ঢাকা: ‘পরিবেশ সৃষ্টি হলে দেশে নির্বাচন হবে, বিএনপিও অংশ নেবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০ দলের শরিক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) অঙ্গ সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চলমান গণতান্ত্রিক সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। যুব সংহতির সভাপতি মহসিন সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান টিআইএম ফজলে রাব্বী, মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়াদার, সভাপতিম-লীর সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, নবাব আলী আব্বাস, সেলিম মাস্টার, যুগ্ম-মহাসচিব এএসএম শামীম এবং মরহুম কাজী জাফর আহমেদের মেয়ে কাজী জয়া প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, এদেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থার স্বপ্ন কখনও পূরণ হবে না। আইয়ুব খান ও এরশাদেরও এ স্বপ্ন সফল হয়নি। একাত্তরের পর মাত্র তিন বছরেই এই আওয়ামী লীগ সবচেয়ে অজনপ্রিয় দলে পরিণত হয়েছিল। তাদের দুঃশাসন ও অত্যাচার এবং একদলীয় শাসনের কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। তাদের লুটপাটের কারণে দুর্ভিক্ষে হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে মারা গেছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যে চেতনাকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তা আজ বর্তমান সরকার অপহরণ করে নিয়েছে। তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থাকে চিরস্থায়ী করতে চাচ্ছে। কথা বলার অধিকার, ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা সব কিছুই বুলেট ও বন্দুকের জোরে দখল করে রেখেছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বেগম জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। আমরা তার মুক্তি চেয়েছি। এ মুক্তি তার প্রাপ্য। এ মামলায় যেকোনো মানুষই জামিন পেতে পারে। কিন্তু সরকার অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য হিংসাত্মকভাবে তাকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। সরকার মনে করে খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্ত করবে।
ফখরুল নড়াইল বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বলেন, রাজপথে সভা-সমাবেশ করার অধিকার নেই, তাই জেলা সভাপতির বাসভবনে দলের সভা চলার সময়ে পুলিশ কবির মুরাদসহ ৫৮ জনকে আটক করে। আমি এ গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানাই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সারা দেশে চলছে অবাধ লুটতরাজ। চুরি, খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ। কিন্তু পুলিশ কিছুই করছে না। করবে কী করে? পুলিশকে বিরোধীদলকে দমন রাখতেই ব্যস্ত রাখা হয়েছে।