ঢাকা: ছাত্র রাজনীতিতে আবর্জনামুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগের ক্লিন ক্যাম্পাস, সেফ ক্যাম্পাস কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগের গুটিকয়েক নেতাকর্মীর জন্য গোটা ছাত্রলীগ বদনামের ভাগীদার হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সোনালী অর্জন বৃথা যেতে পারে না। তাই ক্যাম্পাসকে আবর্জনামুক্ত করলেই হবে না, পুরো ছাত্র রাজনীতিকে আবর্জনা মুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, আমি মাঝে মধ্যে কিছু আনপ্লেজান্ট কথা বলি। এটা দলের ভালোর জন্য বলি, আমাদের ভালোর জন্য বলি।
তিনি বলেন, এই যে আমার সামনে তরুণরা বসে আছেন। এদের দুই চোখে কত সোনালী স্বপ্ন। অথচ তারা রাজনীতি করে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে, শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে। কিন্তু সামান্য কয়েকজনের জন্য গোটা পার্টির বদনাম হতে পারে না।
ছাত্রলীগকে নিজের স্বপ্নের সংগঠন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে আমাকে বলেন, ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে কেন যান। আমি তাদের বলি কেন যাব না? আমার রাজনীতির জন্ম হয়েছে ছাত্রলীগ থেকে। ছাত্রলীগ আমার শৈশবের ভালোবাসা, কৈশরের উচ্ছ্বাস এবং প্রথম যৌবনের প্রেম। তাই ছাত্ররাজনীতিকে পরিচ্ছন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু পরিবেশ নয় আমাদের পলিটিঙ ও দূষণমুক্ত রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বেপরোয়া চালকরা যেমন দুর্ঘটনা ঘটায়। তেমনি বেপরোয়া রাজনীতিও চালকের মতোই ভয়ঙ্কর। তাই আমরা কেউ বেপরোয়া হব না।
তিনি বলেন, রঙ মিনস দিয়ে কখনো রাইট চেঞ্জ সম্ভব নয়। পজেটিভ চেঞ্জ করতে হলে নিজেদের মন মানসিকতাকেও পজেটিভ করতে হবে।
ছাত্রলীগের গৃহীত এ কর্মসূচির প্রশংসা করে একে সফল করতে ছাত্রলীগসহ ক্যাম্পাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা।
ক্লিন ক্যাম্পাস, সেফ ক্যাম্পাস কর্মসূচির আওতায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা নিজ হাতে পরিষ্কার করে ডাস্টবিনে ফেলবে। সোমবার থেকে শুরু হয়ে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সাত দিনব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।