ঢাকা: নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধনের যে উদ্যোগ নিয়েছে এটাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন যখন আরপিও আইনের খসরা তৈরি করে তখন এ জাতীয় বিধান তাতে ছিল না। পরবর্তীতে উপরের লেবেলের নিদের্শে তা করা হয়েছে।আরপিও সংশোধন করলে দেশে বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার নয়া পল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথ বলেন।
ইসিকে উদ্দেশ্য করে এমকে আনোয়ার বলেন, আপনাদের (ইসি) অপকর্ম দিয়ে এই সংকট ঢাকতে পারবেন না। যারা ইতোমধ্যে পানির তলায় ডুবে গেছে, শুধু একটি দলকে উদ্ধার করার জন্য ষড়যন্ত্র করলে নির্বাচন কমিশনের অস্তিত্ব বিপণ্য হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরপিও আইনের খসরা তৈরি করলে তা কখনও গ্রহণযোগ্য হবে না। আর এটি করা হলে তখন শুধু নির্দলীয় সরকারে অধীনে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন নয়, নির্দলীয় নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্যও আন্দোলন হবে।
যদি এটি করতেই হয় তাহলে রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেই করতে হবে বলেও জানান তিনি।
আরপিওর ৯১ ধারায় পরিবর্তনে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগের সমালোচনা করে এমকে আনোয়ার বলেন, এই বিধান থাকা প্রয়োজন, না হলে অপরাধ অনেক বেড়ে যাবে যা কমিশন সামাল দিতে পারবে না।তিনি এ উদ্যোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উপরের নির্দেশে করা হচ্ছে বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, এ আইন বাতিল করলে নির্বাচনকালে ব্যালটবক্স ছিনিয়ে নিয়ে গেলেও কিছু বলা যাবে না। তখন নির্বাচন কমিশন বলবে আপনারা আদালতে যান।
নির্বাচন কমিশনের আচারণে জনগণ হতাশ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি কমিশনের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সোজা পথে ফিরে আসুন। জনগণ ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করুন। পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া একটি নির্দিষ্ট দলকে উদ্ধারের ষড়যন্ত্র করলে আপনাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।
এ পথ থেকে সরে না এলে ভবিষ্যতে নির্দলীয় সরকারের দাবির পাশাপাশি নির্দলীয় কমিশনের দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, কমিশন প্রথমে বলেছে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও মন্ত্রীবর্গ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু পরে বলেছে দলীয় প্রধান এবং তার অনুমোদিত ২০ জন সারাদেশে প্রচারণা চালাতে পারবে। এমন তুঘলকি বিধান পৃথিবীর কোথাও আছে বলে জানা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।