যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, বিচার প্রক্রিয়া আমরা সম্পন্ন করবোই। বিচার প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে এগুচ্ছে। পারলে সহযোগিতা করুন। বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিতর্কের জন্ম দেবেন না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
যুদ্ধাপরাধ বিচার বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলকে সতর্ক করে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকবে। বিচারের বিরোধিতাকারীরা মনে করে বিচারে কোনো রকম কালিমা লাগাতে পারলেই যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে পারবে। এ জন্য অব্যাহত ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, চেষ্টা যতোই করুক কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে।
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা এখন ক্ষমতায়। অনেকেই ভোল পাল্টে দলে আসতে চাইবে। অপকর্ম করে নানাভাবে অপবাদ দেবে। সে বিষয়েও সজাগ থাকবেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, বিএনপিকে জামায়াতের থেকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। আলাদা দলের হলেও আদর্শগত মিল আছে তাদের। আর লক্ষ্য উদ্দেশ্য একই। উভয়েরই লক্ষ্য যুদ্ধাপরাধের বিচারে বাধা সৃষ্টি করা এবং সরকারকে বিতর্কিত করা।
তিনি এ সময় দলের নেতা-কর্মীদের জামায়াতের মতোই বিএনপির ব্যাপারেও সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, জামায়াতকে প্রতিরোধ বা প্রতিহত না করে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে তাদের বিতাড়িত করতে হবে। এজন্য তিনি সাংবিধানিক ভাবে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।