ঢাকা: দেশের ইতিহাসে প্রথম নারী স্পিকার হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন শিরিন শারমিন চৌধুরী।
সংরক্ষিত নারী সাংসদের আসন থেকে এর আগে আর কেউ স্পিকারের পদে আসেননি। ৪৬ বছর বয়সী শিরিন শারমিনের চেয়ে কম বয়সেও কেউ সংসদের কর্তৃত্ব পাননি।
স্পিকার পদে আবদুল হামিদের উত্তরসূরি হিসাবে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে শিরিন শারমিন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তার এই প্রস্তাবে সমর্থন দেন হুইপ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি।
অধিবেশনে সভাপতিত্বকারী ভারপ্রাপ্ত স্পিকার শওকত আলী কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী প্রস্তাবটি ভোটে দিলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। আর কোনো প্রার্থী না থাকায় শিরিন শারমিন চৌধুরীকে জাতীয় সংসদের ১৩তম স্পিকার হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন ভারপ্রাপ্ত স্পিকার।
সংসদ নেতা শেখ হাসিনাসহ ১৪১ জন সংসদ সদস্য এ সময় অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে সংসদ বর্জন করে আসা বিরোধী দলের কেউ অধিবেশনে ছিলেন না।
জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর নবম সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি হওয়ায় সরকারের মেয়াদের আট মাস বাকি থাকতে এই পদে নির্বাচন হলো।
আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শুরু করার পর ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী ভারপ্রাপ্ত স্পিকারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। নতুন স্পিকারের শপথের মধ্য দিয়ে তার সেই দায়িত্বের অবসান ঘটবে।
সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সন্ধ্যায় নতুন স্পিকারকে শপথ পড়াবেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসা শিরিন শারমিন চৌধুরীকে সোমবার স্পিকার পদে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় কার্যত তখনই ৪৬ বছর বয়সী শিরিন শারমিনের নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যায়।
শিরিন শারমিন স্পিকার নির্বাচিত হওয়ায় সংসদের কর্তৃত্বময় তিনটি পদই থাকছে নারীদের হাতে। সংসদ নেতার দায়িত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা হচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এদের সঙ্গে সংসদ উপনেতাও একজন নারী, তিনি হলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
শেখ হাসিনার সরকারে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন নারীরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন- কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন।