ঢাকা: নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিলে বিএনপিকে ৮ থেকে ১০টি মন্ত্রণালয় দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।মঙ্গলবার সচিবালয়ে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে নির্বাচনের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা এখানে তাদেরকে যদি তারা মন্ত্রীত্বের ব্যাপারে হয়তো ৫,৭ ও ১০ টাও চাইতে পারে। চাইলে অবশ্যই সরকার বিবেচনা করবে।
নতুন সরকারে বিএনপির অংশ নেয়ার বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সন্ধ্যা নাগাদ এ ব্যাপারে বিরোধীদলের সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতার হস্তান্তরে আসলেই নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে মাঠ পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা কিন্তু নির্বাচনের মুডে আছে, তারা নির্বাচন চায়।
তিনি আরো বলেন, যেকোনো সময় সংলাপ হতে পরে, সমঝোতা হতে পারে। শেষ পর্যন্ত তারা (বিএনপি) নির্বাচনে আসবেন।বিএনপির তৃণমূল নেতারা নির্বাচনে যেতে চায়। কেন্দ্রীয় নেতারা এ ব্যাপারে অনীহা দেখালে দলটিকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যোগাযোগ মন্ত্রী কাদের বলেন, এখনো আশা করি, বিরোধী দল আসবে। বিরোধীদল এলে ষোল কলা পূর্ণ হতো। সর্বদলীয় সরকার নিয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতার দাবি, যা হয়েছে দেশের ভালর জন্যই করা হয়েছে, বিরোধী দল আসলে আরো সুন্দর হতো।
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর হাতে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের পদত্যাগপত্র তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে এই সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। আগামী জানুয়ারিতে নির্বাচনের সময় এ সরকারই দায়িত্বে থাকবে।
সোমবার বঙ্গভবনে এই মন্ত্রিসভার নতুন আট সদস্যকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, যাদের মধ্যে পাঁচজনই জাতীয় পার্টির নেতা। এছাড়া জাতীয় পার্টির আরেকজনকে মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে এখনো নেপথ্যে যোগাযোগ চলছে বলেও উল্লেখ করেন কাদের। সোমবারও তিনি একই ধরনের ইংগিত দিয়েছিলেন।
অবশ্য বিএনপি এই সর্বদলীয় সরকারকে ‘তামাশা’ আখ্যায়িত করে যোগ না দেয়ার কথা বলে আসছে। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতার বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে, যেখানে খালেদা জিয়া সংকট নিরসনে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চাইবেন বলে ইংগিত দিয়েছেন বিএনপি নেতারা।