রাজনীতি ডেস্ক: ‘সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন ভিশনারি’ পুরস্কার মা শেখ হাসিনার পক্ষে নিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়, যিনি ক’দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে ‘গ্লোবাল সাউথ সাউথ ডেভেলপমেন্ট এক্সপো-২০১৪’ এর ৫ দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিন শুক্রবার এই পুরস্কার নেন জয়।
এপিপি বাংলা ডটকম
রাজনীতি ডেস্ক: ‘সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন ভিশনারি’ পুরস্কার মা শেখ হাসিনার পক্ষে নিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়, যিনি ক’দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে ‘গ্লোবাল সাউথ সাউথ ডেভেলপমেন্ট এক্সপো-২০১৪’ এর ৫ দিনব্যাপী সম্মেলনের শেষ দিন শুক্রবার এই পুরস্কার নেন জয়।
0 Comments
এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: জামায়াতের ঔরশ থেকে বিএনপির জন্ম অভিযোগ করে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, কেউ কারো ঔরশকে ভুলতে পারে না। বিএনপি এখন জামায়াতকে ত্যাগ করার একটা নাটক করছে। বিএনপি দেখাচ্ছে, তারা ভালো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাদের এই ভালো কতদিন থাকে তার ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের হল রুমে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াত সৃষ্ট সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অপপ্রচারে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি গনতান্ত্রিক দল হওয়ার ভাব দেখাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি এখন বলছে যে তারা জামায়াতকে ত্যাগ করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বিএনপি যে আন্দোলন করছে, তা কোনো সরকারের বিরুদ্ধে নয়। তারা আন্দোলন করছে পুরো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে।তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ভালো হয়েছে না খারাপ হয়েছে তা কোনো আলোচনার বিষয় হতে পারে না। এই নির্বাচন হয়েছে সাংবিধানিক ধারা অনুযায়ী। ভবিষ্যতেও যদি কোনো নির্বাচন হয় তবে তাও সাংবিধানিকভাবেই হবে। খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভেকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি জামায়াত থেকে বেরিয়ে আসার যে আবহ তৈরি করছে তা আরেকটি নতুন এক ষড়যন্ত্র। কারণ জামায়াতের খোলস থেকেই তাদের জন্ম। তারা নতুন করে একটা ষড়যন্ত্রের কৌশল অবলম্বন করছে। তিনি বলেন, নির্বাচন ভালো না মন্দ হয়েছে সে বিষয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। একইসঙ্গে সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সরকার মুক্তিযুদ্ধের মিথ্যা ইতিহাস রচনা করে তরুণ প্রজন্মদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস দূরে রেখেছিল। বিএনপির সমালোচনা করে কামরুল বলেন, জিয়াউর রহমান সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি পাকিস্তানের আইএসআই’র নির্দেশে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। আইএসআই’র মাধ্যমেই বিএনপির রাজনীতির সূত্রপাত হয়। তারা বিগত কয়েকদিনে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ক্যাপ্টেন এবিএম তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, জামায়াত নির্বাচনে আসতে পারছে না যেনে বিএনপিও নির্বাচনে না এসে ৫১৮ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, দেশে কোনো মাঝারি দল হয়ে থাকার সুযোগ নেই। হয় স্বাধীনতার পক্ষে থাকতে হবে না হয় স্বাধীনতার বিপক্ষে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য করে আমাদের রাষ্ট্রকে নিয়ে তারা ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠেছিল। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা স্বাধীনতার মূলকথাই হচ্ছে, সবসময় তৎপর ও সজাগ থাকা। তিনি আরো বলেন, লাঠির বিপরীতে লাঠি দিয়ে আঘাত না করে যে আইন রয়েছে আমাদের তার সঠিক প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে প্রেসিডিয়াম সদস্য নরুজ্জামান বল্টু, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম মহাসচিব শফিকুল ইসলাম মজুমদার টিপু, উপ-দফতর সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এম এ করিম প্রমুখ। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: দশম জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পটুয়াখালী-২ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ। তিনি ৯ম সংসদের হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর শুক্রবার চিফ হুইপসহ হুইপদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় বলে জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়। তার সঙ্গে হুইপ হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন শেরপুরের সাংসদ আতিউর রহমান আতিক, দিনাজপুরের ইকবালুর রহিম,মৌলভীবাজারের মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন,চুয়াডাঙ্গার সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ( ছেলুন) ও নওগাঁর শহীদুজ্জামান সরকার। সংসদ সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখার উপ পরিচালক নাজমুল হুদা জানান, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে শুক্রবার প্রধান হুইপ ও হুইপ নিয়োগের এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নবম সংসদে যারা হুইপ ছিলেন, তাদের মধ্যে একমাত্র ফিরোজই এই দায়িত্বে ফিরেছেন। বাকি হুইপরা সবাই গত সংসদে সাংসদ থাকলেও হুইপের দায়িত্বে এসেছেন এবারই প্রথম। মোট পাঁচবার পটুয়াখালী-২ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়া আ স ম ফিরোজ রাজনীতিতে আছেন কলেজ জীবন থেকেই। তিনি প্রথমবার সংসদে আসেন ১৯৭৯ সালে, জিয়াউর রহমানের বিএনপি সরকার তখন ক্ষমতায়। ১৯৮৬ সালে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে বিজয়ী হলেও পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন ফিরোজ। পঞ্চম, সপ্তম ও নবম সংসদেও তিনি সদস্য নির্বাচিত হন। আ স ম ফিরোজ নবম সংসদে হুইপের দায়িত্বে থাকার পাশাপাশি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিসহ দুটি কমিটিতে সদস্য ছিলেন। ১৯৫৩ সালের ১ ফেব্র“য়ারি জন্ম নেয়া ফিরোজ ইতিহাসে মাস্টার্স করেন বরিশাল বিএম কলেজ থেকে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা এই রাজনীতিক দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। নওগাঁ-২ আসনের সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকারের কর্মজীবন শুরু হয়েছিল সরকারি চাকরি দিয়ে। ১৯৮৬ সালে সহকারী জজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি আইন পেশায় নাম লেখান এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। শহীদুজ্জামান প্রথমবারের মতো সংসদে আসেন ১৯৯১ সালে, পঞ্চম সংসদে। ওই সময় তিনি ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নবম সংসদে শ্রম ও কর্মসংস্থান মনস্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্যের দায়িত্বও পালন করেন শহীদুজ্জামান। ৫৯ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ দুই পুত্র সন্তানের জনক। ১৯৯২ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা ইকবালুর রহিম দিনাজপুর-৩ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন নবম সংসদে। ওই সংসদে তিনি বেসরকারি সদস্যদের বিল এবং বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৬৫ সালের ১৬ আগস্ট জন্ম নেয়া এই আওয়ামী লীগ নেতার বাবা এম আবদুর রহিমও ছিলেন একজন সাংসদ এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রিধারী ইকবাল পেশায় ব্যবসায়ী। তার দুটি মেয়ে ও একটি ছেলে। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাংসদ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ( ছেলুন) জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৬ সালের ১৫ মার্চ। নবম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো সাংসদে আসেন তিনি। নবম সংসদে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এই মুক্তিযোদ্ধা। জাতীয় সংসদ থেকে প্রকাশিত সাংসদদের জীবনবৃত্তান্ত অনুযায়ী, সোলায়মান জোয়ার্দ্দার লেখাপড়া করেছেন এসএসসি পর্যন্ত। তার পেশা ব্যবসা। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: দেশের সামরিক বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনের পেছনে লনে আয়োজিত এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গাওয়া দেশাত্মবোধক গানে গলাও মিলিয়েছেন তিনি। ছুটির দিনে গণভবনের এ ব্যতিক্রমী মিলনমেলা মুগ্ধ করেছে অতিথিদেরও। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শুক্রবার বিকেলটি ছিল অন্য দিনের চেয়ে আলাদা। প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে অতিথি হয়ে এসেছিলেন সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। এ সময় ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দেশের বিশিষ্ট জনেরা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমেই ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে সকলের মিলনমেলায়। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের পেছনের মাঠে জমে ওঠা আড্ডার সমাপ্তি ঘোষণার আগে বিশিষ্টজনদের আবৃত্তি, গান ও বিভিন্ন পরিবেশনায় প্রাণোচ্ছ্বল হয়ে ওঠে আয়োজনস্থল। সঙ্গীত পরিবেশন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকারও।গান-আবৃত্তি পরিবেশনে জমে ওঠা আড্ডায় পিঠাপুলি ও মুখরোচক খাবারের আয়োজনে এতটুকুন অমনোযোগী হননি ভোজনরসিকরা। বরং অনেককে ঘরোয়া সাংস্কৃতিক আয়োজনে মনোনিবিষ্ট থাকার চেয়ে খাবার-দাবারেই আবিষ্ট থাকতে দেখা গেছে বেশি। এর আগে, বিকেল ৪টার দিকে আয়োজনস্থলে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে আমন্ত্রিত সকল অতিথির সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। এসময় বাংলাদেশের হয়ে স্পেশাল অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেশের হয়ে আরও বেশি সাফল্য বয়ে আনার জন্য প্রার্থনা করেন বঙ্গবন্ধু তনয়া। পিঠা খেতে সপরিবারে জড়ো হওয়া বিশিষ্টজনদের যেন মিলনমেলা বসে গণভবনের পেছনের দিকের মাঠে। প্রধানমন্ত্রীর পিঠার দাওয়াত গ্রহণ করে শুক্রবার বিকেল আড়াইটা থেকেই তার বাসভবন গণভবনে মিলিত হতে থাকেন সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের মাধ্যমে টানা দ্বিতীয় দফায় সরকার গঠন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। নতুন সরকার গঠনের পর প্রশাসন ও বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় এবং আনন্দমুখর সময় কাটানোর লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে নিমন্ত্রণ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের চায়ের দাওয়াত দেন শেখ হাসিনা। সেই চা-চক্রও সংবাদ মাধ্যমের নবীন-প্রবীণ কর্মীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।প্রধানমন্ত্রীর শুক্রবার বিকেলের এই আমন্ত্রণে অংশ নিতে গণভবনে সস্ত্রীক হাজির হন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারীসহ তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। উপস্থিত হন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, ডিএমপি কমিশনার বেনজির আহমেদসহ বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন বলেন, নতুন সরকার গঠনের পর বিশিষ্টজনদের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য এবং তাদের সঙ্গে আনন্দমুখর সময় কাটানোর জন্য এ ধরনের আয়োজন করছেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সব মহলের বিশিষ্টজনদের সম্পৃক্ত করতে এই কুশল বিনিময়ের আয়োজন করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই দাওয়াতে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ন করতে আয়োজনস্থলে মুখরোচক বিভিন্ন খাবার, বাহারি রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে রাখা হয়। ছিল কাবাব, পরোটা, ফুসকা, চটপটি, কফির আয়োজনও।অনেক ভোজনরসিককেই দেখা যায় ভাঁপা, চিতই, পাটি সাঁপটা পিঠা, কাবাব, পরোটাসহ বিভিন্ন রকমের খাবারের স্টলে ভিড় জমাতে। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের অধীনে কাজ করা দেশের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের শতাধিক কর্মীকেও ব্যস্ত দেখা যায় ভোজনরসিকদের সামলাতে।ঘর সাজানোর কুটির শিল্পের স্টলেও অতিথিদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। পাল্লা দিয়ে খাবার সাবাড়ের পাশাপাশি প্রশাসন ও সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে দেশের হয়ে অবদান রাখা বিশিষ্টজনদের উচ্ছ্বল আড্ডা গণভবনের মাঠকে করে তোলে আরও প্রাণবন্ত। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: সব বাধা উপেক্ষা আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সামনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপস্থাপন করতে পেরেছে।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। রোববার বিকেল ৪টায় শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভোট পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীয় সদস্য তোফায়েল আহমেদ। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল ভোট বর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। হরতাল ডেকে নির্বাচন প্রতিহত করার হুমকিও ছিল তাদের। তোফায়েল আহমেদবলেন, বিরোধী দলীয় নেত্রীর কোনো আন্দোলনই সফল হয়নি। সর্বশেষ নির্বাচন প্রতিহত করার ডাকেও মানুষ সাড়া দেয়নি। সারা দেশে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সহিংসতার মধ্যে মানুষ ভোট দিয়েছে।তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষক আশুতোষ জিন্দাল বলেছেন, শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।সুতরাং আওয়ামী লীগ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপস্থাপন করতে পেরেছে। গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। সারা দেশে দু-একটি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হচ্ছে বলে দাবি করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, দু-একটি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া আমরা নির্বাচন সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে পেরেছি। আমি এ জন্যে এর সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, বিএনপি এই নির্বাচন বন্ধ করতে অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু সফল হতে পারেনি। আজ সারা দেশের ১৮ হাজার ২০৮ টি কেন্দ্র ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ১৪৭ টি আসনে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখতে হয়েছে। বাকি কেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। তিনি দাবি করেন, নির্বাচন যথাযথভাবে হয়েছে। বিএনপি এই নির্বাচন প্রতিহত করতে চেয়েছিল, কিন্তু দেশের মানুষ তা হতে দেয়নি।এই নির্বাচনে সরকার কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার করেনি দাবি করে তোফায়েল বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। এই নির্বাচনে যারা জয় লাভ করবে তারাই সরকার গঠন করবে। নির্বাচনকে গণতন্ত্রের বিজয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের বিজয় হয়েছে। তাফায়েল বলেন, জনগণ তার (খালেদা জিয়া) আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। প্রতিবন্ধকতা, নাশকতা সত্বেও টার্নআউট সন্তোষজনকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি অনেক চেষ্টা চালিয়েও সফল হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই নির্বাচনের বিকল্প আর কিছু ছিল না’ দাবি করে আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা বলেন, নির্বাচন না করতে পারলে শূন্যতার সৃষ্টি হতো। দেশ কোথায় চলে যেত। খালেদা জিয়া সহিংসতার পথ বেছে নেন।তিনি গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এর সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা নেই। এভাবে গণঅভ্যুত্থান হয় না।নির্বাচনে বিদেশী পর্যবেক্ষকদের বরাদ দিয়ে তিনি বলেন, বিদেশী পর্যবেক্ষণের দক্ষিণ এশিয়া দলের প্রধান তিনি ভোট চলাকালীন সময় বলেছেন, নির্বাচন স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন প্রমুখ। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে তওবা করার আহ্বান জানিয়েছেন ।তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলনের নামে জনগণের ওপর যে অত্যাচার চালাচ্ছেন তা বন্ধ করুন। বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিরোধী দলের অবরোধ বিরোধী সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।কামরুল বলেন, একাত্তরে আমরা যাদের পরাজিত করেছি সেই পরাজিত শক্তি আবার নতুন করে তৎপর হয়ে উঠেছে। আন্দোলনের নামে অবরোধ দিয়ে মানুষকে জিম্মি করে দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। এসময় বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশী বন্ধুদের কাছে ধর্ণা না দিয়ে দেশের সাধারণ জনগণের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন আইন প্রতিমন্ত্রী। সমাবেশে খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আসুন সবাই মিলে দেশকে ভালোবাসি। নির্বাচন বানচাল করতে অনেক চেষ্টা করেছেন তা পারেননি। ভবিষ্যতে পারবেনও না। দুইটি জিনিস ছাড়া বিরোধী দলীয় নেতা সবকিছুই পারেন। তিনি শুধু পারেন না পাকিস্তান ও যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ছাড়তে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ, দফতর সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিলন প্রমুখ। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন বন্ধ করার অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, চক্রান্ত হচ্ছে। তারা এক-এগারোর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।বুধবার বিকেলে নতুন বছরের প্রথম দিন বুধবার রাজধানীতে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে মিরপুর, পল্লবী ও উত্তরায় তিনটি জনসভায় ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। বিকালে সর্বশেষ জনসভায় উত্তরার আযমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শেখ হাসিনা বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হবে। আমি আপনাদের অনুরোধ করব, প্রত্যেকে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। মনে করবেন না জিতেই তো গেছি, কেন্দ্রে গিয়ে কি হবে। বিরোধী দলের বর্জনের কারণে দশম সাংসদ নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। বাকি আসনগুলোতেই ৫ জানুয়ারি ভোট হবে।আযমপুর (ঢাকা-১৮) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহারা খাতুনের জন্য জনগণের ভোটও চান তিনি। নির্বাচন ঠেকাতে বিরোধী দল ও বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার আন্দোলনের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের নামে যারা মানুষ হত্যা করছে, নাশকতা চালাচ্ছে- একদিন এর বিচার বাংলার মাটিতে হবে। উনি হুকুমের আসামি হবেন। এর আগে দুপুরে পল্লবীর হোসেন মোল্লা পার্কে ঢাকা-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী মোল্লার পক্ষে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা করেন শেখ হাসিনা। নির্বাচন পেছানোর সুপারিশ করায় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তাদের কাজ হচ্ছে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে আবারো প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এক-এগার ভুলে যায়নি। ছাত্র-শিক্ষক-ব্যবসায়ী এমন কেউ নেই যে তাদের অত্যাচারের শিকার হননি।২০০৬-০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত সেই সরকারের সময় দেশের পরিস্থিতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার খালেদা জিয়ার দুই ছেলেকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে বিদেশ পাঠিয়েছিল। মানুষকে তারা কতোটা অত্যাচার করেছিল তা বিরোধীদলীয় নেতা ভুলে যান। শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ আর ওই সরকার চায় না, গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে চায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা কিংস পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছিল তারা এখনো সরব। অগণতান্ত্রিক সরকার হলে তাদের চাহিদা বাড়ে। তাই তারা নিজেরাই নিজেদের বিশিষ্ট নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ‘ষড়যন্ত্রকারীদের’ বিরুদ্ধে সজাগ হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। এর আগে মিরপুর ১০ নম্বরে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম জনসভায় বক্তব্য দেন তিনি। ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্থানীয় সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদারের সমর্থনে এই জনসভা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, মানুষ যা চায় আওয়ামী লীগ তা করে। আর মানুষ যা চায় বিএনপি তার উল্টোটা করে। তিনি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চান। শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো, জঙ্গিবাদ কায়েম করা, বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা, জ্বালাও- পোড়াও বিরোধী দলের কাজ। বোমাবাজি ছাড়া তারা আর কিছু বোঝে না, গণতন্ত্রও বোঝে না।রাজনৈতিক সহিংসতার জন্য বিরোধী দলীয় নেতাকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে মন্তব্য করে নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দেয়ার জন্যও তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।এ সভায় শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, নির্বাচন বন্ধ করার ‘ষড়যন্ত্রে’ চলছে। নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী বলেন, মানুষ যা চায় আওয়ামী লীগ তাই করে। আর মানুষ যা চায় বিএনপি তার উল্টোটা করে।যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো, জঙ্গিবাদ কায়েম করা, বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা, জ্বালাও- পোড়াও তাদের কাজ। বোমাবাজি ছাড়া তারা আর কিছু বোঝে না, গণতন্ত্রও বোঝে না। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ ও দলীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হক বক্তব্য দেন। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: বিএনপি ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মারছে। যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে, তাঁদের কোনো মানবিকতা নেই। শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা বাসের ভেতর আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করছে, যাত্রীসহ সিএনজি অটোরিকশায় আগুন দিয়ে মানুষ মারছে। এমনকি তারা হেফাজত ও জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে কোরআন শরিফও পুড়িয়েছে। যারা মানুষ পোড়ায়, কোরআনে আগুন দেয়, তাঁরা ধর্মে কীভাবে বিশ্বাস করে? বিরোধীদলীয় নেতাকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, কেন এভাবে পুড়িয়ে মানুষ মারবে? এতে তিনি কী পাচ্ছেন, কী লাভ হচ্ছে? প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি নিজে তাঁকে রেড ফোনে কল করেছি। আমি তাঁকে সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছি। আসলে উনি নির্বাচন চান না। তিনি বলেন, আমরা জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করি, জনগণের গণতন্ত্রায়নে বিশ্বাস করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির দুই গুণ, দুর্নীতি আর মানুষ খুন।যতই চেষ্টা করুক না কেন কোনো ভাবেই বিরোধী দল নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, মানুষকে আগুনে পোড়ানো বন্ধ করে রাস্তায় নামুন। দেখি কেমন আন্দোলন করতে পারেন।লোক ভাড়া করে বোমা হামলা করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবেন না। বাস পুড়িয়ে ছোট ছোট বাচ্চাদের সন্ত্রাসী ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বিরোধী দলকে নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়েই নির্বাচন কালীন সরকার করা হয়েছে।আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ও দিতে রাজি আছি, দয়া করে মানুষ পুড়িয়ে মারবেন না। তাহলে, মানুষ এর প্রতিশোধ নেবে, যাবেন কোথায়? বাংলাদেশের মানুষ কখন কি করে তার ঠিক নেই। তিনি বলেন, উনাদের (বিএনপির) যত ক্ষোভ সব সাধারণ মানুষের উপর। তাদের প্রতিনিয়ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। গরীব কৃষকের কাছে শিক্ষা নিন কিভাবে মানুষকে ভালোবাসতে হয়। যুবকদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু ঢাকা নয়, প্রতিটি এলাকায় যুবলীগকে প্রস্তুত থাকতে হবে। বাস পোড়ানোর বিরুদ্ধে গিয়ে মানবতার পক্ষে মাঠে নামতে হবে।জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ভোটের অধিকার রক্ষা ও নির্বিঘেœ ভোট দেওয়ার জন্য যুবলীগকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। আগুনে বাস পুড়িয়ে মানুষের ক্ষতি করলে বসে থাকা যাবে না। বিরোধী দলীয় নেতা জনগণের অশান্তি চান দাবি করে তিনি বলেন, অশান্তি বেগমের আগুনে বাংলার জনগণ জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে। আপনি (খালেদা জিয়া) মনের আগুন মনে রাখুন। ওই আগুনে বাস জ্বালাবেন না।অনেক ব্যর্থ লোকেরা আমাদের বুদ্ধি-পরামর্শ দেয়, আবার রাষ্ট্রপতির কাছেও যায়। তখন(২০০৮-০৭ সালে) কেন তারা ব্যর্থ হলো।বিএনপি ১ কোটি ভুয়া ভোটার তৈরি করে তাদের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে প্রধান উপদেষ্টা করে নির্বাচন করতে চেয়েছে। তারপরেই তো ১/১১ আসলো। অনেকে তখন তাদের (জরুরি সরকারের) পক্ষে ছিলেন। তারা আবার এখন আমাদের সবক দিতে আসেন। শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় উনার (খালেদা জিয়া) মনে বড় ব্যাথা। এজন্য তাদের রায়ের দিন হরতাল দেন। তিনিই যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। জানি না এদেশের স্বাধীনতা আদৌ তিনি চেয়েছেন কিনা? কারণ, বাংলাদেশের মাটিতে জন্ম হয় নাই বিরোধী দলীয় নেতার। তার জন্ম হয়েছে ভারতের শিলিগুড়ি চা বাগানে। এজন্য বাংলার মানুষের প্রতি তার টান নেই। গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ মারে। কী বিভৎস! তাদের মাঝে কোনো মানবতাবোধ নেই। ক্ষমতা যাওয়ার জন্য উন্মাদ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ছাড়া কোনো দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। আমরা ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে উন্নয়ন শুরু করেছি। পরে ২০০৮ সালে এসে দেখি এগুলো আর কিছুই হয়নি। দেশ আরো পিছিয়ে গেছে। আমরা আবার সে উন্নয়ন শুরু করে দেশকে অনেক এগিয়ে নিয়েছি। দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ নিয়ে প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, একজন মানুষ কতবার জন্মায়? তার অনেক জন্মদিন। ’৯৩ সাল থেকে উনি ১৫ অগাস্ট জন্মদিন পালন করছেন। যেদিন আমি শোকে কাতর, সেদিন তিনি ফূর্তি করেন, ১৫ অগাস্ট ট্রাজেডি স্মরণ করে বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। হুমায়ুন আজাদ আক্রান্ত হয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ঢাকা সেনানিবাসে গাড়ি থামিয়ে দেয়ার কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।“উনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন- তখন আমার ক্যান্টনমেন্টে ঢোকা নিষেধ ছিল। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ২০০৬ সালেও তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল। তত্ত্বাবধায়ক থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন হলো না। তারপরও উনি তত্ত্বাবধায়ক চান? ড. কামাল হোসেন, আকবর আলি খান, সুলতানা কামালের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এখন যারা বিবৃতি দেন,তাদের অনেকেই তো উপদেষ্টা ছিলেন।“তারাই ২০০৬-এ নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগ করল। এই ব্যর্থ লোকগুলো আবার সবক দেয়, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে। যুবলীগের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠানে ‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। ইয়াসিন কবির জয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত প্রামাণ্য গ্রন্থটির ওপর আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু,মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতির জন্য অবদানের জন্য রফিকুল ইসলাম, ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, গলফার সিদ্দিকুর রহমান, সাহসী নারী হিসাবে শাহানা বেগম, অস্কারবিজয়ী নাফিস বিন জাফরকে সম্মাননা দেয়া হয়। যুবলীগ চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক চৌধুরী সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- ভূমিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুণ চৌধুরী প্রমুখ। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক সমঝোতা যখন হবে তখন আর কেউ কারাগারে থাকবেন না।শনিবার সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে রাজনৈতিক সমঝোতার আলোচনা কি কারাগারে হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, পর্দার অন্তরালে কথা হচ্ছে বিরোধী দলের সঙ্গে।এরপরই সমঝোতার বিষয়টি আসবে। আর সমঝোতা হলেই কেউ কারাগারে থাকবেন না।তিনি বলেন,বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে বিদেশিদের তৎপরতা এবং ডোনারদের উদ্বেগ রয়েছে।কয়েকদিনের মধ্যে জাতিসংঘ প্রতিনিধি আসবেন। তারা তাদের কথা বলবেন। কিন্তু আমাদের সমস্যা আমরা সমাধান না করলে সমাধান হবে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান যুগে লেভেল প্লেইং ফিল্ড সৃষ্টি করার সুযোগ নেই। সবাই আচরণবিধি মেনে চললে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি সম্ভব।নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেয়া ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা পার হওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ দলীয় নেতাকর্মীদের ভোট চেয়ে লাগানো পোস্টার এখনো রয়েছে। তাহলে কি করে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি সম্ভব- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো পোস্টার নেই। কয়েকদিনে মধ্যে আওয়ামী লীগের সব পোস্টার তুলে নেয়া হবে। ডাক ও তারমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ইতিপূর্বে বলেছিলেন, পার্লামেন্ট বহাল রেখে লেভেল প্লেইং ফিল্ড সৃষ্টি সম্ভব নয়। তাহলে কী করে লেভেল প্লেইং ফিল্ড হবে- এ প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এটা মেনন সাহেব বলতে পারবেন।তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে তাণ্ডবলীলা চলছে। মানুষের জীবনের চেয়ে তাৎক্ষণিক রাজনৈতিক স্বার্থ বেশি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনে বেসরকারি গাড়ির বেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ৫ হাজার গাড়ি ভাঙচুর ও ১ হাজার গাড়ি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।ওবায়দুল কদের বলেন, আমাদের পরিবহন সেক্টর প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে সড়ক ও রেলপথ বড় টার্গেট। মন্ত্রী বর্তমান আন্দোলনের সঙ্গে থাইল্যান্ডের আন্দোলনের তুলনা করে বলেন, সেখানকার প্রেসিডেন্ট মার্তেকাস মাত্র ২৫০ জন তরুণের জঙ্গি মিছিলে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন।মন্ত্রী বলেন, চলন্ত ট্রেনে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘটনা বিরল। শাহবাগের ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গত কয়েক মাসে বিরোধী দলীয় হরতাল, অবরোধ ও বিভিন্ন প্রকার বিশৃংখলাজনিত কর্মকান্ডে সরকারি সম্পত্তি ও রাজস্ব ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরেন। মন্ত্রী জানান, গত কয়েক মাসের আন্দোলনে বিআরটিসি’র ৬টি এসি বাস, ৩টি আর্টিকুলেটেড বাস, ৭৪টি সিএনজি একতলা (দাইয়ুসহ) বাস, ৭০টি টিসি/টাটাসহ ১৫৩টি গাড়ি ভাংচুর হয়েছে যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা। এছাড়া ১১টি ডাবল ডেকার বাস, ১টি আর্টিকুলেটেড বাস, ৯টি সিএনজি একতলা (দাইয়ুসহ) বাস, ১১টি টিসি/টাটাসহ ৩২টি গাড়ি আগুনে পোড়ানো হয়েছে যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। হরতাল ও অবরোধের কারণে রাজস্ব ক্ষতি প্রায় সাড়ে ২৯ কোটি টাকা। মোট ক্ষতি প্রায় ৪২ কোটি টাকা। এছাড়া সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীন বেশকিছু বেইলী সেতু, বিভিন্ন স্পটে বিটুমিনাস পেভমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক গাছ ও বেশকিছু রাস্তা কাটা হয়েছে। সড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আমিনুর রহমান লস্কর, বিআরটিসি’র চেয়াম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদ, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে মদদ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের সবাইকেই গ্রেফতার করা হবে। কেননা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবরোধ বিরোধী অবস্থানের সময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনিএসব কথা বলেন।আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আন্দোলনের নামে সহিংস কর্মকাণ্ডের হুকুমের আসামী হিসেবে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তিনি বলেন, আরো যেসব নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধেও আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে। ‘সহিংস রাজনীতিতে জড়িত বলেই বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ’ এ কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের (বিএনপির) কর্মসূচি গাড়িতে আগুন দেয়া, বোমাবাজি করা। এটা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না, এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। আর এ কর্মকাণ্ড বিএনপি করেছে, এটা টেলিভিশনের ভিডিও ফুটিজে দেখা গেছে। তিনি বলেন, আজকে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের হুকুমদাতা । আগুন দেয়া, বোমাবাজি- তাদের নির্দেশনায় হচ্ছে, এটা প্রমাণিত হওয়ার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যেসব অপরাধী লুকিয়ে বা পালিয়ে রয়েছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান হানিফ। হানিফ বলেন, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সাহায্য করছে ও নির্দেশনা দিচ্ছে, গাড়িতে অগ্নিসংযোগের জন্য নির্দেশনা দিচ্ছে,বোমাবাজি করে মানুষকে হত্যা করার নির্দেশনা দিচ্ছে- তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনাপ হবে। এর সঙ্গে নির্বাচেনের কোনো সম্পর্ক নেই।১৮ দল অবরোধের ডাক দিলেও রাজধানীতে সবকিছু স্বাভাবিক নিয়মে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভয় দেখিয়ে মানুষকে ঘরে বসিয়ে রাখা যাবে না। এদিকে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে, দলের নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহার ও নিরদলীয় সরকারের দাবিতে ১৮ দলের ডাকা ৭২ ঘণ্টা অবরোধের বিরুদ্ধে রাজপথে সরব ছিল আওয়ামী লীগ। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন থানা থেকে দলের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়ে অবরোধবিরোধী মিছিল ও মানববন্ধন করেন। এ সময়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ, দফতর সম্পাদক সহিদুল ইসলাম মিলন, সহ-দপ্তর জামাল উদ্দিন, নগর আওয়ামী লীগ নেতা জিএম অতিক, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে যারা লড়বেন তাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবার নির্বাচন করবেন রংপুর-৬ ও গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে। নবম সংসদের অধিকাংশ সাংসদ এবারো আওয়ামী লীগের টিকেট পাচ্ছেন। এই তালিকায় সাবেক ফুটবলার আরিফ খান জয়, সাবেক ক্রিকেটার নাঈমুল ইসলাম দুর্জয়সহ বেশ কয়েকজন নতুন প্রার্থীর নাম এসেছে। নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান মনোনয়ন পেলেও পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে মন্ত্রিত্ব হারানো সৈয়দ আবুল হোসেন বাদ পড়েছেন। শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈদয় আশরাফুল ইসলাম মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন।আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গত বুধবার থেকে দুই দিনের টানা বৈঠকে ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করে ক্ষমতাসীন দলটির পার্লামেন্টারি বোর্ড। গত নির্বাচনে ২৬৪টি আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী দিলেও এবার ৩০০ আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে।পার্লামেন্টারি বোর্ডের সদস্য তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনে তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করলেও ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগির আলোচনায় যাবেন তারা।৫ জানুয়ারি ভোট অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন যে তফসিল দিয়েছে, তাতে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য সময় রয়েছে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ আগামী সোমবারের মধ্যে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে শরিকদের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে হবে আওয়ামী লীগকে।ওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টিতে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন। গত বুধবার রংপুর, রাজশাহী, খুলনা বিভাগের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। আর গতকাল বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারণী বৈঠকে বরিশাল, ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়। সংসদীয় আসন ক্রমানুসারে নিচে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের নাম দেয়া হলো-পঞ্চগড়-১ মোঃ মজহারুল হক প্রধান,পঞ্চগড়-২ নূরুল ইসলাম সুজন, ঠাকুরগাঁও-১ রমেশ চন্দ্র সেন,ঠাকুরগাঁও-২ আলহাজ দবিরুল ইসলাম,ঠাকুরগাঁও-৩ ইমদাদুল হক,দিনাজপুর-১ মনোরঞ্জন শীল গোপাল,দিনাজপুর-২ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী,দিনাজপুর-৩ ইকবালুর রহিম,দিনাজপুর-৪ এ এইচ মাহমুদ আলী,দিনাজপুর-৫ মুস্তাফিজুর রহমান ফিজার,দিনাজপুর-৬ শিবলী সাদিক নীলফামারী-১ আফতাব উদ্দীন সরকার,নীলফামারী-২ আসাদুজ্জামান নূরনীলফামরী-৩ গোলাম মোস্তাফা,নীলফামারী-৪ কর্নেল মারুফ সাকলাইনলালমনিরহাট-১ মোতাহার হোসেন,লালমনিরহাট-২ নুরুজ্জামান আহমেদ,লালমনিরহাট-৩ আবু সালেহ মো; সাইদ,রংপুর-১ মোঃ রুহুল আমীন,রংপুর-২ আহসানুল হক ডিউক,রংপুর-৩ চৌধুরী খালেকুজ্জামান,রংপুর-৪ টিপু মুন্সি,রংপুর-৫এইচএন আশিকুর রহমান,রংপুর-৬ শেখ হাসিনা,কুড়িগ্রাম-১ আসলাম হোসেন,কুড়িগ্রাম-২ মো. জাফর আলী,কুড়িগ্রাম-৩ মতি শিউলি,কুড়িগ্রাম-৪ জাকির হোসেন, গাইবান্ধা-১ বজলুল ইসলাম লিটন,গাইবান্ধা-২ মাহাবুব আরা বেগম গিনি,গাইবান্ধা-৩ ইউনুস আলী সরকার,গাইবান্ধা-৪ মোঃ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী,গাইবান্ধা-৫ মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া,জয়পুরহাট-১ শমসুল আলম দুদু,জয়পুরহাট-২ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপনবগুড়া-১ আব্দুল মান্নান,বগুড়া-২ মোঃ আকরাম হোসেন,বগুড়া-৩ আনছার আলী মৃধা,বগুড়া-৪ রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ,বগুড়া-৫ মোঃ হাবিবর রহমান,বগুড়া-৬মোমতাজউদ্দিন,বগুড়া-৭মোস্তাফাআনিস। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১গোলামরাব্বানী,চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস,চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ মোঃ আব্দুল ওদুদ,নওগাঁ-১ সাধন চন্দ্র মজুমদার,নওগাঁ-২ শহীদুজ্জামান সরকার,নওগাঁ-৩ আকরাম হোসেন চৌধুরী,নওগাঁ-৪ ইমাজ উদ্দীন প্রামানিক,নওগাঁ-৫ আব্দুল মালেক,নওগাঁ-৬ ইসরাফুল আলম,রাজশাহী-১ ওমর ফারুক চৌধুরী,রাজশাহী-২ বজলুর রহমান,রাজশাহী-৩ আয়েনউদ্দিন আয়েন,রাজশাহী-৪ এনামুল হক,রাজশাহী-৫ আব্দুল ওয়াদুদ দারা,রাজশাহী-৬ মোঃ শাহরিয়ার আলম,নাটোর- আবুল কালাম,নাটোর-২ শফিকুল ইসলাম শিমুল,নাটোর-৩ জুনাইদ আহমেদ পলক,নাটোর-৪ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস,সিরাজগঞ্জ-১ মোহাম্মদ নাসিম,সিরাজগঞ্জ-২ মোঃ হাবিবে মিল্লাত (মুন্না),সিরাজগঞ্জ-৩ আলহাজ্ব গাজী ইসহাক হোসেন তালুকদার,সিরাজগঞ্জ-৪ তানভীর ইমাম,সিরাজগঞ্জ-৫ আব্দুল লতিফ বিশ্বাসসিরাজগঞ্জ-৬ হাসিবুল আলম স্বপনপাবনা-১ শামসুল হক টুকু,পাবনা-২ খন্দকার আজিজুর রহমান আরজুপাবনা-৩ মকবুল হোসেন,পাবনা-৪ শামসুর রহমান শরিফ (ডিলু),পাবনা-৫ গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স,খুলনা বিভাগ থেকে, মেহেরপুর-১ ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর-২ আব্দুল খালেক, কুষ্টিয়া-১আফাজ উদ্দিন,কুষ্টিয়া-২ কুষ্টিয়া-৩ মাহাবুবুল আলম হানিফ,কুষ্টিয়া-৪ আব্দুর রউফ,চুয়াডাংগা-১ সোলায়মান হক জোয়ার্দার,চুয়াডাংগা-২মোঃ আলী আজগার টগর,ঝিনাইদহ-১মোঃ আব্দুল হাই,ঝিনাইদহ-২মোঃ সফিকুল ইসলাম অপু,ঝিনাইদহ-৩শফিকুল আজম খান চনচল,ঝিনাইদহ-৪ আনোয়ারুল আজিম আনা। যশোর-১ শেখ আফিল উদ্দিন,যশোর-২ মনিরুল ইসলাম,যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ,যশোর-৪ রণজিত কুমার রায়,যশোর-৫ খান টিপু সুলতান,যশোর-৬ইসমত আরা সাদেক,মাগুরা-১ মোহাম্মদ সিরাজুল আকবর,মাগুরা-২ বীরেন শিকদার,নড়াইল-১ কবিরুল হক মুক্তি,নড়াইল-২ এসএম আশিকুর রহমানবাগেরহাট-১শেখ হেলাল উদ্দীন,বাগেরহাট-২ শওকত আলী বাদশা,বাগেরহাট-৩ তালুকদার আব্দুল খালেক,বাগেরহাট-৪ ডা. মোজাম্মেল হক, খুলনা-১ পঞ্চানন বিশ্বাস,খুলনা-২ মিজানুর রহমান মিজান,খুলনা-৩ বেগম মন্নুজান সুফিয়ান,খুলনা-৪ মোস্তফা রশীদি সুজা, খুলনা-৫ নারায়ন চন্দ্র চন্দখুলনা-৬ শেখ মোঃ নুরুল হক।সাতক্ষীরা-১ এ বি এম নজরুল ইসলাম,সাতক্ষীরা-২ মোস্তাক আহমেদ রবি,সাতক্ষীরা-৩ আফম রুহুল হক,সাতক্ষীরা-৪ জগলুল হায়দার,বরিশাল বিভাগথেকে,বরগুনা-১ ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু,বরগুনা-২ শওকত হাসানুর রহমান রিমন, পটুয়াখালী-১ এ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া,পটুয়াখালী-২ আ স ম ফিরোজ,পটুয়াখালী-৩ আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন,পটুয়াখালী-৪ মো. মাহবুবুর রহমান,ভোলা- তোফায়েল আহমেদ,ভোলা-২ আলী আজম মুকুল,ভোলা-৩ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-৪ আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বরিশাল-১ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ,বরিশাল-২ তালুকদার মো. ইউনুস,বরিশাল-৩ সিরাজ উদ্দীন আহমদ,বরিশাল-৪ পঙ্কজ দেবনাথবরিশাল-৫ শওকত হোসেন হিরন,বরিশাল-৬ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাফিজ মল্লিক,ঝালকাঠি-১ বজলুল হক হারুন,ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু,পিরোজপুর-১ একে এম আওয়াল,পিরোজপুর-২ ইসহাক আলী খান পান্না,পিরোজপুর-৩ আনোয়ার হোসেন ঢাকা বিভাগ থেকে,টাংগাইল-১ ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক,টাংগাইল-২ খন্দকার আসাদুজ্জামান,টাংগাইল-৩ আমানুর রহমান রানা,টাংগাইল-৪ আবদুল লতিফ সিদ্দিকী,টাংগাইল-৫ সানোয়ার হোসেন,টাংগাইল-৬ খন্দকার আবদুল বাতেন,টাংগাইল-৭ মোঃ একাব্বর হোসেন,টাংগাইল-৮ শওকত মোমেন শাহজাহান, জামালপুর-১ আবুল কালাম আজাদ,জামালপুর-২ফরিদুল হক খান দুলাল,জামালপুর-৩ মির্জা আজম,জামালপুর-৪ মাওলানা মোঃ নুরুল ইসলামজামালপুর-৫ রেজাউল করিম হীরা,শেরপুর-১ আতিউর রহমান আতিক,শেরপুর-২ বেগম মতিয়া চৌধুরী,শেরপুর-৩ এ একে এম ফজলুল হক ময়মনসিংহ-১প্রমোদমানকিন,ময়মনসিংহ-২শরীফআহমেদময়মনসিংহ-৩মজিবুররহমান ফকির,ময়মনসিংহ-৪ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান,ময়মনসিংহ-৫ কে এম খালিদ বাবু,ময়মনসিংহ-৬ মোঃ মোসলেম উদ্দিন,ময়মনসিংহ-৭ রেজা আলী,ময়মনসিংহ-৮আব্দুস সাত্তারময়মনসিংহ-৯ মেজর জেনারেল আবদুস সালাম,ময়মনসিংহ-১০ ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল,ময়মনসিংহ-১১ ডাঃ আমানুল্লাহ, নেত্রকোনা-১ ছবি বিশ্বাস, নেত্রকোনা-২ আরিফ খান জয়, নেত্রকোনা-৩ ইফতেখারুল তালুকদার পিন্টু, নেত্রকোনা-৪ রেবেকা মমিননেত্রকোনা-৫ ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল,কিশোরগঞ্জ-১ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম,কিশোরগঞ্জ-২ এড. সোহরাব উদ্দিন,কিশোরগঞ্জ-৩ নাসিরুল ইসলাম,কিশোরগঞ্জ-৪ রেজোয়ান আহমেদ তৌফিক,কিশোরগঞ্জ-৫ আফজাল হোসেন,কিশোরগঞ্জ-৬ নাজমুল হাসান পাপন। মানিকগঞ্জ-১ নাইমুর রহমান দুর্জয়,মানিকগঞ্জ-২ মমতাজ বেগম,মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক,মুন্সিগঞ্জ-১ সুকুমার রঞ্জন ঘোষ, মুন্সিগঞ্জ-২, সাগুফতা এমিলি,মুন্সিগঞ্জ-৩ অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস,ঢাকা-১ আব্দুল মান্নান খান,ঢাকা-২ মোঃ কামরুল ইসলাম,ঢাকা-৩ নসরুল হামিদ,ঢাকা-৪, সাঞ্জিদা খানম,ঢাকা-৫ হাবিবুর রহমান মোল্লা,ঢাকা-৬ মিজানুর রহমান খান,ঢাকা-৭ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী,ঢাকা-১০ শেখ ফজলে নুর তাপস, ঢাকা-১১এ. কে. এম রহমতুল্লাহ,ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল,ঢাকা-১৩ জাহাঙ্গীর কবির নানক,ঢাকা-১৪ মোঃ আসলামুল হক,ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার,ঢাকা-১৬ মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা,ঢাকা-১৮ বেগম সাহারা খাতুন,ঢাকা-১৯ ডা. এনামুর রহমান,ঢাকা-২০ বেনজীর আহমদ গাজীপুর-১ আ, ক, ম মোজাম্মেল হক,গাজীপুর-২ মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল,গাজীপুর-৩ একে এম রহমত আলী,গাজীপুর-৪ বেগম সিমিন হোসেন (রিমি),গাজীপুর-৫ মেহের আফরোজ চুমকি,নরসিংদী-১ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম,নরসিংদী-২ আনোয়ারুল আশরাফ খান,নরসিংদী-৩ জহুরুল হক মোহন,নরসিংদী-৪ নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন,নরসিংদী-৫ রাজি উদ্দিন আহমেদ। নারায়ণগঞ্জ-১ গোলাম দস্তগীর গাজী,নারায়ণগঞ্জ-২ মোঃ নজরুল ইসলাম বাবু,নারায়ণগঞ্জ-৩ মোসারফ হোসেন,নারায়ণগঞ্জ-৪ শামীম ওসমান,নারায়ণগঞ্জ-৫ শুক্কুর মাহমুদ,রাজবাড়ী-১ কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী-২ মোঃ জিললুল হাকিম।ফরিদপুর-১ আব্দুর রহমান,ফরিদপুর-২ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ফরিদপুর-৩ খন্দকার মোশাররফ হোসেন,ফরিদপুর-৪ কাজী জাফর উল্লাহ,গোপালগঞ্জ-১ মুহাম্মদ ফারুক খান,গোপালগঞ্জ-২ শেখ ফজলুল করিম সেলিম,গোপালগঞ্জ-৩ শেখ হাসিনা। মাদারীপুর-১ নূরে আলম চৌধুরী,মাদারীপুর-২ শাজাহান খান,মাদারীপুর-৩ আফম বাহাউদ্দিন নাসিম,শরীয়তপুর-১ বিএম মোজাম্মেল হক,শরীয়তপুর-২ কর্নেল (অব.) শওকত আলী,শরীয়তপুর-৩ নাহিম রাজ্জাক সিলেট বিভাগ থেকে,সুনামগঞ্জ-১ মোয়াজ্জেম হোসেন,সুনামগঞ্জ-২ সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত,সুনামগঞ্জ-৩ এম এ মান্নান,সুনামগঞ্জ-৪ ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন,সুনামগঞ্জ-৫ মুহিবুর রহমান মানিক,সিলেট-১ আবুল মাল আব্দুল মুহিত,সিলেট-২ শফিকুর রহমান চৌধুরী,সিলেট-৩ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী,সিলেট-৪ ইমরান আহমদ,সিলেট-৫ মাসুক উদ্দিন আহমেদ,সিলেট-৬ জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ,মৌলভীবাজার-১ মোঃ শাহাব উদ্দিন,মৌলভীবাজার-২ সৈয়দ বজলুল করিম,মৌলভীবাজার-৩ সৈয়দ মহসিন আলী,মৌলভীবাজার-৪ মোঃ আব্দুস শহীদ,হবিগঞ্জ-১ গাজী মোঃ শাহনেওয়াজ ,হবিগঞ্জ-২ জনাব মোঃ আব্দুল মজিদ খান,হবিগঞ্জ-৩ আবু জহির এডভোকেট,হবিগঞ্জ-৪ মাহবুব আলী চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে,ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ মোহাম্মদ ছায়েদুল হক,ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২উম্মে নাজমা বেগমব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী,ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আনিসুল হক,ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ সাইদুর রহমান বাদল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ এ বি তাজুল ইসলাম,কুমিল্লা-১ মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া,কুমিল্লা-২ আব্দুল মজিদকুমিল্লা-৩ জাহাঙ্গির আলম,কুমিল্লা-৪ এ, বি, এম, গোলাম মোস্তফা,কুমিল্লা-৫ আব্দুল মতিন খসরু,কুমিল্লা-৬ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার,কুমিল্লা-৭ অধ্যাপক মোঃ আলী আশরাফ,কুমিল্লা-৮ নাছিমুল আলম চৌধুরী,কুমিল্লা-৯ মোঃ তাজুল ইসলাম,কুমিল্লা-১০ আহম মোস্তাফা কামাল,কুমিল্লা-১১ মোঃ মুজিবুল হক, চাঁদপুর-১ ডঃ মহিউদ্দীন খান আলমগীর,চাঁদপুর-২ মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া,চাঁদপুর-৩ দীপু মনিচাঁদপুর-৪ শামসুল হক ভুইয়া,চাঁদপুর-৫ মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম,ফেনী-১ খায়রুল বশর মজুমদার, ফেনী-২ নিজাম উদ্দিন হাজারী,ফেনী-৩ মো: আবুল বাশার,নোয়াখালী-১ কে এম ইব্রাহীম,নোয়াখালী-২ মোরশেদ আলম,নোয়াখালী-৩ মামুনুর রশীদ কিরন’নোয়াখালী-৪ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী-৫ ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালী-৬ আয়েশা ফেরদৌস,লক্ষীপুর-১ মো শাহজাহান,লক্ষীপুর-২এহসানুল কবির জগলুলক্ষীপুর-৩ শাহজাহান কামাল,লক্ষীপুর-৪ মোঃ আব্দুল্লাহ,চট্টগ্রাম-১ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন,চট্টগ্রাম-২ খাদিজাতুল আনোয়ার,চট্টগ্রাম-৩ এ বি এ মাহফুজুর রহমান মিতা,চট্টগ্রাম-৪ দিদারুল আলম,চট্টগ্রাম-৫ ইউনুস করি চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৬ মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ,চট্টগ্রাম-৭....,চট্টগ্রাম-৮ নুরুল ইসলাম বি. এসসি,চট্টগ্রাম-৯মোঃআফছারুল আমীন,চট্টগ্রাম-১০ ..,চট্টগ্রাম-১১ সামশুল হক চৌধুরী,চট্টগ্রাম-১২ সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ কক্সবাজার-১ সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি জাফর আলম,কক্সবাজার-২ বিজ্ঞানী ড. আনছারুল করিম আশেকুল্লাহ রফিককক্সাবাজার-৩ কানিজ ফাতেমা,কক্সাবাজার-৪ আব্দুর রহমান বদিপার্বত্য খাগড়াছড়ি- যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রাঙামাটি- দীপঙ্কর তালুকদার, বান্দরবান- বীর বাহাদুর। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: নির্বাচনে পরাজয়ের ভয়ে আর জামাতের প্রতি সহানুভূতির থেকেই বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে চাচ্ছে না বললেন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার রাজধানীর ধানমণ্ডির কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলের মধ্যে এখনো নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয় কাজ করছে। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার চিন্তা বাদ নির্বাচনে অংশ নিতে বিরোধীদলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। পরে দশম সংসদ নির্বাচনের ৩০০টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সংসদীয় প্রধান শেখ সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। এ বৈঠকে ক্ষমতাসীন দলের প্রাথীর তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র মোট ২ হাজার ৬১১ জন নিয়েছেন। এ সময় সংসদীয় বোর্ডের সদস্য সৈয়দ সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু,তোফায়েল আহমেদ, ওবায়দুল কাদের,সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও ড. আলাউদ্দিন আহমেদসহ ৮ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন ‘সময়মতোই’ হবে জানিয়ে বৈঠকের প্রারম্ভিক বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাই কোর্ট থেকে জামায়াতের নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। আর জামায়াতের প্রতি সহানুভূতির কারণেই বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন করতে চাইছেন না। তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিরোধী দলের অবরোধের মধ্যে জ্বালাও- পোড়াও এবং নাশকতার কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, এর দায় বিরোধীদলীয় নেতাকেই নিতে হবে।খালেদা জিয়কে ইংগিত করে বলেন, এক সময় উনিও হুকুমের আসামি হিসেবে চিহ্নিত হবেন।বিরোধীদলীয় নেত্রী যুদ্ধাপরাধীদের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে জনগণের স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছে- এটা খুবই দুঃখজনক। বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আবারো নির্বাচনে আসার আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি তাকে সংবিধানের ৫৭ এর ৪ ধারাটি পড়ে দেখতে বলব। উনি কি আবার ওয়ান-ইলেভেন আনতে চান? কার স্বার্থে?আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত করতেই এ বৈঠক হচ্ছে। অন্যদিকে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা বিএনপি তফসিল ঘোষণার পর দুই দিনের অবরোধ পালন করছে, যার প্রথম দিনেই নিহত হয়েছেন সাতজন।৫ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নির্বাচনের বিস্তারিত সময়সূচি জানিয়ে দিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বিরোধীদলীয় নেতাকে ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।তিনি বলেন,আমি তাকে অনুররোধ করব, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ বন্ধ করেন। যে আশায় এসব করছেন- তা পূরণ হবে না। প্রধান বিরোধীদলকে নির্বাচনে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি তাদের নির্বাচনে আসতে বলব। কিন্তু তারা জানেন, জনগণ নির্বাচনে তাদের ভোট দেবে না। ভোট না পাওয়ার ভয়ে, হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা নির্বাচনে আসছেন না। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: সংলাপের উদ্যোগ সুশীল সমাজকে নয় বরং বিরোধীদলকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। আর অবরোধের নামে নৈরাজ্য চলতে থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি করেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবরোধ বিরোধী মিছিল ও মানববন্ধন সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন। হানিফ বলেন,নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতেই তারা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। চলমান সঙ্কট নিরসনে বিএনপিকেই এখন এগিয়ে আসতে হবে। দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে বৈঠকের জন্য আগের বৈঠকের কথা বিএনপিকে স্বীকার করে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, যে বৈঠকটি নিয়েই তারা অস্বীকার করেছেন সেই বৈঠকের বিষয় নিয়েই কী দাবি-দাওয়া ছিলো না ছিলো, এ কথা তোলা মানে হাস্যকর বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের আগে জানা দরকার আর মির্জা ফখরুল সাহেব কে জিজ্ঞাস করা দরকার যে আপনি বৈঠকে বসে ছিলেন কি-না? সেটা আগে জাতির কাছে বলুন। বৈঠকে আপনি কী দাবি করে ছিলেন তারপর আপনি বলুন। তখন আপনার দাবি-দাওয়াগুলো কতগুলো পূরণ হয়েছে বা সম্ভব কি-না? সরকারে পক্ষ থেকে সেটা জানানো হবে।, বলেন হানিফ। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সুশীল সমাজের সাক্ষাতের প্রসঙ্গ তুলে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপতিকে নয় বরং সঙ্কট নিরসনে বিএনপিকেই উদ্যোগী হতে হবে। আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা- নৈরাজ্য হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হতে বাধ্য হবে বলেও জানান তিনি। কামরুল বলেন, সামনের কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিন্তু কোনো অবস্থাতেই জিইরো টলারেন্সে যাবে না। তবে তারা যেতে বাদ্ধ হচ্ছে। আমি বিএনপির প্রতি আহ্বান জানবো এখনো সময় রয়েছে তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা নির্বাচনে পথে আসবে। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারে এসে যে যে মন্ত্রণালয় চাইবেন সেগুলোই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, গত ৩৮ বছর ধরে অ্যাডহক ভিত্তিতে নির্বাচন হয়েছে। আর অ্যাডহক ভিত্তিতে নয় এবার সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে। এবার সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। গণভবনের সামনের প্রাঙ্গণে সামিয়ানা টাঙানো বিশাল প্যান্ডেলে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রায় দুই হাজার ৭০০ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন। দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন জরিপ ও তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। কাকে মনোনয়ন দেওয়া হলো তা না দেখে নৌকা মার্কা দেখে ভোট দেবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে দেশের জনগণের জীবনমান উন্নত হয়েছে। সবকিছুতে উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে। আওয়ামী লীগের সাফল্য বলে শেষ করা যাবে না। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মনোনয়নপ্রত্যাশীদের স্বাগত জানান। তিনি বলেন, যাঁকে মনোনয়ন দিলে জয় পাওয়া যাবে, তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। জনপ্রিয়তা যাচাই করে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে। তিনি বলেন, সবাই এক থাকলে সামনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। শেখ হাসিনা বলেন, আসুন, একসাথে নির্বাচন করি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক একটি পথ নতুন প্রজন্মের জন্য তৈরি করে যাই। এমপিদেন নাম দিন। যে যে মন্ত্রণালয় চাইবেন সবকটিই দেওয়া হবে।এসময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের সাফল্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে নির্বাচনে প্রার্থীদের সেগুলো তুলে ধরে প্রচার চালানোর আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করাই তার সরকারের লক্ষ্য। আওয়ামী লীগ কারচুপিতে বিশ্বাস করে না। ১৯৫৪ সাল থেকে আওয়ামী লীগ জয়ী হচ্ছে এমন আসনেও দলের প্রার্থী হেরে গেছে যখন আমরা ক্ষমতায় বসে আছি তখন। এ থেকে প্রমাণিত হয় আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে জানে। তিনি আরও বলেন, আমরা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি।জনগণের আস্থা অর্জনই একটি রাজনৈতিক দলের ও নেতার লক্ষ্য। আওয়ামী লীগ সে কাজটিই করার চেষ্টা করছে। সারা দেশে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার করা হয়েছিলো, সেগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভুয়া ভোটারহীন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে একটি নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন আওয়ামী লীগ সম্পন্ন করতে চায়।সরকারের সাফল্য তুলে ধরতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের সময় জঙ্গিবাদ নির্মূল হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন হয়েছে, দারিদ্রের হার কমেছে। সবকদটি মন্ত্রণালয় দেশের উন্নয়নে কাজ করেছে উল্লেখ কওে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক সাফল্যে দেশে বিশ্ব দরবারে সম্মানের স্থানে উপনীত হয়েছে। জাতিসংঘে বিভিন্ন কমিটিতে বাংলাদেশ জনপ্রিয়তার মধ্য দিয়ে সদস্যপদ পাচ্ছে। কূটনৈতিক সাফল্যই এনে দিয়েছে বিশাল সমুদ্র বিজয়।কৃষিতে এই সরকারের সাফল্য রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এখন আর বাংলাদেশকে খাদ্য আমদানি করতে হয় না। তিনি বলেন, বিশ্বে যখন অর্থনৈতিক মন্দা চলে তখন বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত হয়। দুই লক্ষ কোটি টাকার ওপরে বিশাল বাৎসরিক বাজেট আওয়ামী লীগ সরকারই দিতে পেরেছে। ৬ ভাগ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে। কৃষিতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কেবল ধান, গম উৎপাদনই নয় বাংলাদেশের কৃষক সারা বছর ধরে সব্জি উৎপাদন করছে। মানুষ বছর ভরেই গাজর, শসা, পাতাকপি খেতে পারছে। ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি রেকর্ড, শহর ও নগরায়নে ব্যাপক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, হাতির ঝিল, কুড়িল ফ্লাইওভার এগুলো দেখলে মনে হবে বিদেশে আছি। ক্রীড়াঙ্গনের সাফল্য অর্জন সম্পর্কে বলতে গিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ‘বাংলাওয়াশ’ করার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরতে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের তিন কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। টেলিফোন সার্ভিস চলে গেছে ঘরে ঘরে, প্রতিটি মানুষের হাতে হাতে। এসব সাফল্য জনগণের সামনে তুলে ধরে ভোট চাইলে তারা নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ভোট দেবে। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বিরোধী দলকে সংঘাতের পথ পরিহার করে নির্বাচনের পথে আসার আহবান জানিয়েছেন।তিনি বলেন, সংঘাতের পথ ছেড়ে নির্বাচনের পথে আসুন। মানুষ নির্বাচন চায়, শান্তি চায়। সংঘাত চায়না। কামরুল ইসলাম শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ কথা বলেন।মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, সহসভাপতি মুকুল চৌধুরী ও শেখ বজলুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। নির্বাচন কমিশনকে সহয়তা করাই নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রিসভার মূল লক্ষ্য উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। আমরা শুধু তাদের সহায়তা করবো।নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করাই নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রিসভার মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা নির্বাচনী আচরণবিধি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবে। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার জন্যে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেশ অচল করে দেওয়া হবে- বিরোধী দলের এমন বক্তব্যের তিনি তীব্র সমালোচনা করেন। আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পরিবেশও সৃষ্টি হয়েছে। সমস্ত দেশবাসী নির্বাচন চায়। নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রিসভাও গঠন করা হয়েছে। বিরোধী দলকে সংঘাতের পথ পরিহার করে নির্বাচনের পথে আসার আহ্বান জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের একটি মাত্র পথ নির্বাচন। নির্বাচনে অংশ নিন। জনগণ যদের ভোট দেয় তারাই সরকার গঠন করবে। জনগণ যাকে চায় সেই প্রধানমন্ত্রী হবেন। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,সশস্ত্র বাহিনীর যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন হয়েছে তা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হয়েছে।আওয়ামী লীগ সশস্ত্র বাহিনীকে কখনো নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেনি। বরং সশস্ত্র বাহিনীকে একটি দক্ষ, শক্তিশালী এবং আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে যা যা দরকার তা দৃঢ়তার সাথে করেছে। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভাস্বর সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জাতীয় অহংকার। সশস্ত্র বাহিনী তাদের নানাবিধ জনসেবামূলক কর্মকান্ডের জন্য জনগণের বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পেরেছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাসহ উদ্ধার তৎপরতা ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সংকট নিরসনে সশস্ত্র বাহিনী দেশপ্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ বিশ্বে নির্ভরযোগ্য হিসাবে প্রশংসিত হয়েছে।শান্তিরক্ষা মিশনে অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করে তারা বিশ্ববাসীর কাছে শুধু দেশের ভাবমূর্তিকেই উজ্জ্বল করেনি বরং জাতিসংঘের ভাবমুর্তিকেও উজ্জ্বলতর করেছে। তিনি বলে, বিশ্ব শান্তি রক্ষায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেন তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে বিশ্বের সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে শীর্ষ স্থান ধরে রাখতে পারে, সে ব্যাপারে বর্তমান সরকার সদা সক্রিয় রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বাধুনিক ও বিশ্ব মানে গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক তৎপরতা সার্বক্ষণিক অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের নীতিনির্ধারণী সংশ্লিষ্টতা বৃদ্ধির জন্যও সরকার নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পীকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন, মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানগন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, কূটনীতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগরিক এবং তাদের পরিবারবর্গ যোগ দেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে এই বাহিনীর সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে আজকের এই দিনটি এক বিশেষ গৌরবময় স্থান দখল করে আছে। বিজয়কে তরান্বিত করতে ১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। সেই ঐক্যবদ্ধ আক্রমণের মুখে দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী পিলখানার মর্মান্তিক ঘটনায় শাহাদাৎ বরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মরণ করে বলেন, ইতোমধ্যে এই জঘন্য ঘটনায় জড়িতদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এত বড় ফৌজদারী অপরাধের বিচার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের দ্বিতীয় নজির নেই। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করে শাস্তি বিধানে আমাদের সরকার কখনো কুন্ঠিত হয়নি। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ছিল একটি দক্ষ ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা। সে কারণেই স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্বেও তিনি প্রখর দূরদৃষ্টি নিয়ে একটি আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তোলার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সশস্ত্র বাহিনীর যে সুদৃঢ় ভিত্তি রচনা করে গেছেন তারই উপর দাঁড়িয়ে আজ আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষতার স্বীকৃতি দেশ ছাড়িয়ে অন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সুবিদিত। তিনি বলেন, জাতির পিতার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডর ধারাবাহিকতায় আমাদের বিগত সরকারের সময় সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী ও গুণগত উৎকর্ষ বাড়াতে একইভাবে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছিলাম। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে প্রণীত ১৯৭৪ সালের প্রতিরক্ষা নীতির প্রেক্ষাপটে অতি স¤প্রতি ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আওতায় তিন বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন,সেনাবাহিনীর সার্বিক উন্নতিকল্পেভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ভিশন-২০২১ অনুযায়ী সেনাবাহিনীর অপারেশনাল ক্ষমতা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে প্রথমবারের মত অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জামাদি ৪র্থ প্রজন্ম ট্যাংক এমবিটি-২০০০, আর্মার্ড রিকভারী ভেহিকেল , গোলন্দাজ বহরের জন্য প্রথমবারের মত সেলফ প্রপেল্ড গান কামানসহ বিভিন্ন ধরণের রাডার, পদাতিক বাহিনীর জন্য এপিসি ও অন্যান্য আধুনিক সরঞ্জাম, আর্মি এভিয়েশনের জন্য আধুনিক হেলিকপ্টারসহ বিভিন্ন সমরাস্ত্র ক্রয় করা হয়েছে। তিনি বলেন, হযরত শাহ জালাল (রহঃ) এর পূণ্যভূমি সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশন, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে নিরাপত্তা ও তদারকীর জন্য ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড এর পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুভ সূচনা করা হয়েছে। বান্দরবান জেলার রুমায় নতুন সেনানিবাস স্থাপন ও নোয়াখালী জেলার হাতিয়ায় চর এলাকার সমুদয় খাস জমি সেনাবাহিনীর অনুকূলে দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ক্যারিং চর প্রদানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে । প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আধুনিকায়নেও বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সময়োচিত প্রচেষ্টার ফলশ্রুতি হিসেবে আন্তর্জাতিক আদালতে ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের বহুপ্রতিক্ষীত সমুদ্রসীমানা নির্ধারিত হয়েছে।আগামী ২০১৪ সালের মধ্যে আর্বিট্রাল ট্রাইবুনাল এর মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের সমুদ্রসীমা নির্ধারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনক্লস সেল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার গঠনের পর থেকে ০২টি অফসোর প্যাট্রোল ভেসেল, ২টি লার্জ প্যাট্রোল ক্রাফট ক্রয়, খুলনা শিপইয়ার্ডের সাথে ০৫টি প্যাট্রোল ক্রাফট নির্মাণ চুক্তি, নৌজাহাজের যুদ্ধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৬টি জাহাজে আধুনিক সি-৭০৪ মিসাইল সংযোজন, গণচীনের থেকে ফ্রিগেট ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর, দুইটি করভেট ক্রয়, যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড থেকে একটি সেক্রেটারি ক্লাস জাহাজ ক্রয়, একটি অয়েল ট্যাংকার লঞ্চিং করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিশাল সমুদ্র এলাকায় তদারকির জন্য জার্মানি থেকে ২টি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট ক্রয়, ইতালি থেকে ২টি হেলিকপ্টার এবং যুক্তরাজ্য হতে আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত হাইড্রোগ্রাফিক জাহাজ বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযোজন করা হয়েছে। নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সাবমেরিন বাংলাদেশ নৌবহরে সংযোজনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। নৌবাহিনীর জন্য নতুন ঘাঁটি বিএনএস শেরে বাংলা উদ্বোধন করা হয়েছে। সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণের জন্য কক্সবাজারের পেকুয়া এবং পটুয়াখালীর রাবনাবাদের জমি অধিগ্রহণ, একটি পূর্ণাঙ্গ নৌ ঘাঁটি স্থাপনের জন্য নীতিগত অনুমোদন ও জমি অধিগ্রহণ এবং একটি পূর্ণাঙ্গ এভিয়েশন ঘাঁটি স্থাপনের জন্য পটুয়াখালীর পুরাতন বিমান বন্দরটি নৌবাহিনীর অনুকূলে প্রদানের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। তিনি বলেন, একই ধারাবাহিকতায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এবং সমুদ্র এলাকায় নজরদারী বৃদ্ধির জন্য কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর জন্য একটি ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিমান বাহিনীর বিভিন্ন যুদ্ধ বিমান, যুদ্ধাস্ত্র ও সরঞ্জামের রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং কারিগরি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরশীলতা অর্জনের লক্ষ্যে দেশী/বিদেশী প্রযুক্তির সহায়তায় ও সম্পূর্ণ দেশীয় তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধু বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে “বঙ্গবন্ধু এ্যারোনটিক্যাল সেন্টার” এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধি ও উন্নত করা হয়েছে। অন্যান্য সরকারি চাকরীজীবীদের মত সশস্ত্র বাহিনীর চাকুরীর বয়স সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সামরিক সদস্যদের আবাসন সুবিধা প্রদানে সামরিক বাহিনীর অফিসারদের ব্যক্তিগত অর্থায়নে জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প, সাভার ও যশোর ডিওএইচএস, সেনা সদস্যদের জন্য বরিশাল ও পটুয়াখালীতে সেনাপল্লী প্লট এবং সাভারে সেনাপল্লী আবাসন ফ্ল্যাট প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা, উৎকর্ষ, মনোবল, কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি করতে বীরত্ব ও সাহসিকতার জন্য পদক, এককালীন অনুদান ও ভাতা প্রচলন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর জন্য নতুন ডিজিটাল পে সিস্টেম প্রবর্তন, নৌ ও বিমান বাহিনীর সাথে সামঞ্জস্য রেখে রেশন স্কেল উন্নীতকরণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন এবং সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্যকে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধনে এই দিবসের আদর্শ ও অনুপ্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিলে বিএনপিকে ৮ থেকে ১০টি মন্ত্রণালয় দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।মঙ্গলবার সচিবালয়ে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে নির্বাচনের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা এখানে তাদেরকে যদি তারা মন্ত্রীত্বের ব্যাপারে হয়তো ৫,৭ ও ১০ টাও চাইতে পারে। চাইলে অবশ্যই সরকার বিবেচনা করবে। নতুন সরকারে বিএনপির অংশ নেয়ার বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সন্ধ্যা নাগাদ এ ব্যাপারে বিরোধীদলের সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতার হস্তান্তরে আসলেই নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে মাঠ পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা কিন্তু নির্বাচনের মুডে আছে, তারা নির্বাচন চায়। তিনি আরো বলেন, যেকোনো সময় সংলাপ হতে পরে, সমঝোতা হতে পারে। শেষ পর্যন্ত তারা (বিএনপি) নির্বাচনে আসবেন।বিএনপির তৃণমূল নেতারা নির্বাচনে যেতে চায়। কেন্দ্রীয় নেতারা এ ব্যাপারে অনীহা দেখালে দলটিকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যোগাযোগ মন্ত্রী কাদের বলেন, এখনো আশা করি, বিরোধী দল আসবে। বিরোধীদল এলে ষোল কলা পূর্ণ হতো। সর্বদলীয় সরকার নিয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতার দাবি, যা হয়েছে দেশের ভালর জন্যই করা হয়েছে, বিরোধী দল আসলে আরো সুন্দর হতো। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর হাতে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের পদত্যাগপত্র তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে এই সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। আগামী জানুয়ারিতে নির্বাচনের সময় এ সরকারই দায়িত্বে থাকবে। সোমবার বঙ্গভবনে এই মন্ত্রিসভার নতুন আট সদস্যকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, যাদের মধ্যে পাঁচজনই জাতীয় পার্টির নেতা। এছাড়া জাতীয় পার্টির আরেকজনকে মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে এখনো নেপথ্যে যোগাযোগ চলছে বলেও উল্লেখ করেন কাদের। সোমবারও তিনি একই ধরনের ইংগিত দিয়েছিলেন। অবশ্য বিএনপি এই সর্বদলীয় সরকারকে ‘তামাশা’ আখ্যায়িত করে যোগ না দেয়ার কথা বলে আসছে। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতার বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে, যেখানে খালেদা জিয়া সংকট নিরসনে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চাইবেন বলে ইংগিত দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: হরতাল বা অবরোধ সংলাপের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় সমবায় পুরস্কার-২০১১’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সৈয়দ আশরাফ। বিরোধী দলের টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের বিষয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমাদের আমন্ত্রণ এখনো অব্যাহত আছে। আমরা তাঁর (খালেদা জিয়া) জন্য অপেক্ষায় আছি, তিনি কবে আসবেন। আশা করি, যেদিন তিনি সুবিধা পাবেন, সেদিনই আসবেন। সংলাপের রাস্তা সব সময় খোলা। হরতাল ও অবরোধ আলোচনার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নয়। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, আগামী জানুয়ারিতে নতুন সরকার আসবে। আর বিরোধী দল কোনো ইম্পসিবল (অসম্ভব) অবস্থা সৃষ্টি করলে সেটা কীভাবে পসিবল (সম্ভব) করতে হয়, তা আমাদের জানা আছে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, হরতাল-অবরোধ মোকাবিলা আমাদের কাছে মেজর (মূল) ইস্যু নয়। আমাদের মূল ইস্যু হলো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কীভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা যায়। সৈয়দ আশরাফ বলেন, সংঘাত-অরাজকতা কখনো সমাধান আনে না। অতীতেও সংলাপের মাধ্যমে সংকটের নিরসন হয়েছে। বর্তমানেও আলোচনার মাধ্যমে সংকটের নিরসন হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এর আগে লিখিত বক্তব্যে সৈয়দ আশরাফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর বৈধ-অবৈধ উপায়ে দেশে নব্য ধনিক শ্রেণীর উদ্ভব ঘটেছে। তারাই এখন মিডিয়ার মালিক। এক পত্রিকা আরেক পত্রিকাকে কীভাবে আক্রমণ করছে, সংবাদকর্মীরা কষ্ট করে লিখছেন। তাঁদের অনুভূতি, কষ্ট কখনো মালিকপক্ষের কাছে পৌঁছায় না। তিনি আরও বলেন, সমবায়ীরা বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সমবায়ের আওতা দিন দিন বাড়ছে। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের উদ্যোগে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও প্রবীণ সমবায়ী এ্যাডভোকেট মো:রহমত আলী এমপি ও এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব এমএ কাদের সরকারের সভাপতিত্বে আরো বক্তৃতা করেন সমবায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও নিবন্ধক হুমায়ুন খালিদ, বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি নাদির হোসেন লিপু ও বারিধারা মহিলা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সহ-সভাপতি আকলিমা বেগম। মন্ত্রী আশরাফ সমবায় দিবস উপলক্ষে দেয়া বক্তৃতায় বলেন, স্বাধীনতার ৪৩ বছরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি ২৯ বছর দেশ শাসন করেছে, আর পক্ষের শক্তি মাত্র ১৪ বছর। স্বাধীনতাবিরোধী সেই শক্তি পাকিস্তানী কায়দায় দেশ শাসন করে, এ দেশেরই নিরীহ সাধারণ মানুষকে শোষণ করতে বিশাল ধনীক শ্রেণী সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সমবায়কে অর্থনীতির দ্বিতীয় শক্তিশালী খাত হিসাবে সংবিধানে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন, সেই সমবায় শক্তিরই গলা টিপে ধরেছিল ওই ধনীক শ্রেণী। সমবায়ের মাধ্যমে সব শ্রেণীর অংশগ্রহণে জাতির অগ্রগামিতা বঙ্গবন্ধু যেখানে নিশ্চিত করেছিলেন, সেখানে ওই নব্যধনীক শ্রেণী দেশের অগ্রগামিতা রুখে দিচ্ছিল। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন ফ্রি মার্কেটের যুগ হলেও বর্তমান সরকার দেশকে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে পরিণত করতে বঙ্গবন্ধুর দেখানো সেই পথে অগ্রসর হতে আবার সমবায় কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প চালু করেছে। এ প্রকল্পের সাফল্যই বলে দিচ্ছে ফ্রি মাকেটের যুগে সমবায়ের কার্যক্ষমতা শেষ হয়ে যায়নি, বরং এর গুরুত্ব আরো বেড়েছে। আশরাফ বলেন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় সরকার ফ্লাইওভার, ব্রিজ, কালভার্টসহ বহু উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সমবায়ের এ ধারণা থেকেই সরকার পিপিপি এর মাধ্যমে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে। জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলার প্রতিটি পরিবারের বাসস্থান, খাদ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কৃষকদের সমবায়ের কথা বলেছিলেন। কিন্তু সাধারণ মানুষকে শোষণ করতে একটি শ্রেণী সমবায় আন্দোলনকে নিষ্ক্রীয় করে রেখেছিল। তিনি বলেন,বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আন্দোলনে আবার গতি সঞ্চার করেছেন। সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমে ১ লাখ ৮৫ হাজার সমবায় সমিতি গড়ে উঠেছে এবং ৯৩ লাখ সমবায়ী ’একটি বাড়ি ও একটি খামার’ প্রকল্পের মাধ্যমে এখন উপকৃত হচ্ছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশব্যাপী খাদ্যের চাহিদা পূরণ, পণ্যের মান ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম রোধ ও কৃষকের ন্যায্যমূল্য লাভে সমবায় বাজার চালু করা হয়েছে। গাড়ো সম্প্রদায়ের জীবন-মান উন্নয়নে ৪০০ পরিবার নিয়ে সমবায় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমে সমবায় শক্তিকে সামাজিক শক্তিতে রূপান্তরিত করেছে। এর ফলে যারা এতদিন সাধারণ মানুষকে শোষণ করে আসছিল, তাদের চিহ্নিত করা এখন সহজ হয়ে পড়েছে। অনুষ্ঠানে ১০ ক্যাটাগরিতে ১০টি সমবায় সমিতিকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রত্যেক সমিতিকে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ মেডেল ও সনদপত্র দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে ১০টি ক্যাটাগরিতে ফসিয়ার রহমান কৃষি ও জনকল্যাণ সমবায় সমিতি, জিয়ালা ঘোষপাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি, মঠবাড়ি খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন, কলিগ্রাম বসুন্ধরা মহিলা সমবায় সমিতি, কাম টু সেভ বহুমুখী সমবায় সমিতি, মনাটেক যাদুগানালা মত্স্য চাষ বহুমুখী সমবায় সমিতি, কুলিয়ারচর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখী সমবায় সমিতি, দিয়ারা কুঞ্জনগর পুরুষ বিত্তহীন সমবায় সমিতি, বিজয়পুর রুদ্রপাল মৃশিল্প সমবায় সমিতি এবং বাঘাবাড়ি ট্রাক ও ট্যাংক লরি শ্রমিক বহুমুখী সমবায় সমিতির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হাতে জাতীয় সমবায় পুরস্কার-২০১১ তুলে দেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। পরে সমবায়ের উপকারিতা নিয়ে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জনগণ যদি উন্নতি চায়, জনগণ যদি পেট ভরে ভাত খেতে চায়, জনগণ যদি বিনা পয়সায় বই, বিনা পয়সায় ওষুধ, চিকিৎসা সেবা চায়, জনগণ যদি শান্তিতে বসবাস করতে চায়, জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাস না চায়; তবে আমি বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগকে তারা অবশ্যই ভোট দেবে। রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আবারো ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য সংসদীয় পদ্ধতির দেশগুলোকেই অনুসরণ করবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন,পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, কয়েকদিন আগেই অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়ায়,গ্রেট ব্রিটেনে, আমেরিকায় নির্বাচন হয়ে গেল। সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অর্থাৎ সংসদীয় গণতন্ত্র যে সকল দেশে আছে সেখানে যেভাবে নির্বাচন হবে সেভাবেই আমরা আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবো।এ সময় বিরোধীদলের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলেই আন্তর্জাতিক মহলে দেশ সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত পায়। বিরোধীদলের নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সাংবিধান অনুসারেই হবে।আর ‘উন্নয়ন চাইলে’ জনগণ এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।গত নির্বাচনে জনগণেরদেয়া আমানতের যাতে খিয়ানত’ না হয়- সেজন্যই এ সিদ্ধান্ত বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের জয়ী করে এখন জনগণের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।ওই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যারা ভোট দিয়েছিল- এই কয়েক মাসের মধ্যেই তাদের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়ে গেছে। ফুটপাথ দখল থেকে শুরু করে- যা যা শুরু হয়েছে, তা আপনারা একটু খবর নিয়ে দেখবেন। কোনো না কোনো সময় বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচন শুরু করতেই হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অন্তত এটা শুরু করে যেতে হবে, যেন ভবিষ্যতে কেউ বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবেই হবে। ভোটের মালিক জনগণ।সেই মালিকানাটা আমরা নিশ্চিত করেছি।ৃ জনগণ যদি ভোট দেয়, অবশ্যই আমরা সরকারে আসব। এটা সম্পূর্ণ জনগণের ওপর নির্ভর করে। “আর যদি দুর্নীতিবাজ চায়, হাওয়া ভবন চায়, সন্ত্রাস চায়, জঙ্গীবাদ চায়, অশান্তি চায়; তাহলে আমার আর বলার কিছু নাই।বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিরোধীদরীয় নেত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি আমাকে চান না। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনাবিহীন সরকার চাই। উনি যে আমাকে চান না- সেটা তো আমি জানি। ২০০৪ সালের একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা এবং কোটালিপাড়ায় জনসভার আগে বোমা উদ্ধারের কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, উনারই ক্যাবিনেট মন্ত্রী, উনারই পুত্রধন সকলকে নিয়ে, হাওয়া ভবন সক্কলে মিলে ষড়যন্ত্র করে গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছিলো। কোটালি পাড়ায় ওই বিশাল বোম; একটা বোমের ওজন ছিল ৮৪ কেজি, আরেকটার ওজন ৭৬ কেজি- সেই বোমও পুঁতেছিলেন আমাকে হত্যার জন্য। চট্টগ্রামে ৮৮ সালে আমার মিছিলে যে গুলি করা হয়েছিল; যেখানে ৩০ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছিল, সেই গুলি করার যে হোতা- রকিবুল হুদা,তাকে তো তিনি প্রমোশন দিয়ে ঢাকায় পোস্টিং দিয়েছিলেন।১৯৯৩ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের দিন ১৫ অগাস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, যে দিনটি আমার সবচেয়ে কষ্টের দিন, শোকের দিন, জন্মদিন না হওয়ার পরও সেই দিনে জন্মদিন পালন করে তিনি আমাকে বুঝিয়ে দেন- তিনি কতো উৎফুল্ল এই হত্যাকাণ্ডে। তিনি যে আমাকে চান না, সেই ম্যাসেজটা তিনি সেভাবেই দিয়ে দেন। স্কুলের রেজিস্ট্রেশন খাতায় খালেদা জিয়ার জন্মদিন পাঁচ সেপ্টেম্বর লেখা আছে বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।এর আগে শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে মহা সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ছোট জাতীয় পতাকা দেওয়া হয়। শেখ হাসিনা পতাকা হাতে নিয়ে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান। উপস্থিত সবাই এ সময় জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা নাড়েন।শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দিতে গিয়ে এই সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, অপরাধীদের রাজনৈতিক অধিকার দিয়ে দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর হত্যা ও রাজনৈতিক নিপিড়ন, জঙ্গীবাদের উত্থান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর উন্নয়ন, নারী অবমানা করে হেফাজতে ইসলাম নেতা আহমেদ শফীর বক্তব্যের ভিডিও উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক কামরুল হাসান খান বক্তব্য দেন। সংগঠনের মহাসচিব তার বক্তব্যের শুরুতেই ‘সাউথ-সাউথ’ পুরস্কার পাওয়ায় দাঁড়িয়ে জাতীয় পতাকা নেড়ে সবাইকে শেখ হাসিনার প্রতি অভিনন্দন জানানোর আহবান জানান। এ সময় সবাই দাঁড়িয়ে করতালির মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। কামরুল হাসান খান আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যারা দুঃসময়ে থাকে না, সুসময়ে থাকেন- তারাই বিভ্রান্ত ছড়ান। আপনি আপনার কর্মীদের ডেকে কথা বলেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক এস এম নজরুল ইসলাম উন্নয়নের গতি বৃদ্ধিতে পেশাজীবীদের সম্পৃক্ত করার আহবান জানান। পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি বিচারপতি এ এফ মিসবাহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংগঠনের বিভাগীয় নেতারাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এপিপি বাংলা ডটকম কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ারভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে বিদ্যুৎ প্রকল্প মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শনিবার সকালে ভারত থেকে আমদানি করা বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন ও বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে যৌথভাবে এ দুই প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।শনিবার বেলা ১১টা ৩১ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ভিডিও সম্মেলন শুরু হয়। প্রথমে চার মিনিট শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। ১১টা ৩৫ মিনিটে বক্তব্য দেন মনমোহন সিং। এরপর ১১টা ৪২ মিনিটে ডিজিটাল সুইচে চাপ দিয়ে আমদানি করা বিদ্যুৎ সঞ্চালন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বেলা ১০টা ৫৫ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে রভড়ামারা বিদ্যুৎ প্রকল্প মাঠে আসেন প্রধানমন্ত্রী। পরিবেশবাদীদের সমালোচনার মধ্যে শনিবার বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পের ভিত্তিস্থাপন অনুষ্ঠানে বাস্তবায়নকারীদের প্রতি এই আহ্বান জানান তিনি। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ভারতের বিদ্যুৎ আমদানির জন্য সঞ্চালন উপকেন্দ্রের সঙ্গে বাগেরহাটের রামপালে নির্মিতব্য মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট’ উদ্বোধন হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তবে তার প্রতিনিধি হিসেবে ভেড়ামারায় ছিলেন ভারতের বিদ্যুৎ ও জ্বালানিমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ। একই সঙ্গে ভেড়ামারা ৩৬০মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বাগেরহাটের রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত সবাই করতালি দিয়ে স্বাগত জানান। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলাম। আমাদের দায়িত্বের শেষ প্রান্তে এসে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে কেউ কেউ পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে, এমন অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দেশবাসীকে স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোনো প্রকল্পের অনুমোদন দিই না বা ভবিষ্যতে দেব না। সব ধরনের পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনায় নিয়েই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ অনেকেই পরিবেশবাদী সেজেছেন। কিন্তু আমার সরকারই সুন্দরবন রক্ষায় ও একে ঐতিহ্যিক স্থান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র যাতে পরিবেশের ক্ষতি না করে, সে জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বায়ু ও পানিদূষণ রোধে উন্নত মানের কয়লা ব্যবহার করা হবে। সুন্দরবনের ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে আপত্তি জানিয়ে আসছেন পরিবেশবাদীরা। তারা বলছেন, এটা বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে।বাম দল সমর্থিত তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র না করার আহ্বান জানিয়ে লংমার্চ করেছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিও এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছে। তবে প্রকল্প উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। অনেকেই চেঁচামেচি’ করে মানুষকে ‘বিভ্রান্ত’ করছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে মনমোহন সিং যৌথ উদ্যোগের রামপাল কেন্দ্রের সাফল্য কামনা করে বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় পরিবেশের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার জন্য প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি। সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষার ওপর জোর দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, যে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ দুই দেশের মধ্যেই রয়েছে। মনমোহন সিং দুদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের উল্লেখ করে ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরাল করার ওপর জোর দেন।তিনি বলেন, আজকের উদ্বোধনের ঘটনা দুদেশের আন্তঃসংযোগের জন্য একটি মাইলফলক ঘটনা।মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেও প্রশংসা করে তার দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনায় অংশীদার থাকার প্রতিশ্র“তি দেন। অনুষ্ঠানে ভারতের বিদ্যুৎমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, দুই দেশের উন্নয়নের জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের জন্য ভারত, নেপাল ও ভুটান একসাথে কাজ করতে পারে।বিদ্যুৎ সঙ্কটে থাকা বাংলাদেশ সরকার রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ২০১১ সালে সমঝোতা স্মারকের পর ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে।এ কেন্দ্রের মালিকানায় রয়েছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ারকোম্পানি,যার সমান অংশীদার বাংলাদেশ ও ভারত। এপিপি বাংলা ডটকম নিউইর্য়ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে ব্যাপক গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনকারীদের বিচারে সমর্থন দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের জন্য এ বিচার প্রয়োজন। এ বিচারের সফল সমাপ্তি যুদ্ধের ক্ষত মুছে দিয়ে বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে। শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এ আহ্বান জানান তিনি। জাতিসংঘ সদর দফতরে স্থানীয় সময় বিকাল পৌনে ৪টায় (বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ২টা) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডা প্রণয়ন জাতিসংঘের প্রতিটি রাষ্ট্রের জন্য একটি কঠিন কাজ। একটি ন্যায়ভিত্তিক, সমৃদ্ধ ও টেকসই বিশ্ব গড়তে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ও সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে, যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের সবার আকাঙক্ষা পূরণ হবে। কোনো ব্যক্তি বা জাতি পিছিয়ে থাকবে না। বাংলাদেশের প্রগতিশীল ও উদার ১৬ কোটি মানুষ সামনে থেকে এসব প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আমাদের জাতির ধর্ম অসাম্প্রদায়িক কাঠামো ধ্বংস করতে অতি সক্রিয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা মাধ্যমে তাদের এ ধ্বংসাত্মক তৎপরতার শুরু হয়। শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সন্ত্রাসী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি একত্রে এক সন্ত্রাসী চক্র গড়ে তোলে। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াতের সঙ্গে কোয়ালিশন করে ক্ষমতায় গিয়েছিল। এ চক্র তাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করেছে। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তারা তাকে হত্যার উদ্দেশে উপর্যুপরি ১৩টি গ্রেনেড হামলা চালায়। এতে ২৪ নেতাকর্মী নিহত এবং ৫ শতাধিক আহত হয়। এ হামলায় অলৌকিকভাবে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও দলের সিনিয়র ও নিবেদিত নারীনেত্রী আইভি রহমানসহ অনেক নিরাপরাধ মানুষ ও অসাম্প্রদায়িক নেতা নিহত হন। এসব ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং জঙ্গিবাদবিরোধী ও অর্থ পাচারবিরোধী আইন প্রণয়ন করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, বহু ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় দালালদের সহযোগিতায় গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। স্বাধীনতা অর্জনে ৩০ লাখেরও অধিক মানুষ প্রাণ দিয়েছে এবং ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠিত হয়েছে। তখন থেকে দালালদের বিচারের আওতায় আনতে জাতি গভীর আশা ও আকাঙক্ষা নিয়ে অপেক্ষা করছে। তিনি বলেন, এসব যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য তার সরকার ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের আওতায় দুটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। এই বিচারকাজ পরিচালনায় সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্য দিয়ে জাতি গ্লানিমুক্ত হয়ে দেশে শান্তি ও অগ্রগতি চিরস্থায়ী রূপ নেবে। তিনি এ উদ্যোগকে সর্বাত্মক সমর্থন দেয়ার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী ৩৯ বছর আগে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতিসংঘে দেয়া ভাষণের উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু সেদিন এ মঞ্চে দাঁড়িয়েই নতুন একটি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন। যেখানে শান্তি, ন্যায়বিচার ও বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থাকবে, যার মাধ্যমে বিশ্ব ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও যুদ্ধমুক্ত হবে। ‘বঙ্গবন্ধুর সেই লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখতে পেরে তার কন্যা হিসেবে আমি গর্বিত’। তিনি বলেন, নিত্যনতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের ফলে বিশ্বে দ্রুত পরিবর্তন আসছে। এসব আবিষ্কার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে অবদানের পাশাপাশি দ্বন্দ্বও সৃষ্টি করছে, যা অনেক সময় দেশের সীমানা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্বের অরক্ষিত, বঞ্চিত ও পশ্চাৎপদ জাতি-গোষ্ঠী। প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘২০১৫-পরবর্তী এজেন্ডা : প্রস্তুতি গ্রহণ’ ২০১৫-পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ নির্ধারণে সহায়তা করবে। এ প্রসঙ্গে তিনি ২০০০ সালে ‘সহস্রাব্দ ঘোষণা’ গ্রহণের সময় বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার উপস্থিতি, ২০১০ সালে এমডিজি অগ্রগতি পর্যালোচনায় উপস্থিতি এবং এবার এমডিজি থেকে ২০১৫-পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডায় উত্তরণেও তার অংশগ্রহণে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আর্থ-সামাজিক ও পরিবেশগত লক্ষ্য এবং এগুলো অর্জনে প্রয়োজনীয় সম্পদের পরিমাণসহ বাংলাদেশ ২০১৫-পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডা জাতিসংঘে উপস্থাপনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমডিজির সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় কর্মকৌশল প্রণয়ন করে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যেও কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ এমডিজি-১, ২, ৩, ৪, ৫ ও এমডিজি-৬ পূরণ করেছে বা কোনো কোনো লক্ষ্য পূরণের পথে রয়েছে এবং দেশে দারিদ্র্য হার ১৯৯১ সালের ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ২৬ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, গত সাড়ে ৪ বছরে বাংলাদেশের গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। ৫ কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উঠে এসেছে। রফতানি আয় ২০০৬ সালের ১০ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার থেকে ২৭ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। রেমিট্যান্স ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০০৬ সালের ৩২০০ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে ৯ হাজার ৫৯ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে এখন ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের মডেল’ এবং ‘দক্ষিণ এশিয়ার মান বাহক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এসব অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড, গ্লোবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড এবং এফএও ফুড অ্যাওয়ার্ড ২০১৩ লাভ করেছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৬তম অধিবেশনে আমার উত্থাপিত ও সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ‘জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন মডেল’-এ বর্ণিত নীতিমালা বাস্তবায়নের ফলে এ গৌরব অর্জন সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তার ভিশনের উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ‘স্টেট অব আর্ট’ হিসেবে গ্রহণ করেছে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত ডিজিটাল সুবিধাসমৃদ্ধ ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র থেকে গ্রামের জনগণ দুই শতাধিক সেবা নিতে পারছে। গ্রামাঞ্চলে স্থাপিত প্রায় ১৫ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে উন্নত চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও গ্রামের নারীরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারছে। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দেশে ১০ কোটির বেশি মোবাইল সিম ব্যবহৃত হচ্ছে। শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব, তার এই বিশ্বাসের উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জন এবং ন্যায়বিচার, আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য শিক্ষাই প্রধান চালিকাশক্তি। নারীর ক্ষমতায়ন এবং জীবনের সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণের মাধ্যমেই কেবল প্রত্যাশিত অগ্রগতি সাধন সম্ভব। এজন্য নতুন শিক্ষানীতিতে মেয়েদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক করা হয়েছে। দরিদ্র পরিবারের ১ কোটি ১৯ লাখ শিক্ষার্থী মাসিক উপবৃত্তি পাচ্ছে। মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় আইন ও নীতি প্রণয়ন করেছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১৪ হাজারের বেশি নারী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আছেন। বর্তমান সংসদে ৭০ জন নারী সংসদ সদস্য আছেন। ৫ জন নারী মন্ত্রী এবং একজন নারী সংসদের হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্ভবত বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, সংসদ উপনেতা এবং বিরোধীদলীয় নেতা নারী। সরকারি চাকরিতে নারীর জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ তাদের বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন এবং সশস্ত্র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চতর পদে পৌঁছাতে সহায়তা করছে। তিনি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচির উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান সরকারের জনগণের ক্ষমতায়নে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি, ভিজিডি, ভিজিএফ, বাস্তুহারাদের বাসস্থান ও জীবিকা নির্বাহের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প, ৪২ লাখ ৯৮ হাজার মানুষকে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, দুস্থ মহিলা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান এবং ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ কর্মসূচির মাধ্যমে ১০ লাখ ৩৮ হাজার গ্রামীণ মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রয়াস বেশ ফলপ্রসূ হয়েছে। এ ছাড়া সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধীদের আত্মকর্ম সংস্থানের জন্য শিক্ষাদান, দক্ষতা উন্নয়ন এবং সুদবিহীন ঋণ দেয়া হচ্ছে। সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধীদের এক শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। অটিজমসহ মানসিক প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে বিশ্ব সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৭তম অধিবেশনে উত্থাপিত বাংলাদেশের প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী অটিস্টিকদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের অত্যাসন্ন চ্যালেঞ্জের প্রতি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের অনেক অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও সমুদ্রের পানির স্তর বেড়ে যাওয়ার অভিঘাত মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সমুদ্রের পানির স্তর ১ মিটার বাড়লে বাংলাদেশের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ পানিতে তলিয়ে যাবে। এর ফলে প্রায় ৩ কোটি মানুষ বাস্তুহারা হবে এবং অন্য কোথাও আশ্রয় নিতে বাধ্য হবে, যা দেশে এবং দেশের বাইরে এক মানবিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি জলবায়ুজনিত অভিবাসীদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক পুনর্বাসন নিশ্চিতের লক্ষ্যে একটি আইনি কাঠামো তৈরির জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৪তম অধিবেশনে দেয়া তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো এবং প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কর্মপরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে ‘জলবায়ু পরিবর্তন তহবিল’-এ পর্যাপ্ত অর্থায়ন নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকারমূলক কৌশল গ্রহণের আহ্বান জানান। মহান ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার দিবস ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী একইভাবে জাতিসংঘের প্রতি ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানান। তিনি তার এ প্রত্যাশা চলতি অধিবেশনে প্রস্তাব আকারে উত্থাপনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে শান্তি, সংস্কৃতি ও উন্নয়নের বাহন হিসেবে বিশ্বের সব মাতৃভাষা সুরক্ষায় তার এ প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি জাতিসংঘের বাংলা ওয়েবসাইট ও একটি রেডিও অনুষ্ঠান চালু এবং ইউএনডিপি এশিয়া রিপোর্ট বাংলায় প্রকাশ করায় জাতিসংঘকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাকে জাতিসংঘের একটি অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করতে তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। গত ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার সময় থেকে তার সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা, টেকসই উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এসব লক্ষ্য অর্জনে নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ স্বাধীনতা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার ও তথ্য কমিশনকে শক্তিশালী করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত পৌনে ৫ বছরে জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের ৫ হাজার ৭৭৭টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে ৬৩ হাজার ৯৯৫ জন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। কোথাও কোনো অভিযোগ ওঠেনি। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে যে, নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম। বিদেশ নীতি বিশেষ করে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের রূপরেখা বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করা, আঞ্চলিক যোগাযোগ সুদৃঢ় করা এবং বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষার মাধ্যমে শান্তিকে স্থায়ী রূপ দিতে কাজ করছে। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সর্বোচ্চসংখ্যক সৈন্য প্রেরণকারী এবং নিরস্ত্রীকরণ ও বিস্তাররোধ এজেন্ডায় সুদৃঢ় অবস্থানের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের এ অঙ্গীকার প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে তার প্রধানমন্ত্রীত্বেরকালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ব্যাপকভিত্তিক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি এবং মানববিধ্বংসী মাইন নিষিদ্ধকরণ চুক্তি অনুসমর্থন করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বর্তমানে বাংলাদেশের ভূমিকা ন্যায় ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত, যা বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং নিরস্ত্রীকরণকে সমর্থন করে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের প্রতিটি রাষ্ট্রের নিজস্ব পরিচিতির জন্য সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ২০১৫-পরবর্তী সময়ে শান্তি ও উন্নয়নে সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি, আন্তঃবিশ্বাস ও আন্তঃসাংস্কৃতিক সংলাপকে উৎসাহিত করা জরুরি। সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও অপর্যাপ্ত বৈদেশিক সহায়তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের মধ্যে এমডিজি অর্জন এবং ২০১৫-পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো পূরণে উন্নয়ন সহযোগীদের অফিসিয়াল উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে তাদের মোট জাতীয় উৎপাদনের শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ওডিএ হিসেবে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ দেয়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। তিনি এলডিসিগুলোর পণ্য অন্যান্য দেশের বাজারে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্তভাবে প্রবেশের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ব্রেটন উডস্ ইনস্টিটিউশনস ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে মতপ্রকাশে সমান অধিকার এবং জিএটিএস অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অবাধ যাতায়াতের নিশ্চয়তা দিতে হবে। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশী পণ্যের জন্য জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্স (জিএসপি) সুবিধা স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে বোঝানোর জন্য দেশটির ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার তাঁর হোটেল স্যুটে যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কমার্সের যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্র“পের এক বৈঠকে বলেন, জিএসপি স্থগিতের ফলে তা জিএসপি কমপ্ল্যাইয়েন্স এবং শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিতের পরিবর্তে শ্রমিকদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব বিজন লাল দেব ও মহাপরিচালক (জাতিসংঘ) সাদিয়া মুনা তাসনিম উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণ ও নিরাপত্তা এবং কমপ্ল্যাইয়েন্সের নামে জিএসপি সুবিধা স্থগিত সমর্থনযোগ্য নয়। কিছু দুর্ঘটনার কারণে জিএসপি সুবিধা স্থগিতও সমর্থনযোগ্য নয়। শিল্পক্ষেত্রে এ ধরনের দুর্ঘটনা বিশ্বের অন্যান্য স্থানে এমনকি উন্নত বিশ্বেও অনবরত ঘটে থাকে। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আবারো তাদের বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলছে।তিনি এ প্রসঙ্গে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় নিহত গার্মেন্ট শ্রমিকদের পরিবার ও আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদানে সরকারের নেযা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। মার্কিন প্রতিনিধিদল জানায়, তারা জিএসপি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে আগ্রহী। কারণ তারা মনে করেন, নীতিগত দিক থেকে জিএসপি বাতিল সঠিক হয়নি। শিগগীরই জিএসপি সুবিধা বাতিলের আদেশ প্রত্যাহারের আশা প্রকাশ করে চেম্বার নেতৃবৃন্দ বলেন, তারা ইতোমধ্যে মার্কিন সরকারকে তাদের মতামতের কথা জানিয়েছেন।গত বছর ঢাকায় ২৬ মে থেকে ২৮ মে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তারই ধারবাহিকতায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। ইকবাল সোবহান জানান, বৈঠকে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এগিয়ে নিতে সরকারি ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি জানান, মূলত মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল বলছে, বাংলাদেশ মার্কিন পণ্যের ক্রমবর্ধমান বাজার। তাই তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায়। মার্কিন দল মার্কিন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। এছাড়া তারা ব্যবসা ও সরকারি নেতৃবৃন্দের মাঝে রাষ্ট্রীয় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠানে তাদের আগ্রহের কথা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সমুদ্র উপকূলে ড্রিলিং-এ মার্কিন বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, মার্কিন কোম্পানীগুলো জ্বালানি খাতে ভূতাত্ত্বিক জরিপ কার্যক্রম চালিয়ে যাচেছ। আর এর মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুন তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। মার্কিন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মনোভাবের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বিশ্বাস করে-বেসরকারি খাত অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি,যেখানে সরকার সহায়কের ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন, তার সরকার বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগসহ কিছু খাত বিদেশী বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। অথচ এর আগের সরকারের আমলে এসব খাত সুবিধাভোগীদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে ছিল। বাংলাদেশে বর্তমান বিনিয়োগ পরিবেশ আগের যে কোন সময়ের তুলনায় চমৎকার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিযোগিতামূলক বেসরকারি ও বিদেশী বিনিয়োগের জন্য এসব খাত উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে উদার বিনিয়োগ নীতির পরিবেশ তৈরি করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। তিনি আশা করেন, মার্কিন বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা উদার বিনিয়োগ নীতির এ সুযোগ গ্রহণ এবং বিভিন্ন খাতে আরো বিনিয়োগ করবেন। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার আঞ্চলিক যোগাযোগের ওপরেও গুরুত্বারোপ করেছে। এর ফলে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে আঞ্চলিক ব্যবসায় উপকৃত হবেন।তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে মার্কিন ব্যবসায়ীরা কাজ করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ মার্কিন বিনিয়োগ প্রায় আড়াই কোটি ডলার ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের গত ৫ বছরে এ পরিমাণ ১শ’ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছর প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ ১শ’ ৩০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে যার অধিকাংশই এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিক অগ্রগতির লক্ষণ।মার্কিন প্রতিনিধিদলও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ও বিনিয়োগ পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী আগামী ডিসেম্বর নাগাদ দু’টি বোয়িং বিমানের সরবরাহ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বোয়িং প্রতিনিধিকে অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য, এ জন্য বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ক্রয় নির্দেশ জারি করেছে। বাংলাদেশ ৪টি বোয়িং বিমান কেনার জন্য বোয়িং কোম্পানীর সাথে চুক্তি করে। ইতোমধ্যে ২টি বিমান সরবরাহ করা হয়। আরও ২টি সরবরাহের অপেক্ষায় আছে। মার্কিন চেম্বার নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজতে শিগগির ঢাকা সফর করবেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান। এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, অ্যাম্বাসেডর এর্ট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শেখ এম ওয়াহিদুজ্জামান, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন চেম্বার নেতৃবৃন্দ ‘ইউএসএ এন্ড বাংলাদেশ টুয়ার্ড দ্য ফিউচার ঃ পলিসি রিকমেন্ডেশন টু স্ট্রেন্থ’ দ্য ইউএস বাংলাদেশ কমাশিয়াল রিলেশনশীপ’ নামে একটি রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। এপিপি বাংলা ডটকম রাজনীতি ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের অসামান্য অবদান এবং দারিদ্র্য হ্রাসে তাঁর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন (আইওএসএসসি) সোমবার সন্ধ্যায় তার সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়। দক্ষিণ-দক্ষিণ অঞ্চলের দেশগুলোর ত্রিমুখী সহযোগিতায় জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আইওএসএসসি গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, সাউথ-সাউথ সদর দফতরের প্রেসিডেন্ট ও সাউথ-সাউথ নিউজ এ্যাম্বাসেডর ফ্রান্সিস লরেঞ্জো সংস্থাটির সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান এবং তাঁর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের জন্য এ পুরস্কার দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী আইওএসএসসি এবং বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী, ফার্স্ট লেডি এবং আইওএসএসসি ভুক্ত দেশগুলোর সরকার প্রধানদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এটি আমাদের দেশের জনগণ ও বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের স্বীকৃতি। এছাড়া বাংলাদেশসহ বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলো- যারা দারিদ্র্য বিমোচনে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার গ্রহণ করে আমি গর্বিত। তিনি আরও বলেন, দারিদ্র্যবিরোধী লড়াই বিশেষ করে ২০১৫ সাল নাগাদ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে আরও কঠোর ভূমিকা পালনে এ পুরস্কার বাংলাদেশকে উৎসাহিত করবে।এছাড়া ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের উন্নয়নে যে সমস্ত লক্ষ্য ঠিক করা আছে তা অর্জনে সমভাবে নিরলস কাজ করতেও এটি আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে।শেখ হাসিনা দারিদ্র্য বিমোচনে ফ্রান্সিসের অব্যাহত সমর্থনের প্রশংসা করেন। বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘ,জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, ইউএনডিপিসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদারদের সমর্থনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন,দারিদ্র্য বিমোচনসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আর্থিক ও কারিগরি সহায়তারও ব্যাপক সংশি¬ষ্টতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আশা করেন,পৃথিবীকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে এবং জনগণ যাতে আরো উন্নত জীবন-যাপন করতে পারে সে লক্ষে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ তাঁর দেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবেন এবং একযোগে কাজ করবেন। পুরস্কারটি বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করে প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন অনুযায়ী এ দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারকে নির্বাচিত এবং সেবা করার সুযোগ দেয়ায় তিনি দেশের জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।তিনি দারিদ্র্যের হার ২৬ শতাংশের নিচে কমিয়ে আনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের ব্যাপক অর্জনের কথা তুলে ধরেন। উলে¬খ্য, ১৯৯১ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৫১ শতাংশ। শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা জনগণকে খাদ্য নিরাপত্তা দিয়েছি। অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনাসহ স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া, শিক্ষার প্রসার, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত এবং জীবনমান উন্নয়নে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এখন গ্রামে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে, যা তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নকে আরো সাহায্য করবে।তিনি বলেন, বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশ যাতে মর্যাদাপূর্ণ আসন গড়তে সক্ষম হয় সে লক্ষে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, তাঁর কন্যা সায়মা হোসেন পুতুল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা.দীপু মনি, আওয়ামী লীগেরনেতা আমির হোসেন আমু,তোফায়েল আহমেদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি,জাসদ নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদল এমপি, পার্লামেন্ট সদস্য,প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবালসোবহান চৌধুরী,জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।এর আগে প্রধানমন্ত্রী ওয়ালডর্ফ এস্টোরিয়া হোটেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা আয়োজিত সংবর্ধনায় দেন। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় নেতা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সংলাপে বসার বিষয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল শুনানির জন্য আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত। রোববার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের বেঞ্চ শুনানির এই দিন ঠিক করে দেয়।রিট আবেদনকারী মো.ইউনুস আলী আকন্দ নিজেই এদিন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.মোখলেসুর রহমান। পরে মো.ইউনুস আলী আকন্দ বলেন,এই রিটের রুল শুনানির জন্য কয়েকদিন আগে আবেদন করেছিলাম। আজ আবেদনটি তালিকায় ছিল।আদালত আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছে।এর আগে গত ২৭ মার্চ দুই নেত্রীকে সংলাপে বসতে হাইকোর্ট এ রুল জারি করেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছভাবে হতে এবং চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণের জন্য দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া এবং তাদের জোটের অন্তর্ভুক্ত দলগুলোকে সংসদের ভেতরে ও বাইরে রাজনৈতিক সংলাপের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে এ রুল জারি করেন বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও বিচারপতি জাফর আহমদের বিশেষ বেঞ্চ। রাজনৈতিক অধিকার ও কার্যক্রমের নামে বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ,গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ‘অবৈধ কার্যক্রম’ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও ওই রুলে জানতে চাওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং স্বরাষ্ট্র সচিবসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়।সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ গত ১৪ মার্চ এই রিট আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানিতে আবেদনকারী পক্ষে ব্যারিস্টার নাজমুর হুদা বলেন,হরতাল একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু এই অধিকার দিয়ে গাড়ি ভাংচুর, নির্দোষ মানুষের উপর আক্রমণ বৈধতা পেতে পারে না। হরতালের মানে তো শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। কিন্তু এখন এর মাধ্যমে ১৬কোটি মানুষ জিম্মি হয়ে গেছে। এটা থেকে উদ্ধার পেতে হলে আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে।আপনাদের হাত অনেক লম্বা। আপনারা এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারেন এবং এ ধরনের কাজ প্রতিরোধ করতে পারেন।এ সময় আদালত বলেন, আমরাতো তাদের বসার জন্য বাধ্য করতে পারি না। উত্তরে নাজমুল হুদা বলেন, রিটে সক্রিয়তা বা নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করা যায়।দুই নেত্রীর কার্যকলাপ দেশের বারোটা বাজাচ্ছে। আর তারা নিষ্ক্রিয় থেকে আলোচনায় বসছেন না। সুতরাং আপনারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে পারেন। আমরাতো বেশি কিছু চাইছি না। আমরা কেবল একটা রুল চাইছি। তাদের আপনি রুল দিন। তারাই এসে বলুক, তারা কেন বসবেন বা বসবেন না। রুল শুনানির পর্যায়ে এখতিয়ারের বিষয়ে বিস্তারিত শুনানির সুযোগ রয়েছে।সেখানে প্রয়োজনে শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীদের বলবেন, তারা অ্যামিকাস কিউরি হিসাবে আসবেন। প্রাথমিক শুনানিতে এম কে রহমান বলেন,দুই জোটের কোনো নিবন্ধন নেই। তাই এদের বিবাদী করা যায় না। নির্বাচন কমিশন জোটভুক্ত নিবন্ধিত দলগুলোকে সংলাপের জন্য ডেকেছিল। কিন্তু বিএনপিসহ অনেকেই তাতে সাড়া দেয়নি। এটি এমন একটি রাজনৈতিক বিষয়, যাতে রুল দিলে কে তা বাস্তবায়ন করবে- তা স্পষ্ট নয়। আর বাস্তবায়ন অযোগ্য বিষয়ে আদালত কোনো আদেশ দিতে পারে না। এর আগে গত ১৯ মার্চ এই রিটের ওপর প্রথম দিনের শুনানিতে ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশের মানুষের স্বার্থে এবং আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক দলগুলোর মুখোমুখি অবস্থান ত্যাগ করে দুই নেত্রীকে নিয়ে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে নির্দেশনা প্রয়োজন। আদালত এ সময় বলে, সংলাপ ও নির্বাচন নিয়ে তো সংবিধানেই বলা আছে।জবাবে আবেদনকারী বলেন,বর্তমানে দুই প্রধান দলের মধ্যে বিদ্বেষপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় আদালতের নির্দেশনা প্রয়োজন। এপিপি বাংলা ডটকম ঢাকা: আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে কখনোই জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার নিশ্চয়তা দিয়ে তাই আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিতে বললেন তিনি। আজিমপুর গার্লস স্কুল ও কলেজকে সরকারি করার ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা বলেন, আগামীতে ফের ক্ষমতায় আসতে পারলে সাক্ষরতার হার শতভাগে নিয়ে যাবেন। শনিবার রাজধানীর লালবাগে আজিমপুর স্কুল ও কলেজ মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। লালবাগ ও কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে আজিমপুর স্কুল ও কলেজের ছাত্রী, লালবাগ, কোতোয়ালী ও আজিমপুর এলাকার বাসিন্দাসহ দলের নেতাকর্মী, সমর্থকরা স্বাগত জানান।জনসভায় বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য,যোগাযোগ ও আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক উন্নয়নের সূচকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মকাণ্ডের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন,শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও জনভোগান্তি তৈরিতে বিএনপি-জামাত জোট দায়ী। এ সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিভিন্ন দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনী ওয়াদা বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগে ভোট দিয়ে জনগণ কখনোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনে আমি আপনাদের কাছ থেকে নৌকা মার্কায় ভোট চাই। নৌকা শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি দেবে।জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস আর আসবে না। সরকার গঠন করতে পারলে সাক্ষরতার হার শতভাগে নিয়ে যাবো। সমাবেশস্থলে পৌঁছেই প্রধানমন্ত্রী লালবাগ থানার এলাকার আজিমপুর বিদ্যুৎ সাবস্টেশন ও কোতয়ালি থানা এলাকার মিটফোর্ড বিদ্যুৎ সাবস্টেশন উদ্বোধন এবং লালবাগের শহীদ নগরে একটি মাতৃসদন, ইসলামবাগে একটি কমিউনিটি সেন্টারের এবং প্রসন্ন পোদ্দার লেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভিত্তি স্থাপন করেন।এরআগে প্রধানমন্ত্রী ইডেন মহিলা কলেজের এক হাজার আসন বিশিষ্ট ১১ তলা হোস্টেল ভবনের উদ্বোধন। জনসভায় প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট চাওয়ার পাশাপাশি তার স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। এ সময় সমাবেশের একেবারে সামনের দিকে উপস্থিত ওই বিদ্যালয়ের শতশত ছাত্রী হর্ষধ্বনি দিতে থাকে। বক্তব্যের শুরুতেই উপস্থিত ছাত্রী বোনেরা’ কথাটি বলেই শেখ হাসিনা বলেন, এখানে তো সবাই আমরা নাতির বয়সী।আজিমপুর গার্লস স্কুল ও কলেজের সরকারিকরণের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই স্কুলকে ঢাকার এক নম্বর স্কুল হতে হবে। নিজের ছাত্র রাজনীতির হাতেখড়ি এই স্কুল থেকেই উল্লেখ করে ছাত্র জীবনের স্মৃতিচারণ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ৬২ সালে ছাত্র আন্দোলনের সময় আমরা শিক্ষকদের এড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় গিয়ে বক্তব্য শুনতাম। বার্ষিক স্পোটর্সে যেমন-খুশি তেমন-সাজোতে প্রথমও হয়েছিলাম। স্কুল শেষে কদবেল কিনে কাঠি দিয়ে খেতে খেতে বাড়ি যাওয়া ছিলো সবচেয়ে আনন্দের। ৩২ মিনিটের বক্তব্যের শেষ দিকে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে ওই এলাকার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত নির্বাচনে লালবাগবাসী নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিকে নির্বাচিত করে বঞ্চিত হন নাই। আর তারা ধানের শীষে ভোট চেয়ে দেশকে খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত করেছিলো।তিনি বলেন, আমি মা-বাবা, ভাইদের হারিয়েছি। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। আমি চাই বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়াক। আন্দোলনের কর্মসূচির নামে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় বিএনপি’র সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন,বিরোধীদল গণতন্ত্রের ভাষা বোঝে না। তারা মানুষের শিক্ষা আর চিকিৎসা বোঝে না।আন্দোলনের নামে যানবাহন থেকে মানুষ বের করে গায়ে আগুন দিয়ে মারছে। পুলিশ, বিজিবি আর সেনাসদস্য মারছে। নির্বাচনের আগে বিএনপি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, মিথ্যা অপপ্রচার চালায়। তারা বলেছিলো, শাপলা চত্বরে হাজার হাজার লোক মরেছে। আমরা যখন তালিকা চাইলাম, তখন হাজার হাজার লোক ৬১ জন হয়ে গেলো। তারমধ্যে আবার ২৫ জনের ঠিকানা নেই। আর, তিনজন জীবিত ঘুরে বেড়াচ্ছে। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “হুমকি-ধমকিতে কাজ হয়নি। হেফাজতের হুজুররা শাপলা চত্বরে বসেছিলো। তাদের খাওয়াবেন বলে দু’শো গরু জাবাই দেওয়ার কথা বলেও তাদের খাওয়ান নাই। লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, মতিয়া চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মাহাবুব-উল-আলম হানিফ, কামরুল ইসলাম, শেখ ফজলে নূর তাপস, আশরাফুন্নেসা মোশাররফ, পংকজ দেবনাথ, এ এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ প্রমুখ। |
নিউজ সার্চ
All
নিউজ আর্কাইভ
May 2018
|