বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমাকে এ বাড়ি থেকে বের করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। সরকার অযৌক্তিকভাবে যখন আমাকে বের করে দিতে চেয়েছিলো আমি সর্বোচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হই। কিন্তু তার আগেই সরকার আমাকে বাড়ি থেকে টেনে হিচড়ে বের করে আনলো। এতে মহামান্য আদালতের সম্মান ও ভাবমূর্তি দলিত হলো। খালেদা জিয়া বলেন, সরকারের এ আচরনে আমি শুধু অপমানিও ও লাঞ্ছিতই নই লজ্জিতও। তার বিরুদ্ধে অমানবিক আচরন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, সারাদিন আমাকে কিছু খেতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। অথচ তারা মিথ্যা কথা বলছে। আমি নাকি আমার বাড়ি ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছি। সব মিথ্যা, বানোয়াট। ‘নিজে যেতে না চাইলে তুলে নিয়ে যাও’ বলেও একজন হুমকি দিয়েছে।
তারা জবরদস্তি আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। গ্রীল কেটে তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকেছে। আমার লোকজনকে মারধর করেছে। লাথি মেরে মেরে বেডরুমের দরজা ভেঙ্গেছে। আমাকে টানতে টানতে বাইরে এনেছে। তিনি বলেন, আমি বিরোধী দলের নেত্রী। তিন দফায় প্রধানমন্ত্রী ছিলাম, সাবেক সেনা প্রধানের স্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্র প্রধাননের স্ত্রী হিসেবেও সামান্য মর্যাদাটুকুও আমাকে দেখানে হয় নি। এতেই আমরা বুঝতে এই সরকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কেমন আচরন করবে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে খালেদা জিয়া বলেন, আমি এর বিচারের ভার মহান আল্লাহার হাতে ছেড়ে দিলাম। দেশ বাসির কাছে ছেড়ে দিলাম। এ পর্যায়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন খালেদা জিয়া। দলের নেতা-কর্মীরাও এসময় আবেগ ধরে রাখতে পারেন নি। খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমার ঘরের দরজা ভেঙ্গে তারা ঢুকেছে। ঘর তছনছ করেছে। মালামালের কোনো তালিকাও তারা আমাকে দেয়নি। সরকারের এ আচরন নজির বিহীন। তিনি বলেন, ‘আমার স্মৃতিময় বাড়িটির সাথে আমার সব সম্পর্ক জোর করে ছিন্ন করা হলো।’ এ কথা বলে আবারও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন খালেদা জিয়া। কান্নার রোল ওঠে নেতা-কর্মীদের মাঝেও। এরই মধ্যে খালেদা জিয়া দ্রুত তার গুলশানের কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান।