ঢাকা: হাসানুল হক ইনুতথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘গণমাধ্যমের গায়ে হাত তোলা হচ্ছে অমার্জনীয় অপরাধ। এই অপরাধে যিনিই যুক্ত থাকুন না কেন, তিনি মন্ত্রী হোন বা এমপি হোন, তাঁকে আদালতের বারান্দায় দাঁড়াতেই হবে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে তথ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইনু এ কথা বলেন।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য গণমাধ্যমকে আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের সহযোগিতা করুন। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকরা কর্ম বাস্তবায়নে ত্রুটির কথা বলেছেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দিক নির্দেশনা চেয়েছেন।মন্ত্রী বলেন, ‘আদালতে দাঁড় করানোর মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতি সরকারের শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে। আশা করি, আপনারা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করবেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদকর্মীদের জন্য অষ্টম মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ আনুষ্ঠানিকভাবে অতিসত্বর গেজেট আকারে ঘোষণা করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো দিন-তারিখ ঘোষণা করেননি তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ইনু বলেন, ডিসিরা তাঁদের নিজ এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও ত্র“টির কথা তুলে ধরে সেগুলোর সমাধান চেয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন উসকানি কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, এ জন্য ডিসিরা পরামর্শ চেয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, অনলাইন পত্রিকায় অনেক ভালো ভালো খবর আসছে। পাশাপাশি বহু অপপ্রচার এবং গুজবও আসছে। তাই অনলাইন পত্রিকার এসব অপপ্রচার ও গুজব গণতন্ত্রকে খানিকটা বিঘিœত করছে। যাঁরা এসব উসকানি দিচ্ছেন, মিথ্যাচার করছেন, তাঁদের কীভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে সে বি য়ে তাঁরা (ডিসিরা) জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, অনলাইন পত্রিকার জন্য নীতিমালা হচ্ছে। তবে আমরা নিয়ন্ত্রণের নামে কণ্ঠরোধ করতে চাই না। এটাই আমাদের মূলনীতি। উসকানি ঠেকানোর জন্য প্রচলিত আইন আছে। পাশাপাশি আরও বাড়তি আইন করা যায় কি না, সে বিষয়ে নীতিনির্ধারকেরা চিন্তা-ভাবনা করছেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তা মন্ত্রী-এমপি কেউই যথাযথভাবে তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ করতে পারছেন না। এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। সাংবাদিকরা তথ্য অধিকার আইন কাজে লাগিয়ে প্রশাসনকে স্বচ্ছ রাখা, জবাবদিহি রাখার কাজটি তথাযথভাবে করতে পারছেন না।