকায় যে সীমান্ত নিয়ে তৈরি করা নতুন মানচিত্র চূড়ান্ত করার কাজ চলছে, তার প্রথম পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গ-সাতক্ষীরা সীমান্ত এবং রাঙামাটির মিজোরাম-বাংলাদেশে সীমান্তের মানচিত্র চূড়ান্ত হয়েছে। এই কাজে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার রজিত মিত্র এবং নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক-করিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। উল্লেখ্য, দু’দেশের মধ্যে বিস্তৃত ৪,১৫৬ কিলোমিটারের জন্য মোট ১,১৪৯টি মানচিত্র তৈরি হয়েছে। এগুলিকে স্ট্রিপম্যাপ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত প্রথম দফায় মানচিত্র চূড়ান্ত করার কাজ চলবে। পরে দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু করা হবে। উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালে সীমান্ত নির্ধারণের কাজ শুরু হয়, কিন্তু নানা কারণে সেই প্রক্রিয়া এতদিন সফল হয়নি। ফলে দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে সমস্যা থেকেই গেছে। গত বছর জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ভারত সফরের পর ফের সীমান্ত নিয়ে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই সূত্রেই শুরু হয় মানচিত্র থৈরির কাজ। দু’দেশের মধ্যে ৪,১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের জন্য আলাদা আলাদা তৈরির কাজ শুরু হয়। বিদেশ দপ্তরের জনৈক মুখপাত্র বলেছেন, বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের জন্য ৬২৮টি, ত্রিপুরার ২৬৯টি, অসম সীমান্তের ৯৩টি, মেঘালায় সীমান্তের ১৩৯টি এবং মিজোরামের জন্য ২০টি মানচিত্র তৈরি করা হয়েছে। তবে ছিটমহল এবং সাড়ে ৬ কিলোমিটার বিতর্কিত সীমান্তের মানচিত্র তৈরি করা হয়নি। সব মিলিয়ে মোট ২২টি স্থানের মানচিত্র তৈরি করা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর বাংলাদেশ সফরের সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দু’দেশের বিদেশমন্ত্রকই আশা করছে ২০১২ সালের মধ্যে দু’দেশের মধ্যে সীমান্ত নির্ধারণ সম্পন্ন হয়ে যাবে। উদয়ন পাল, কলকাতা: ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্নীতি নিয়ে সরব আন্না হাজারে তাঁর আমরণ অনশন নিয়ে প্রশাসনকে বিপাকে ফেলেছিলেন। তাঁকে গ্রেপ্তারও করেছিল দিল্লি পুলিশ। এখনও তিনি বন্দী হয়ে তিহার জেলে আছেন। এ নিয়ে সারা ভারতেও উত্তাল। অবশেষে আন্না হাজারে সমঝোতায় এসে দু’সপ্তাহের জন্য অনশন করবেন বলে ঘোষণা করলেন। তাঁর দলীয় নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, দিল্লি পুলিশের অনুমোদন সাপেক্ষে আজ শুক্রবার থেকে অনশনে বসবেন কিষাণবাবুরাও ‘আন্না হাজারে। গত বুধবার রাতেই গান্ধীবাদী ওই প্রবীণ সমাজকর্মীকে ১৪ দিনের জন্য অনশনে বসার অনুমতি দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এরপরেই দিল্লির রামলীলা ময়দানে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টে থেকে অনশন-সত্যাগ্রহে সামিল হওয়ার কথা থাকলেও অনশন মঞ্চ তৈরি করার মতো অবস্থা না থাকায় অবশেষে আজ থেকে ওই অনশন শুরু হবে বলে টিম-আন্নার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, সরকারিস্তরে ব্যাপক দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জেরে ইদানিং ভারতজুড়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন আন্না হাজারে। দুর্নীতি রোধে জনলোকপাল বিলের দাবি নিয়ে এর আগে গত ৫ এপ্রিল দিল্লির যন্তরমন্তরে অনশনে বসেছিলেন তিনি। তখনকার মতো তাঁর দাবিকে মেনে নিয়েছিল ইউপিএ সরকার। সংসদের বাদল অধিবেশনে একটি বিলও আনা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিলকে ‘ক্ষমতাহীন’ আখ্যা দিয়ে ‘শক্তিশালী’ জনলোকপাল বিল আনার দাবিতে ফের ১৬ আগস্ট আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা করেন আন্না। কিন্তু তাঁকে অনশনে বসতে দেওয়া তো দূরের কথা, ১৬ আগস্ট সাত-সকালে আন্না সহ তাঁর ৪০ সহযোগীকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। তারপর থেকেই টিম-আন্নার সঙ্গে শুরু হয় দিল্লি পুলিশ তথা কেন্দ্রীয় সরকারের øায়ুযুদ্ধ। এমনকী, আন্নার সমর্থনে সংসদ তোলপাড় করে তোলে বিরোধীরা। এরপরই বৃহস্পতিবার রাতে আন্নাকে ১৪ দিনের জন্য অনশনে বসার অনুমতি দেয় দিল্লি পুলিশ। দিল্লির রামলীলা ময়দানে তাঁবু খাটানোর অনুমিতও দেওয়া হয়েছে। রাত্রি ১০টা পর্যন্ত মঞ্চে মাইক ব্যবহার করা যাবে বলেও দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে। কিন্তু বর্ষায় রামলীলা ময়দানে অনশনে বসার পরিস্থিতি না থাকায় অনশনের নির্ঘন্ট একদিন পিছিয়ে দিতে বাধ্য হন আন্দোলনকারীরা। সেইমতো বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রামলীলা ময়দানে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এদিকে, দিল্লি পুলিশ এই অনুমতি দেওয়ার পর থেকেই ভারতজুড়ে বিজয় উৎসব শুরু করে দিয়েছেন আন্নার সমর্থকরা। আজ সকালে তিহার জেল থেকে তিনি অনশন মঞ্চে যাবেন। চিকিৎসক দল আন্নার অনশন নিয়ে কড়া দৃষ্টি রাখছেন। তাঁরা মনে করেন হাজারে দু’সপ্তাহ অনশন চালাতে পারবেন কি না সংশয় আছে। এদিকে তিহার জেলের সামনে আন্নার সমর্থকেরা ভীড় করে আছেন। জেলের ভিতর তাঁদের নেতা আন্না হাজারে অনশন করছেন বলে জেলের বাইরেও তাঁর সমর্থকেরা অনশনে বসেছেন। রামলীলা ময়দানে আজ থেকে আন্নার সঙ্গে তাঁর সমর্থকেরাও ঐ ময়দানে অনশন করবেন আন্নার সঙ্গে। এপিপি, কলকাতা: মঙ্গলবার ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে চারটায় কলকাতার অতিপরিচিত বাংলা আকাদেমিতে ‘‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনার ব্যবস্থা করে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপরাষ্ট্রদূত জনাব মুস্তাফিজুর রহমান। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির পদ অলংকৃত করেন বাংলাদেমেল টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী রাফিউদ্দিন আহমেদ রজু, শীর্ষক আলোচনার মূলবক্তব্য পেশ করেন দুই বাংলার প্রখ্যাত সহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বাংলা আকাদেমির প্রধান মহাশ্বেতাদেবী, নেতাজী রিসার্চব্যুরোর পক্ষে প্রাক্তন সাংসদ কৃষ্ণা বোস উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক - ড: জয়ন্ত কুমার রায় এবং বাংলা স্টেটস ম্যান পত্রিকার সম্পাদক মানস ঘোষ। এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন কলকাতা উপদূতাবাসের প্রথম সচিব প্রেস কাজী মুস্তাক জহির। সম্মানীয় অতিথিদের মঞ্চে পুষ্পস্তবক দিয়ে স্বাগত জানান কলকাতাস্থ উপদূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত জনাব মুস্তাফিজুর রহমা, মূল আলোচক সৈয়দ শামসুল হক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের টুঙ্গিপাড়ার মেঠোবালক থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার বিভিন্ন চিত্র কথার জালে সমোহিত করেন বাংংলা আকাদেমির সভাকক্ষে উপস্থিত ৩০০ জন শ্রোতাদের সামনে। তিনি বলেন, বাংলাভাষায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর রাজনীতির কবি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তিনি আরও বলেন, বিশ্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার মতো এত পৈশাচিক ঘটনা আর কোনও দিন যেন না ঘটে সেটা বিশ্ববাসিকে স্মরণে রাখতে হবে। তাকে প্রতিহত করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আজও পরাজিত শত্র“রা রয়েছে তাই তারা আগস্ট মাসকেই বারে বারে হত্যালীলা চালাতে চায়। তা না হলে ২১ আগস্ট কেন শেখ হাসিনার সভায় গ্রেনেড হামলা হয়। তারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করেই শান্তি হয়নি। শেষ মূল উৎপাটন করতে তারা আজও অপেক্ষায় রয়েছে। আপনারা অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা আমাদের পরম আÍীয় আপনারা আগেও আমাদের শক্তি যুগিয়েছেন আশা রাখবো আগামী দিনেও আমাদের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে আমাদের পাশে থাকবেন। আমাদের জননেত্রী যে কাজে হাত দিয়েছেন আপনাদের প্রার্থনা আর্শীবাদ ফসলে মুজিব হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের যথাযথ শাস্তি আমরা দিতে সক্ষম হবো বলে আশাকরি। উদয়ন পাল, কলকাতা : মঙ্গলবার সকালেই পুলিশ পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হল প্রবীণ গান্ধীবাদী ও সমাজকর্মী আন্না হাজারেকে। ৭৩ বছর বয়সী আন্না মঙ্গলবার থেকে দিল্লির জয়প্রকাশ নারায়ণ পার্কে অনশন ধর্মঘট শুরু করবেন, এমনই ঠিক ছিল। ‘সঠিক’ লোকপাল বিলের দাবিতে বহু আগেই আন্না জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি স্বাধীনতা দিবসের পর দিন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসবেন। কিন্তু দিল্লি পুলিশ তাঁকে লাগাতার অনশনের অনুমতি দেয়নি। মাত্র ৩ দিনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল এবং সঙ্গে চাপানো ছিল একগাদা শর্ত। আন্না সে সব শর্ত মানতে প্রস্তুত ছিলেন না। সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা না করে একজন পুরোদস্তুর রাজনৈতিক নেতার মতো আচরণ করে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হতেই হল আন্না হাজারেকে। সঙ্গে আরও ৪০ জন সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। রাজনৈতিক, তথ্যাভিজ্ঞমহলের অভিমত, অনেক সংযমের পরিচয় দেওয়ার পরে সঠিকভাবেই কড়া পদক্ষেপ নিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। মঙ্গলবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর অনশন শুরু হওয়ার আগেই দিল্লি পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। আন্না জে পি পার্কে তাঁর অনশনস্থলে রওনা হওয়ার আগেই ময়ূরবিহার থেকে তাঁকে পুলিশ বাধ্য হয় গ্রেফতার করতে। এর আগে ডিসিপি (ক্রাইম) অশোক চাঁদ-সহ দিল্লির পদস্থ পুলিশ অফিসাররা পূর্ব দিল্লির অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে হাজারের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি যেন জে পি পার্কে অনশনে বসার পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন। কিন্তু কে কার কথা শোনে। পুলিশের সমস্তরকম অনুরোধ-উপরোধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আন্না হাজারে তাঁর অনশন কর্মসূচিকে অব্যাহত রাখতে জে পি পার্কে রওনা হলে পুলিশ বাধ্য হয় তাঁকে গ্রেফতার করতে। এদিকে আন্না হাজারের গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসদের উভয়কক্ষে তুমুল হই হট্টোগোল শুরু করেন বিজেপি সাংসদরা। আধ ঘন্টার জন্য সভা মুলতুবি হয়ে যায় উভয়কক্ষেই। আন্না সেটাই চেয়েছিলেন। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে জাতীয় উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়েও রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল আন্না হাজারের অনশনের উদ্যোগকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। আন্নার ‘শক্তিশালী’ লোকপাল বিলের দাবির বিরোধিতা করে প্রতিভা পাটেল বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর ক্ষতি হয় এমন কাজ থেকে সকলেরই বিরত থাকা উচিত। সরকার হাজারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে লোকপাল বিল সংসদে পেশ করেছে। কিন্তু হাজারে চাইছেন, সংসদীয় ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অচল করে দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসতে। তাঁকে এ ব্যাপারে ইন্ধন জোগাচ্ছে বিজেপি এবং সঙঘ পরিবার। কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্ন হল, আন্না হাজারাকে যদি দুর্নীতি ও ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়, তা হলে তিনি ভোটে দাঁড়ান। তার পর ভোটে জিতে সংসদে এসে সাংবিধানিক বিধিব্যবস্থা মতে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিন। আন্না হাজারে চাইছেন, ভারতের আইন ব্যবস্থা ও বিচার ব্যবস্থাকে কজ্বা করতে। বিচার ব্যবস্থাকে লোকপাল বিলের আওতায় আনতে। যা সম্পূর্ণ হাস্যকর। এর আগে এই দুর্নীতির ইস্যুতেই লোকপাল বিলের খসড়া তৈরি করতে যৌথ কমিটির দাবিতে যন্তর মন্তরে অনশনে বসেছিলেন আন্না হাজারে। বারবার তিনি অনশনের হুমকি দিচ্ছেন। রাজনৈতিক নেতাদের মতোই আচরণ করছেন। অথচ সক্রিয় রাজনীতিতে তিনি নেই বলে জানাচ্ছেন। রাজনৈতিক নেতাদের মতোই সরকারের সঙ্গে এই লোকপাল বিল নিয়ে তিনি দর কষাকষি চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রশ্ন হল, তা হলে তিনি ভোটে কেন দাঁড়াচ্ছেন না ? আন্নাকে ভারতীয় সংবিধানের ৬৫ ধারায় গ্রেফতার করে সিভিল লাইন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে আন্না হাজারাকে গ্রেফতারের ঘটনায় দিল্লি, মুম্বাই, আমেদাবাদ ও কলকাতায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আন্নার সমর্থককারীরা বিভিন্ন বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ কর্মসূচীর আয়োজন করে। চিদাম্বরম জরুরি বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। উল্লেখ্য, মা সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ অবস্থায় এখন বিদেশে, তাই দলের দেখভালের দায়িত্বে এখন আছেন রাহুলই। এপিপি, কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গের পূর্বতন বাম সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিতর্কিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনও। টুইটারে শুক্রবার তসলিমার টুইটার পেজে হঠাৎই ফুটে ওঠে শ্লেষাত্মক এক টুইট। ‘ মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক সুরক্ষিত করতে আমায় তো কলকাতা ছাড়া করেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি নির্বাচনে হারলেন কী করে! আশ্চর্য।’ টুইটারে তসলিমার এই মন্তব্য থেকে বাম সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর জমে থাকা ক্ষোভ স্পষ্ট হয়েছে। ২০০৭-এর সেই নভেম্বরের ২১ তারিখ , যেদিন কোলকাতায় তসলিমার উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে প্রায় দাঙ্গা বাধার পরিস্থিাত সৃষ্টি হয়, সেই দিনটিকে দুঃস্বপ্নের অধ্যায় বলেও উল্লেখ করেছেন তসলিমা। ইসলামি মৌলবাদের রোষে ১৯৯৪ থেকে বাংলাদেশ ছেড়ে বিভিন্ন দেশে নির্বাসন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তসলিমা। ফ্রান্স, সুইডেনের পাশাপাশি ভারতেও বেশ কিছুদিন কাটিয়েছেন তিনি। বরাবরই লেখিকা বলে এসছেন , বাংলা তার অত্যন্ত প্রিয় জায়গা। কলকাতা থাকতে স্বচ্ছন্দবোধ করেন তিনি। কিন্তু ২০০৭-এর সেই ভয়াবঞ দিনটির পর কলকাতায় ফিরে আসার আগ্রহ দেখালেও বুদ্ধবাবুর সরকার তসলিমাকেকলকাতায় ঠাঁই দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেয়নি। ৩৪ বছরের বাম-জমানার পতনের পর তসলিমা বলেছিলেন পরিবর্তন শুধু শাসকের নামে বা চেহারায় হলে হবে না। আমূল পরিবর্তন আনতে হবে পুরো ব্যবস্থায়। নয়তো পরিবর্তন স্রেফ একটা কথার কথাই রয়ে যাবে। আশঙ্কা করেছিলেন , ‘আজ য়৭ারা পরিবর্তনের জেরে লাফাচ্ছে, তারাই পাঁচ বছর পর আবার সিপিএমকে ভোট দিয়ে বসবে না তো?’ এপিপি, কলকাতা: ভুয়ো সংঘর্ষের নামে অভিযুক্তদের দায়ে জড়িত পুলিশ কর্মীদের উচিত শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ওইসব পুলিশ কর্মীকে ফাঁসিতে ঝোলানোই যথাযথ বিচার। মঙ্গলবার এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু ও বিচারপতি সি কে প্রসাদ। শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি বলেছেন, ‘‘ভুয়ো সংঘর্ষের নামে অভিযুক্তকে মেরে ফেলা আসলে ঠান্ডা মাথায় খুন। আইনের প্রহরী হিসেবে পুলিশের কাজ হওয়া উচিত মানুষকে রক্ষা করা। ভাড়াটে খুনিদের মতো আচরণ পুলিশের সাজে না।”
২০০৬ সালের অক্টোবরে রাজস্থানে ভুয়ো সংঘর্ষে দারা সিং নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, দারা সিং একজন মাফিয়া। রাজস্থান সরকার তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছিল ২৫ হাজার টাকা। দারা সিংয়ের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী অভিযোগ জানান, অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ অরবিন্দ জৈন, আইপিএস এসপি আরশাদের নেতৃত্বে পুলিশ কর্মীরা তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। ঘটনায় অভিযুক্ত রাজস্থানের সাবেক মন্ত্রী রাজেন্দর রাঠোরও। দারা সিংয়ের স্ত্রী সুশীলা দেবীর আবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছরের এপ্রিলে শীর্ষ আদালত ওই ঘটনার সিবিআই তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়। সাবেক মন্ত্রী রাজেন্দ্রর ও অভিযুক্ত আইপিএস অফিসাররা এ পর্যন্ত গ্রেফতার হননি। শীর্ষ আদালত অভিযুক্ত পুলিশ কর্তাদের আÍসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায়, সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি ওই দুই পুলিশ কর্তাকে যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন সিবিআইকে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু ও সি কে প্রসাদ বলেন, ‘‘ভুয়ো সংঘর্ষে পুলিশ কর্মীরা অভিযুক্তকে মেরে ফেললে তা বিরলতম অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের মতো চরম ব্যবস্থা নেবে আদালত। কারণ, অভিযুক্তকে মেরে ফেলা সম্পূর্ণ নীতি বিরুদ্ধ বিষয়।” দারা সিংয়ের হত্যা মামলার প্রেক্ষিতে এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা এই অভূতপূর্ব মন্তব্য করেছেন। এ দিকে ভারতে ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে বলে জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ২০০৮ থেকে এ বছরের জুন মাস পর্যন্ত ভুয়ো সংঘর্ষের ৩৬৯ মামলা নথিভুক্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতরে উত্তরপ্রদেশে ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনা সর্বাধিক। উত্তরপ্রদেশে ১২০জন ভুয়ো সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের পরেই মণিপুরের স্থান। মণিপুরে ২০০৮-০৯ সালে ১৬ জন, ২০০৯-১০ সালে ১২ জন, এ বছর এ পর্যন্ত একজন ভুয়ো সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন। গত তিন বছরের জম্মু-কাশ্মীরে ভুয়ো সংঘর্ষের ১৪টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। ছত্রিশগড়, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় ভুয়ো সংঘর্ষের মামলা হয়েছে যথাক্রমে ১১টি, ১৩টি ও ১২টি। এই অবস্থায় ভুয়ো সংঘর্ষ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ২০০৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ভুয়ো সংঘর্ষে অভিযুক্ত গুজরাতের বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক। ঘটনাগুলির তদন্ত করছে সিবিআই, স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট। এপিপি, কলকাতা : কমনওয়েলথ গেমস দুর্নীতিতে সিএজি-র (ক্যাগ) রিপোর্টে অভিযুক্ত দিল্লি র মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ইস্তফা দাবি করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নিতিন গড়করি। যদিও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সেই দাবি নস্যাৎ করে দেওয়া হয়। দুর্নীতি ইস্যুতে কংগ্রেসের দ্বিচারিতা নিয়ে রবিবার সরব হন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, লোকায়ুক্তের রিপোর্টে খনি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী উয়েদুরাপ্পার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষিত হওয়ার পরেও কংগ্রেস নেতৃত্ব নীরব। ক্যাগ একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। তাদের রিপোর্টে দিলি র মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কমনওয়েলথ গেমসের একাধিক ক্ষেত্রে বেনিয়ম অবলম্বনের তথ্য থাকায় তাঁর ইস্তফা দেওয়ারই উচিত। তবে এদিন কংগ্রেসের কোর কমিটির বৈঠকের পর দলের সাধারণ সচিব দিগি¦জয় সিং জানান, শীলা দীক্ষিতের পদত্যাগ করার কোনও প্রশ্নই উঠছে না। কারণ পুরো সিএজি রিপোর্ট এখনও তাদের হাতে আসেনি। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির হাতে সেই রিপোর্ট যাবে। বিভিন্ন দলের প্রতিনিধি সেই কমিটির সদস্য। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে গড়করি বলেন, ‘‘দ্বিচারিতা করে শীলাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস।” এপিপি, কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নাম বদল ও জেলা ভাগ নিয়ে মহাকরণে শুরু হয় সর্বদলীয় বৈঠক। রোটান্ডায় এই বৈঠক শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে এই প্রথম সর্বদল বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী আগেই মন্ত্রিসভায় রাজ্যের নামবদলের বিষয়ে একটি প্রস্তাব নিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এরকম একটি সংবেদনশীল বিষয়ে অন্য রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়েই এগোতে চান। তাই কিছুটা চাপে পড়ে বামেরাও এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেয়। আর এই সর্বদল বৈঠকের পরই বসে মন্ত্রিসভার বৈঠক। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিধানসভায় যেসব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে তাদের সকলকে বৈঠকে ডাকা হয়। মোট নয়টি রাজনৈতিক দল এই বৈঠকে যোগ দিয়েছে। এছাড়া সর্বদল বৈঠকে জেলা ভাগ ও জেলার নতুন নামকরণেল বিষয়টিও আলোচনা হয়। কলকাতাকে নতুন জেলা হিসাবে গঠন করা হচ্ছে। পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাকে ভেঙে নতুন জেলা ঝাড়গ্রাম গঠন করা হচ্ছে। নতুন জেলা হলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিপুল পরিমাণ আর্থিক অনুদান মিলবে। ফলে জঙ্গলমহলের উন্নয়নের কাজ আরও ভালভাবে করা যাবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নতুন নাম তাম্রলিপ্ত হবে কি না সেটা নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয়। বামেরা এদিনের বৈঠকে জঙ্গলমহল ও পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা ইস্যু েিনয় আলোচনা করে। এই সর্বদলীয় বৈঠকের মঞ্চকে ব্যভহার করে কিছুটা সস্তা রাজনীতি করার কৌশল নিতে চাইছে বামেদের একাংশ। এপিপি, কলকাতা : বাংলার সর্বকালের সেরা নয় রতœকে সম্মান জানালো রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কলকাতার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে, সোমবার অনুষ্ঠিত হয় এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান দেয়া হয় স্ব স্ব ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের সর্বকালের সেরা নয় ব্যক্তিত্বকে। তাঁরা হলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নৃত্যশিল্পী অমলা শঙ্কর, বিখ্যাত সরোদবাদক আমজাদ আলি খান, স্বনামধন্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, প্রখ্যাত সাহিত্যিক মহাশ্বেতাদেবী, কিংবদন্তি ফুটবলার শৈলেন মান্না, সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভারতীয় সংগীতশিল্পী মান্না দে, গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, উত্তমযগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নায়িকা সুপ্রিয়াদেবী ও বিশিষ্ট অভিনেতা হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম সরকারের আমলে যোগ্যতার মাপকাঠিতে কখনও তাঁরা প্রাপ্য সম্মান পাননি। কিন্তু তাঁদের কৃতিত্বকে গৌরবাম্বিত করতে ও তাঁদের শ্রেষ্ঠত্বকে সেলাম জানাতে এগিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বকালের সেরা এই ‘নবরতœ’কে সম্মান জানাতে আগেই তিনি সূচনা করেছিলেন ‘বঙ্গবিভূষণ’ পুরস্কার। সোমবার সেই বিশেষ দিনে বর্ণময় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্মান জানানো হয় ‘নবরতœ’কে। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মা-মাটি-মানুষের সরকারে পুরো মন্ত্রিসভা। ছিলেন শিল্প-কলা-সংস্কৃতি-বুদ্ধিজীবী মহলের বিশিষ্টরা। কেন্দ্রীয় স্তরে ‘পদ্ম’ পুরস্কার রয়েছে। আর এবার সেই আদলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে চালূ হল ‘বঙ্গ’ পুরস্কার। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে স্বভাবতই আপ ুত বাংলার শিল্প-কলা-সংস্কৃতি-বুদ্ধিজীবী কিংবদন্তিরা। গতকাল সোমবার গুণীজনদের সম্মান প্রদর্শনের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও হয়। রশিদ খানের উচ্চাঙ্গসংগীততের সঙ্গে সেখানে ছিল নচিকেতার জীবনমুখী গান।
এপিপি, কলকাতা : ভারতের অভ্যন্তরে জঙ্গি সংগঠনগুলি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যথেষ্ট দক্ষ হয়ে উঠেছে। ফলে ভারতের অভ্যন্তর থেকেই বড় বিপদ ঘটার সম্ভাবনা বাড়ছে। একথা জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। সেই সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, দেশীয় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির উন্নতির পারা এতটাই চড়েছে যে বাইরে থেকে তাদের আর সাহায্য নেওয়ার কোনও প্রয়োজনই নেই। দিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে চিদম্বরমের কথা বলার সময়ে ১৩ জুলাইয়ে মুম্বাই বিস্ফোরণের প্রসঙ্গও ওঠে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, মুম্বাই পুলিশ বেশ কিছু সূত্র পেয়েছে। কিন্তু এখন সে সম্বন্ধে কিছু বলার সময় আসেনি। মুম্বাইয়ের জাভেরি বাজার, অপেরা হাউস এবং দাদারে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণ নিয়ে যথেষ্ট চাপে মুম্বাই পুলিশের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র দপ্তরও। এখনও পর্যন্ত এই নাশকতার পিছনে কোন সংগঠন রয়েছে তার হদিশ হরতে পারেনি তদন্তকারী দল। সাফল্য বলতে শুধু এক সন্দেহভাজনের স্কেচ প্রকাশ। ফলে, সাংবাদিক সম্মেলনে বারবার প্রশ্ন ওঠে ভারতের মধ্যে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে। চিদম্বরমকে প্রশ্ন করা হয় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের কার্যকলাপ নিয়ে। তখনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দেশীয় জঙ্গি সংগঠনগুলি নাশকতার কাজে যথেষ্ট দক্ষ হয়ে উঠেছে। এখন আর তারা বাইরের সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করে থাকে না। সংগঠনগুলি নিজেরাই বোমা বাঁধতে এবং সরবরাহ করতে শিখে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের অভ্যন্তরে থেকেই নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন চিদম্বরম। মুম্বাই বিস্ফোরণের জন্য ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনকে সন্দেহ করা হচ্ছে কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে চিদম্বরম জানান, মুম্বাই পুলিশ আমাকে কোনও তথ্য দেয়নি। ফলে আমি এখনই কিছু বলতে পারি না। কিন্তু, মুম্বাই পুলিশ তদন্তে কিছুটা সাফল্য পেয়েছে বেল জানিয়েছেন তিনি। তবে ২০১০ সালে পুণে এভং সাম্প্রতিক মুম্বাই বিস্ফোরণে মুম্বাই পুলিশ বা স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষে খারাপ রেকর্ড কিনা জানতে চাইলে চিদম্বরম জানান, অনেক ভালো কাজের রেকর্ডও আছে তাদের স্বপক্ষে। উদয়ন পাল, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নাম পরিবর্তন এবং জেলা ভাগের বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী ৩ আগষ্ট সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হচ্ছে। শুক্রবার কলকাতার মহাকরণে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিধানসভায় যে সমস্ত দলের প্রতিনিধি রয়েছে, কেবলমাত্র তাদেরই ডাকা হবে ওই বৈঠকে। ব্রিগেডের সভায় মুখ্যমন্ত্রী এদিন বেশ কিছু প্রশাসনিক ঘোষণাও করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, প্রশাসন-পুলিশের কাজের সুবিধার্থে ইতিমধ্যেই আসানসোল-দুর্গাপুরে পৃথক কমিশনারেট চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, একইরকম কমিশনারেট হবে হাওয়া এবং দুই ২৪ পরগনায়। এদিকে, রাজ্যের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো সর্বদলীয় বৈঠকের বিষয়ে সি পি এম তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব বলেন, যে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, সেটা ভেবে দেখা হবে। তবে সর্বদলীয় বৈঠকের বিষয়ে সরকারিভাবে চিঠি পেলে আলোচনা করে ঠিক করা হবে, তাতে আমরা অংশ নেব কি না সেটা এখনিই বলা যাচ্ছে না। এপিপি, কলকাতা : বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউনেস্কো ‘ওয়াল্ড হেরিটেজ’ ঘোষণা করল বা না করল তাতে বিশ্বভারতীর কিছু এসে যায় না। গুরুদেবের অবদান ইউনেস্কোর স্বীকৃতির উপর নির্ভরশীল নয়। একথা স্পষ্ট জানালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য রজতকান্ত রায়।
বুধবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপাচার্য রজতকান্ত রায় বলেন, ‘বিশ্বভারতীর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের দরকার আছে বলে মনে করি না। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আবেদন করা হয়েছে। শান্তিনিকেতনে গুরুদেবের যে অবদান তার স্বীকৃতি ইউনেস্কোর উপর নির্ভর করে না। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হল বা না হল গুরুদেবের কিছু যায় আসে না। ব্যক্তিগতভাবে আমারও কিছু যায় আসে না।’ ২০০৯ সাল থেকে ‘ওয়াল্ড হেরিটেজে’র স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য এখনও পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এলাকাতে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে পাঁচিল তুলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন পাঁচিল তোলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ‘ওয়ার্ল্ড’ হেরিটেজে’র দোহাই দিয়ে যেভাবে পাঁচিল তুলেছেন, তা রবীন্দ্রনাথেল চিন্তাধারার সঙ্গে মেলে না। এই প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘গুরুদেবের আদর্শকে আমরা নষ্ট করছি না। প্রকৃতিকে আমরা সংরক্ষণ করছি না। তা না হলে জঙ্গলে পরিণত হবে বিশ্বভারতী। আগামী ২৮ জুলাই উপাচার্য রজতকান্ত রায় অবসর নিচ্ছেন। কিন্তু গত পাঁচ বছর তিনি কী কাজ করেছেন বা করতে পারেননি তা জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি একরাশ দুঃখ েিনয় যাচ্ছি।’ পরে সহ-উপাচার্য উদয় নারায়ণ সিংহ জানান, বিশ্বভারতী ২০০৬ থেকে ২০০৯ এবং ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দুই ধরনের উন্নয়নের কাজ হয়েছে ২০০৬ থেকে বিভিন্ন বিভাগের উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। কিন্তু ২০০৯-২০১১ প্রধানত সংস্কারের কাজ হয়েছে। তিনি জানান, সাড়ে ছ’কোটি টাকা ব্যয় করে ১৭টি বাড়ির সংস্কার করা হয়েছে। সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় করে রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন সময়ে কেনা বইগুলি এবং তার লেখা বইগুলি ডিজিটাইলাএজশন করা হয়েছে। লিপিকাতে যে পাণ্ডুলিপি রয়েছে তার সংরক্ষণ করা হচ্ছে ও দেওয়াল চিত্রগুলি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সাড়ে আট কোটি টাকা দিয়ে রবীন্দ্রনাথেল বিভিন্ন অপ্রকাশিত ২০৬৫টি ছবির সংকলন তৈরির কাজ চলছে। তিনি জানান, বিশ্বভারতীর ১৮ একর জমি আদিবাসীদের দেওয়া হয়েছে। ৬০ একর জমি বিভিন্ন ব্যক্তিকে বাসস্থানের জন্য দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে যারা উদ্বাস্তু রয়েছেন তাদের পাট্টা দেওয়া এপিপি, কলকাতা :পশ্চিমঙ্গ রাজ্যে জঙ্গিরা ঢুকে পড়েছে। মুম্বাইতে নাশকতা ঘটানোর পর এবার পশ্চিমবঙ্গে বড় ধরনের নাশকতা করতে তিনজন কুখ্যাত জঙ্গি রাজ্যে ঢুকে পড়েছে। এই তিন জঙ্গির মধ্যে একজন পাকিস্তানের, আর দুজন বাংলাদেশে। বাংলাদেশের দুই জঙ্গির নাম হাবিব খান ও গোলাম খান। এই দুই জনের বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল াতে এবং অন্য জঙ্গি সওকত হোসেনের বাড়ি পাকিস্তানের করাচিতে। রাজ্যে বড় ধরনের নাশকতা ঘটাতে এই তিন জঙ্গি এখন গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। এদের সঙ্গে অন্য কেউ রয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে কোনও হদিশ দিতে পারেনি গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় সরকারের গোয়েন্দা দফতরের কর্তারা রাজ্য সরকারকে এই তিন জঙ্গির ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, শিলিগুড়িতে বড় কিছু নাশকতা করবে এরা। সেকারণেই এই তিনজনের ব্যাপারে রাজ্য গোয়েন্দা কর্তাদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। এই মুহূর্তে গা ঢাকা দেওয়ার জন্য অপরাধীদের কাছে কলকাতা একটা নিরাপদ জায়গা। ভিন রাজ্যে নাশকতা ঘটিয়ে তারা পশ্চিমবঙ্গে এসে আÍগোপন করে। মুম্বাই বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত এমন দুজনের সন্ধান পাওয়া গেছে কলকাতাতেই।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাওড়া স্টেশনে পুলিশের জালে ধলা পড়েছে একজন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে গোয়েন্দারা। মুম্বাই বিস্ফোরণের ঘটনায় যুক্ত অপর একজন এখনও নিখোঁজ। আবদুল া নামে নিখোঁজ এই জঙ্গি কুখ্যাত জঙ্গি আমির রেজা খানের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। আবদুল ার বাড়ি কলকাতার পার্ক সার্কাসের মফিদুল ইসলাম লেনে। এর খোঁজে পুলিশের রাতের ঘুম ছুটে গেছে। এরপর আবার আরও তিন জঙ্গির রাজ্যে প্রবেশবার্তা জানিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরের সতর্কবাণী। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সমস্ত থানাগুলিকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই তিন জঙ্গির ছবি জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশেষত শিলিগুড়ি অঞ্চলের হোটেল, পেট্রোল পাম্প ও রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে নজরদারি বিশেষভাবে বাড়ানো হয়েছে। ভিভিআইপিদের ওপর আক্রমণ হতে পারে জানিয়ে রাজ্যের গোয়েন্দা দফতরকে সতর্ক করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সিবিআই ইন্টারপোলের কাছে রেডকর্নার নোটিশ জারি করার আবেদন করেছে। মুম্বাই, কলকাতা, আমেদাবাদ, দিল কেও বাড়তি নজরদারীর কথা বলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পার্সেল, ফুলের বোকে প্রভৃতির ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উদয়ন পাল, কলকাতা: তরাই ও ডুয়ার্সের এলাকাকে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না করলে এর নির্বাচন হতে দেবেন দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। এর প্রত্যুত্তরে তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন, এটা আদতে মোর্চার অন্দরমহলের রাজনীতি। মানুষকে ভোটের আগে দেওয়া মিথ্যা প্রতিশ্র“তির পথ থেকে পিছিয়ে আসতে হবে এই ভয়ে গুরুং এখন উল্টোপথে হাঁটতে চাইছেন বলেই এমন অদ্ভুত দাবি করছেন। তবে যে চুক্তিতে ওরা সই করেছে তা থেকে ওদের পিছিয়ে আসার কোনও উপায়ই নেই। অন্যদিকে, পাহাড় চুক্তির বিরুদ্ধে আবারও সমালোচনায় মুখর হয়েছে সিপিএম। বুধবার গুরুং মুখ খোলার পরই বিশিষ্ট সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেছেন, আমাদের পুরোপুরি অন্ধকারে রেখেই হয়েছে এই চুক্তি। মমতা যদিও রাজ্য ভাগ হবে না মুখে বলছেন কিন্তু আসলে চুক্তির ফলে বিপদ বাড়বে। চুক্তি কার্যকরী হলে পাহাড়ে অশান্তি বাড়বে বই কমবে না। উদয়ন পাল, কলকাতা: মুম্বাই বিস্ফোরণের ঘটনায় কলকাতার এক জঙ্গিকে খুঁজছে পুলিশ। শনিবার মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে কলকাতা পুলিশের কাছে আবদুল া ওরফে নাটা নামে ওই জঙ্গি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। মুম্বাই পুলিশের কাছে খবর, আবদুল া ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের প্রধান পান্ডা আমির রেজা খানের ডান হাত হিসাবে কাজ করছিল। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর মূল দায়িত্বে ছিল আবদুল া। কলকাতার পার্ক সার্কাসের মফিদুল ইসলাম লেনে আমির রেজার বাড়ির কাছেই আবদুল ার বাড়ি। মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে হানার ঘটনাতেও আবদুল া জড়িত। ওই ঘটনার পর থেকেই গত ন’বছর আবদুল া পালিয়ে বেড়াচ্ছে। মুম্বাই পুলিশ আরও দু’টি নামের ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের কাছে কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে। ওই দুই সন্দেহভাজন গত কয়েকদিনে কলকাতা থেকে ট্রেনে চেপে মুম্বাই অথবা লখনউ গিয়েছিল কি না, সেব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। তাদের নাম ধরে মুম্বাই ও লখনউয়ের সমস্ত ট্রেনের রিজার্ভেশন লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের কাছে খবর, তারা সরাসরি ট্রেনে অথবা লখনউ পর্যন্ত ট্রেনে গিয়ে সেখান থেকে বিমানে মুম্বাই যেতে পারে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বাই বিস্ফোরণের পরই ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্তাদের ধাণা ছিল, এর পিছনে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হাত রয়েছে। বিস্ফোরণের তারিখ, বিস্ফোরণস্থল বাছা, সিরিয়াল বিস্ফোরণ ঘটানো দেখেই গোয়েন্দা কর্তারা এই মতামতে পৌঁছেছিলেন। মুম্বাইয়ে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের বেশ কয়েকটি ডেরা এবং অনুগামী রয়েছে। মুম্বাই পুলিশ আবদুল া সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় কলকাতা পুলিশ নড়েচড়ে বসে। মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে হানার অনেক আগেই আমিরের দাদা আসিফ রেজা খানের সংস্পর্শে এসে আবদুল া জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছিল। তথ্যকেন্দ্রে হানার পর মহম্মদ সাদিক ওরফে সাদাকাতের সঙ্গে আবদুল াও কলকাতা ছেড়ে পালায়। সাদাকাতই তথ্যকেন্দ্রের সামনে গুলি চালিয়ে পুলিশকর্মীদের হত্যা করেছিল। সাদাকাতকে ২০০৯ সালে মুম্বাই থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাকে আমেদাবাদে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গোয়েন্দারা জেনেছেন, সাদাকাত গ্রেপ্তার হওয়ার পর আবদুল াই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর দায়িত্বে রয়েছে। কলকাতা পুলিশ জেনেছে, কয়েক মাস আগে আবদুল ার বাবা মারা যান। তখন আবদুল া বাড়িতে ফোন করে কয়েকদিন কথাবার্তা বলে। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে সে পার্ক সার্কাসে আসেনি। বছর দুয়েক আগে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হয়ে কলকাতার কয়েকজন শিল্পপতি ও হোটেল মালিকের কাছে মোটা টাকা চেয়ে ফোন এসেছিল। গোয়েন্দারা তদন্ত করে দেখেছিলেন, আমির রেজা খানের নাম করে বিদেশ থেকে ফোন করা হলেও, ভারতে এবং কলকাতার ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের নিয়ে তাকে তথ্য জোগাচ্ছিল আবদুল া। এপিপি, কলকাতা: বিস্ফোরণ, বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুম্বাই যেন অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে। ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাাতিক বিমানবন্দর থেকে ভিটি স্টেশন, কোলাবার গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া থেকৈ সেনাপতি বাপট মার্গ, মহালক্ষ্মী থেকে নাগপাড়া, কিংবা গরকালের তিন বিস্ফোরণস্থল জাভেরি বাজার, অপেরা হাউস, দাদরের কোণে কোণে মুম্বাইকারদের মুখে একটাই কথা, ‘ঢের হয়েছে। আর নয়। আর কত বিস্ফোরণের দগদগে ঘায়ে কলঙ্কিত হবে এ শহর ? আর কত প্রাণের বিনিময়ে শোধ করতে হবে বাণিজ্যনগরীর মহিমা ? আর কত বার মার খাওয়ার পরদিনই ঘুর দাঁড়িয়ে হার না মানার সংকল্প দেখাতে হবে ? মায়ানগরী তো ক্রমেই ধামাকা নগরীতে পরিণত হচ্ছে।’ এবারের ধামাকার পর মুম্বাইবাসী ক্ষোভ যেন কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। কারণ, ২৬/১১-র তাজ, নরিম্যান হাউস, ট্রাইডেন্টে সন্ত্রাসবাদী হানার ঘটনায় ধৃত আজমল কাসাভ। শুক্রবার মুম্বাইকারদের কাছে ধামাকা প্রসঙ্গ তুলতেই একই কথা শুনেছি। মনে হয়েছে, যেন কেউ শিখিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। যার মোদ্দা অর্থ হল, কাসাবের জন্য নিরাপত্তা আর আমাদের জন্য আই ই ডি ? বন্ধ হোক এই প্রহসন। আমাদের হন্য সীমা ছাড়াচ্ছে। চলতি সিরিয়াল বিস্ফোরণের পর মুম্বাইবাসীর মোদ্দা প্রতিক্রিয়া এটাই। অপেরা হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে হীরে ব্যবসায়ীদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছিল, কোনও রাজনেতাকে হাতের কাছে পেলে এঁরা বোধ হয়, মারধরই করে বসবে। তাজে হামলার পরও মুম্বাইয়ের সিভিল সোসাইটি রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল। মোমবাতি মিছিল হয়েছিল। পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গেও বহু মোমবাতি জ্বলেছে। আবার সেই একই প্রতিক্রিয়া মুম্বাইয়ের। অপেরা হাউস এলাকার তিন দশকের বাসিন্দা শৈলেশ ভাই, নৈলেশ ভাই বলছিলেন, ১০ হাজার ব্যবহাসী এখানে কারবার করে। ভারতের সবচেয়ে বেশি রপ্তানি শুল্ক আসে এখান থেকে। আমাদের করের টাকায় কাসাভ খেয়ে-দেয়ে নাদুসনুদুস হচ্ছে, আর আমাদের কপালে জুটছে বোমা। আমাদের জীবনের কোনও মূল্য নেই ? আর এক হীরে ব্যাবসায়ী সমীর শেঠ এতটাই চটে আছেন যে, তিনি বললেন, আমাদের শেঠনি’রা কাঁদবেন আর কাসাভ জেলে বড় হবে। রাজনেতাদের নিরাপত্তা বাড়বে। যদি লিখতে হয়, এটাই লিখবেন, যারা কাসাভকে ফাঁসিতে ঝোলাতে ভয়ে মরে, তাদের সাধারণ মানুষের জীবনরক্ষার দায়ও নিতে হবে। আমাদের টাকায় কাসাভের মতো জঙ্গিদের নিরাপত্তা দেওয়া চলবে না। শুধু হীরে ব্যবসায়ীরাই নন, ট্রম্বের বাসিন্দা জাভেরি বাজরের কর্মচারী মহম্মদ ফারুক কিংবা দাদরের বাসিন্দা রাজু ভাই শাহের প্রশ্ন, এভাবে বাঁচব কী করে। প্রতিদিন বাড়ি ফিরে যদি ভগবানকে ধন্যবাদ দিয়ে বলতে হয়, যাক আজ অন্তত বিনা ধামাকাতেই দিনটা কাটল, তাহলে কেমন লাগে। এপিপি, কলকাতা : লস্কর-ই-তৈবার সম্মুখ সংগঠন জমাত-উদ-দাওয়ার ‘আপাত নিরীহ’ ওয়েবসাইটে লেখা ‘ইসলামিক জিহাদ’ বা ‘হাফিজ সঈদ’ লিঙ্কগুলি ভাবিয়ে তুলেছে ভারতের গোয়েন্দাদের। ওই লিঙ্কগুলির মাধ্যমে জঙ্গিদের মধ্যে যোগাযোগের সম্ভাবনা গোয়েন্দারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। বুধবার মুম্বাইয়ে সিরিয়াল বিস্ফোরণের পর ওয়েবসাইটটি নতুন করে খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে গোয়েন্দারা। লস্কর-ই-তৈবার বাইরের সঙ্গে যোগাযোগের মুল হাতিয়ার ওই ‘আপাত নিরীহ’ ওয়েবাসাইটকে সামনে রেখে জিহাদিদের লড়াই ও লস্করের শীর্ষনেতা হাফিজ মহম্মদ সঈদের প্রচারের বিষয়টিকেও সামনে রাখছেন গোয়েন্দারা। শুধু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা নন, কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দফতরও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বছর তিনেক আগে পর্যন্ত লস্কর-ই-থৈবার সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ ও ভারতবিরোধী বক্তব্য ছড়ানের বড় হাতিয়ার ছিল সম্মুখ সংগঠন জমা-উদ-দাওয়ার ওয়েবসাইটটি। শুধু ভারতবিরোধী প্রচারই নয়, তার সঙ্গে লস্করের নেতারা নিজেদের মতামতও ব্যক্ত করতেন ওই ওয়েসবসাইটের মাধ্যমে। প্রায়ই লস্করের শীর্ষনেতা হাফিজ সঈদ ও অন্যান্য নেতারা নিজেদের কথা বলতেন। ওই ওয়েবসাইটের ব গের মাধ্যমে সুযোগ ছিল লস্করের নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে লস্কর-ই-তৈবা সেরে নিত নিয়োগের প্রাথমিক কাজও। তাই ওই ওয়েবসাইটের উপর সর্বক্ষণ নজরদারি ছিল গোয়েন্দাদের। গত ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ে হামলার পর লস্করের ওই সংগঠন জমাত-উদ-দাওয়া নিষিদ্ধ হয়। তারপর ওই ওয়েবসাইটটিকেও ‘আপাত নিরীহ’ করে তুলতে শুরু করে লস্কর। এখন ওয়েবসাইটিতে কয়েকটি ীরঙ্ক রয়েছে, সেগুলির মাধ্যমে অন্যান্য ওয়েবসাইটে পৌঁছে যাওয়া যায়। এমনকী বিভিন্ন দেশের যুবক-যুবতীদের বিয়ের ক্ষেত্রেও লস্করের এই ওয়েবসাইটটি ঘেঁটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সন্দেহজনক কিছুর সন্ধান করেছিলেন। বুধবার মুম্বাইয়ের বিস্ফোরণের পর ওই ওয়েবসাইটটি নতুন করে খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ওয়েবসাইটে দু’টি নামে ওই দু’টি লিঙ্ক ইতিমধ্যেই ঘেঁটেছেন গোয়েন্দারা। এগুলিতে ক্লিক করলেও ভেসে উঠছে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট। এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ওই ওয়েবসাইটগুলিও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন। গোয়েন্দাদের মতে, এমনও হতে পারে যে, জমাত-উদ-দাওয়ার ওয়েবসাইটের সামনের পাতায় কিছু না রেখে ওই বিশেষ দু’টি সন্দেহজনক লিঙ্কোর মাধ্যমে যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে অন্য কোনও ওয়েবসাইটের সঙ্গে। সেই ওয়েবাসাইটগুলির মাধ্যমে লস্কর-ই-তৈবা আগের মতো বাইরে যোগাযোগ রাখছে, এমন সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
উদয়ন পাল, কলকাতা: ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে লোকপালের আওতায় নেওয়ার পক্ষে নন তিনি। শুক্রবার এমনটাই বলেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন, ভারতে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি তিনি লক্ষ্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রীর উপরে লোকপাল জারি হলে সেটা হবে অস্বাস্থ্যকর। ফলে প্রধানমন্ত্রী লোকপালের অধীনে যেতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রীর দফতর ছেড়ে বেড়িয়ে যাওয়ার পর তিনি লোকপালের আওতায় আসতে পারেন। এক সাংবাদিক সম্মেলনে লোকপাল বিলকে একটি ভালো পদক্ষেপ বলে ব্যাখ্যা করে রাহুল বলেছেন, এটা দুর্নীতি ঘটে যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অথচ দুর্নীতি ঘটার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি সরকারি ব্যবস্থায় দুর্নীতি গভীর এক ক্ষত তৈরি করেছে বলে কংগ্রেসের এই সাংসদ এদিন স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এর বিপরীত কর্মকাণ্ড গড়ে ওঠায় সাহায্য করতে পারে নতুন প্রজন্মের রাজনীতি। দুর্নীতি দমনে প্রধানমন্ত্রী এবং ইউপিএ সভানেত্রী কঠোর ও তৎপর বলে দাবি করেছেন রাহুল। তিনি উলে খ করেন যে, তাদের সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছে। মন্ত্রীদের জেলে ঢুকিয়েছে। এখন দুর্নীতি নিয়ে চিৎকার করছে বিরোধীরা। কিন্তু দুর্নীতির ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ এবং ওড়িশার মতোই কর্নাটক। বিরোধীরা সেখানে ক্ষমতাসীন হলেও ব্যতিক্রম নয় কর্নাটক। এপিপি, কলকাতা : পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্যের দাবিতে মঙ্গলবার ফের রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এদিন সকালে ছাত্ররা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। রাজভবনের দিকে যাওয়া ছাত্রদের এক মোটরবাইক মিছিল পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ছাত্ররা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন গেটে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে তারা। শুরু হয় ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ। সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকার পরও তা অমান্য করার দায়ে একাধিক ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হায়দ্রাবাদ এবং তেলেঙ্গনার অন্যান্য জেলায় ছাত্রদের গ্রেফতার করা সত্ত্বেও আর্টস কলেজে ছাত্ররা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছে এদিন। এর ফলে উত্তেজনা আরও ছড়িয়ে যায়।
এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে চতুর্থবার ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে ছাত্ররা। ক্যাম্পাসের মধ্যেই রয়েছে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। পাথর ছুড়তে থাকা ছাত্রদের তাড়া করছে এই বাহিনী। শহরের বিভিন্ন অংশ এবং অন্যান্য জেলা থেকে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা ছাত্রদের গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। ছাত্রদের অনির্দিষ্টকালের অনশন কর্মসূচি বানচান করতে রোববার রাত থেকেই পুলিশ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দখল নিয়েছে। ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় যৌথ সংগ্রাম কমিটি বলেছে যে, তাদের কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে হায়দরাবাদ যাওয়া ঠেকাতে ওয়ারাঙ্গল, করিমনগর, নালগোন্ডা এবং অন্যান্য শহরের একাধিক ছাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশের অত্যাচারের প্রতিবাদে ওয়ারাঙ্গলের কাকাতিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করে দিয়েছেন। তেলেঙ্গনার ১০টি জেলার্য় শতাধিক ছাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তেলেঙ্গনা রাষ্ট্রিয় সমিতির নেতা ই রাজন্দিার। পুলিশ তাদের কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টা করলেও সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে যৌথ সংগ্রাম কমিটি। আর্টস কলেজে সকাল ১১টায় ছাত্ররা অনশন শুরু করে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন গেটে পুলিশ প্রহরা থাকলেও কৌশলে অনশন ‘মঞ্চে পৌছে গিয়েছেন যৌথ সংগ্রাম কমিটির রাজনৈতিক আহ্ায়ক এম কোদানদারাম সহ বেশ কয়েকজন নেতা। ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় যৌথ সংগ্রাম কমিটির কর্মসূচি বানচাল করতে ক্যাম্পাস দখলে নিয়েছে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী। পুরো এলাকা ব্যারিকেড করে রাখার ফলে প্রবল উত্তেজনা রয়েছে। পৃথক তেলেঙ্গনার দাবিতে ১০০০০ ছাত্র অনশনে বসবে বলে পরিকল্পনা করেছিল কমিটি। কিন্তু হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার এ কে খান বলেছেন ওই কর্মসূচির কোনও অনুমতি ছিল না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে তিনি বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে ঢোকা নিষিদ্ধও করেছেন। শহরে পাঁচ বা তার বেশি মানুষের সমাবেশ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত নির্দেশের প্রতি তিনি এদিন আলোকপাতও করেছেন। তেলেঙ্গনা বিক্ষোভের øায়ুকেন্দ্র ওসমানিয়ায় এই মাসের প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে ছাত্র ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। এপিপি, কলকাতা: ফের মাওবাদী ইস্যু নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অস্বস্তিতে ফেললেন তৃণমূলের বিতর্কিত সাংসদ সদস্য কবীর সুমন। জঙ্গলমহল থেকে অবিলম্বে যৌথ বাহিনী তুলতে হবে। মঙ্গলবার কলকাতা ইউনিভারসিটি হলে আয়োজিত এই কনভেনশনে তিনি দাবি করেন রাজ্যের সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী যখন নিজেই জঙ্গলমহলে উপস্থিত তখন তাঁরই দলের সাংসদ সদস্যের এহেন আচরণ নতুন করে বিতর্কের ইন্ধন জোগাবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। এ পি ডি আর, লালগড় মঞ্চ, মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতি, নারী ইজ্জত বাঁচাও কমিটি, বন্দি মুক্তি কমিটিসহ বেশ কিছু সংগঠনের ডাকা এই আলোচনা চক্রে জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরাতে রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার সমালোচনা করা হয়। পাশাপাশি বন্দিমুক্তি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনায় সরব হন বক্তারা। রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হওয়া এই আলোচনাসভায় সক্রিয়ভাবেই অংশ নেন সুমনবাবু। কবীর সুমন মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গল মহল সফরকে স্বাগত জানালেও তিনি যেভাবে বিনা শর্তে যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার দাবি তুলেছেন তা কার্যত দলনেত্রীর উদ্যোগের বিরোধিতার সামিল। শুধু তাই নয় তাঁর সহকর্মী রাজ্যের শ্রম মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর নাম করেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের এই বিতর্কিত সংসদ সদস্য। তাঁর দাবি, সম্প্রতি পূর্ণেন্দুবাবু এক টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন প্রয়োজনে জঙ্গল মহলে বন্দুক হাতে উন্নয়ন করতে হবে। ‘শ্রমমন্ত্রীর এই কথায় আমি শঙ্কিত বলে দাবি করেছেন কবীর সুমন।
তিনি মনে করেন, জঙ্গলমহলে যৌথ বাহিনী রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। তবে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী একবারও সেখানে যাওয়ার সাহস না দেখালেও মমতার যাওয়াটা ইতিবাচক বলেই তাঁর ধারণা। মুখ্যমন্ত্রী বন্দিদের প্রত্যেকের মামলা আলাদা আলাদা করে বিবেচনা করে তবেই তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার বিরোধিতা করেছেন কবীর সুমন। তাঁর মতে, ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার যেভাবে সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি দিয়েছিল সেই মডেলেই বর্তমান বন্দিদের বিষয়টি দেখা উচিত। এছাড়া ইউ এ পি এ আইন বাতিলের দাবিও তোলেন তিনি। এদিনের সভায় জঙ্গলমহল থেকেও বেশ কিছু প্রতিনিধি অংশ নেন। এপিপি, কলকাতা: জনসংখ্যা বৃদ্ধি রুখতে যুবকদের এগিয়ে আসার আহ্ান জানাল নয়াদিল্লি। একইসঙ্গে জন্মহার কমাতে মহিলাদের মতামতের গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টিকেও জোরদার করার পরিকল্পনা নিল নয়াদিল্লি। একইসঙ্গে আঠারোতে প্রাপ্তবয়স্ক হলেও মেয়েদের কমপক্ষে ২০ বছর বয়সের আগে বিয়ে না করারই পরামর্শ দিল নয়াদিল্লি। ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী অজয় মাকেন সহ যোজনা কমিশনের সদস্য (স্বাস্থ্য) শাহিদা হামিদা, স্বাস্থ্যসচিব কে চন্দ্রমোলি, বিশেষ সচিব পি কে প্রধান সহ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জনসংখ্যা স্থিরতা কোষের কার্যনির্বাহী অফিসার ধরিত্রী পান্ডা প্রত্যেকই একই সুরে সামাজিক উন্নয়নের কথা বলেন। গত দশ বছরে সমস্ত ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ১৯ কোটি বেড়ে গিয়ে ১২১ কোটিরও বেশি হয়ে যাওয়ায় চিন্তিত নয়াদিল্লি তরুণদের সচেতন হওয়া তথা সমাজকে সচেতন করতে দূত হিসেবে কাজ করার কথা বলেন।
জনসংখ্যার বিচারে ভারত এই মুহূর্তে বিশ্বের দ্বিতীয়। চিনের পরেই। তবে বর্তমান জন্মহার বজায় থাকলে ২০২০ সালে তা ১৩৯ কোটি হবে বলে উল্লেখ করেন অজয় মাকেন। বলেন, সেদিন আমরা জনসংখ্যায় চিনকেও ছাপিয়ে যাব। অথচ কার্যক্ষমতায় চিন বা জাপানকে ছুঁতে পারছি কই ? প্রশ্ন রাখেন তিনি। উদয়ন পাল, কলকাতা: পদ্মার ইলিশ বাঙালির পাতে সহজলভ্য করতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের হস্তক্ষেপ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে মমতা বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার পদ্মার ইলিশের উপর ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ধার্য করেছে। ফলে ইলিশের উৎপাদন যাই হোক না কেন, আমদানিকারীদের ভারতে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আনতে সরকার নির্ধারিত দরে তা কিনতে হচ্ছে। উৎপাদন বেশি হলেও বাজারে ইলিশের দাম কখনও কমছে না। সেই কারণে মমতা চান, বাংলাদেশ সরকার ইলিশের উপর ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য তুলে নিক এবং অবাধ রপ্তানির ব্যবস্থা চালু করুক। তাহলে রাজ্যের বাজারে সস্তায় পৌঁছাবে বাংলাদেশের ইলিশ। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফর কালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টি যাতে তোলেন, সেই অনুরোধই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাহুল গান্ধী এপিপি, কলকাতা : অঝোর বৃষ্টি। রাত থেকেই আকাশ ছিল থমথমে। অনেকেই ভেবেছিলেন, আকাশ থেকে তেড়েফুঁড়ে নামা বৃষ্টিতে হয়তো দফারফাই হল রাহুলের মহাপঞ্চায়েত। হল বরং ঠিক উল্টোটাই। হাজার হাজার মানুষ বৃষ্টি মাথায় করে রাহুলের কথা শুনলেন। মহাপঞ্চায়েতে এসেছিলেন যাঁরা, তাঁরা সকলেই কিন্তু কৃষক নন। রাহুল গান্ধীর কথা শুনতে ভিড় করেছিলেন সাধারণ বহু মানুষও। শত্র“র মুখে ছাই। আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে রাহুলের জনপ্রিয়তার গ্রাফ যে ঊর্ধ্বমুখী, তা জানান দিল আলিগড়ে মহাপঞ্চায়েত। শুক্রবার থেকেই আলিগড়ে মানুষের জমায়েত বাড়তে হোটেল, ধর্মশালায় ঘর পাওয়াই দুষ্কর। এক কথায়, মহাপঞ্চয়েতে রাহুল পেয়েছেন একশোয় একশো। জমি অধিগ্রহণ ইস্যুতে কৃষক রাজনীতিতে হাতেকড়ির পরপরই দারুণ নম্বর পাওয়া রাহুল বলেছেন, ‘‘সরকারি গজদন্তমিনারে বসে যোজনা কমিশন উন্নয়নের যে পরিকল্পনা করে, তার চেয়েও বেশি জীবনমুখী মাটিতে থাকা মানুষ। আমি তাই কেবলই শিখছি।” স্বাগত জানাল প্রবল করতালি। রাহুল বললেন, ‘‘এই কয়েকদিন পদযাত্রা থেকে যা শিখেছি, তা আমার জীবনকে ধন্য করেছে। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।” রাহুলের কথাবার্তা মা-মাটি-মানুষের আন্দোলনকেই মনে পড়িয়ে দিচ্ছে নাকি ? কথায় বলে, একটি স্ফুলিঙ্গই দাবানল জ্বালাতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-মাটি-মানুষের স্ফুলিঙ্গ এখন উত্তরেও। মাটির রাজনীতি যেন পুরনো গানের মতো লাবণ্য মেখে ফের ফিরছে। তাতে লাভ এই, মাটির মানুষের আশা জাগছে। না, আর একা নই, কেউ পাশে আছে। মহাপঞ্চায়েতে আসা কৃষকরাজ কিশোর যা বললেন তার সারমর্ম, কৃষকদের সুদিন আসছে। নতুন দিনের নায়ক হবেন চাষাভুষোরা। এ সময়ে এই রাজনীতির উদ্ভব তো উত্তরপ্রদেশে নয়, নতুন শতাব্দীর মাটির রাজনীতির সূতিকাগার তো বাংলা। সে কথাও এদিন একবাক্যে মেনেছে মহাপঞ্চায়েত। রাহুল, ‘চেয়েছিলাম কৃষকরা মাথা উঁচু করে প্রতিবাদ করুন। পেরেছি।’ মহাপঞ্চায়েতে রাহুলের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সচিন পাইলট, রীতা বহুগুণার মতো নেতারা। রাহুল জানিয়েছেন, ইউপিএ সরকার কৃষকদের পাশে রয়েছে। আগামী বাদল অধিবেশনে কৃষক স্বার্থরক্ষায় জমি অধিগ্রহণ বিল আনতে চলেছে নয়াদিল্লি। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি বলেছেন, ‘‘ওই নতুন বিল কৃষকদের উন্নয়ন ও কল্যাণের দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।” মহাপঞ্চায়েতের সাফল্যের মায়াবতীর ঘাড়ের উপর রাহুলের নিঃশ্বাস পড়ল। তবে কি বহেনজির ছুটির ঘন্টা বাজল ? আসছে বছর তার উত্তর দেবে ব্যালট। উদয়ন পাল, কলকাতা: জন লোকপাল বিল ইস্যুতে সরকারের উপর চাপ বহাল রাখলেন আন্না হাজারে। ১৬ আগস্টের প্রস্তাবিত অনশন থেকে তিনি পিছু হটছেন না, সে কথা রোববার আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন আন্না হাজারে। রামলীলা ময়দানে রামদেবের আন্দোলন বানচান করতে যেভাবে পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবহার করা হয়েছে, যন্তরমন্তরে আন্না আয়োজিত আসন্ন অনশন আন্দোলনে তা প্রযুক্ত হতে পারে বলে ইঙ্গিত থাকলেও অনশন আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসছেন না প্রবীণ গান্ধীবাদী নেতা। সংসদের বাদল অধিবেশনে কড়া লোকপাল বিল পেশ করা না হলে ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হবে তাঁর আমরণ অনশন। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভারত’ শীর্ষক আন্দোলনের মুম্বাই শাখা অফিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আন্না সমালোচনা করেছেন লোকপাল নিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী কপিল সিবালের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ারও। ভারতে নাগরিক সমাজের ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে আটের দশকে রাজীব গান্ধীর পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা প্রচলনের প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন হাজারে। বলেন, ভারতের পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা প্রচলনের জন্য তদানীন্তর প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রাজীব গান্ধী পাঁচ লক্ষেরও বেশি গ্রাম প্রধানের কাছে অভিমত চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। বিষয়টি ঐতিহাসকি বলেই প্রয়াত গান্ধী গ্রাম প্রধানদের কাছে অভিমত চেয়েছিলেন। আসলে জনগণকে বিষয়টির সঙ্গে একাÍ করে তুলতে চেয়েছিলেন রাজীব। লোকপালের মতো বিলের ক্ষেত্রে নাগরিক সমাজকে অন্তর্ভুক্ত করা অবশ্য করণীয় সরকারের। কড়া লোকপাল বিলের সমর্থনে আগামী ১৬ আগস্ট রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত আলো নিভিয়ে দেশবাসীকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্ান হানিয়েছেন আন্না। লাঠি নয়, এবার তিনি গুলির মুখোমুখি হতে চান। এদিকে গত বছর কয়েকদিন পরিষেবা বন্ধের জন্য রিলায়েন্স-এর ক্ষতিপূরণে কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা পক্ষপাতমূলক আচরণে প্রধানমন্ত্রীকেই ব্যবস্থা নিতে হবে বলে তাঁর কাছে আর্জি পেশ করেন সত্তরোর্ধ্ব গান্ধীবাদী নেতা। |
বিভাগীয় সম্পাদক
প্রিয় পাঠক আপনাদের জন্যই পশ্চিম বঙ্গের লেখা দিয়েই আমাদের এ বিশেষ আয়োজন। তাই এ সম্পর্কে মতামত জানিয়ে আমাদের চলার পথকে আরো প্রসারিত করুন. বিষয় ভিত্তিক লেখা
All
আর্কাইভ
April 2018
|