গাজীপুর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, ‘পুলিশ বাহিনী ফরহাদ মজহারের মুঠোফোন নজরদারি করার মাধ্যমে তাকে শনাক্ত করে উদ্ধার করে। তবে ফরহাদ মজহার কীভাবে গেলেন, কী নিয়ে বের হয়েছেন, তার সবই আমরা খতিয়ে দেখছি।’
বুধবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গী মডেল থানার নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত। কারণ তারা ফরহাদ মজহারকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। পরে তাকে আদালতে নেওয়া হয় তার জবানবন্দি নেয়ার জন্য। এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। তা ডিবি তদন্ত করছে। আমরা আশা করি অচিরেই এর রহস্য উদঘাটন হবে।
গাজীপুরের কাশিমপুর নয়াপাড়ায় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনার বিষয়ে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শিল্প-কারখানায় বয়লার স্থাপনের একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। এগুলো তদারকি করার জন্য বয়লার পরিদর্শকও রয়েছেন। বয়লার স্থাপনের পর সেটির সক্ষমতা রয়েছে কিনা কিছুদিন পরপর তা যাচাই করতে হয়।
গাজীপুরে বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বলা যাবে এতে কারও কোনো গাফিলতি ছিল কিনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, যদি মালিকপক্ষের কোনো অবহেলা থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. জাহিদ আহসান রাসেল, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো. সফিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুর, সাখাওয়াত হোসেন, রাসেল শেখ, টঙ্গী থানার ওসি মো. ফিরোজ তালুকদার, জয়দেবপুর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, এর আগে মঙ্গলবার ফরহাদ মজহার সম্পর্কে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘এটা কোনো ছোট বিষয় নয়। গত সোমবার শুধু তার পরিবার নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ অনেকেই বিষয়টি নিয়ে উদ্গ্রীব ছিলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘যদি কেউ তাকে সীমান্ত পার করে দিতেন বা তিনি ওপার চলে যেতেন, তবে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতো, তা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। তখন নানা রকম ব্যাখ্যা আসত। তবে এখন পর্যন্ত ফরহাদ মজহারের কোনো দোষ সরকার খুঁজে পায়নি।’